<p>আপনার স্বাস্থ্যটা কেমন হবে, তা নির্ভর করে বাড়ির রান্নাঘরের ওপর। এমন অনেক স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ আছেন যারা কিছু গবেষণার মাধ্যমে অনন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের হসিদ বের করে ফেলেন। এখানে এমনই এক তথ্য দেওয়া হলো। এলাচের গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন। এখানে জেনে নিন এলাচের পানির কথা। একটানা ১৪ দিন এক ব্যক্তি এলাচের পানি খেয়েছেন। এরপর কী ঘটল? জেনে নেওয়া যাক তার ভাষাতেই। </p> <p>আসলে শীতকালের শুরুতেই তিনি এলাচের পানি খাওয়া শুরু করেন। শীতে আসলে পানি খেতেও মানুষের ইচ্ছা করে না। তাই এলাচের পানিতে চেষ্টা চালালেন তিনি। এমনিতেই শীতের আবহাওয়ার ত্বক কিংবা চোখ শুকনো থাকে। হাড়-জিরজিরে অবস্থা রীতিমতো। কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দেয় তাদের। এ অবস্থায় এলাচের পানি খেতে শুরু করলেন তিনি। </p> <p>পানি খুব কমই খাচ্ছিলেন তিনি। কেবল এলাচের পানি খাচ্ছিলেন। এমনিতেই তো পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো। কাজেই একটু বেশি বেশি এলাচ পানি খেতে আপাতদৃষ্টিতে কোনো আপত্তি নেই। প্রতিদিন সকালে খালিপেটে হালকা উষ্ণ পানিতে এলাচ ভিজিয়ে খেতে শুরু করি। এলাচের উপকারিতা তো মিলবেই। সঙ্গে পানির উপকারিতা বাড়তি। সকালে উঠেই এক বোতল এলাচ পানি প্রস্তুত করে ফেলতাম। দুপুরের মধ্যে তা শেষ। হালকা ঝাঁঝালো পানিতে উষ্ণতা মিলতো। এভাবে চলল ১৪ দিন। এরপর যা ঘটল- </p> <p>১. আমার বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু হতে থাকলো। প্রাণশক্তি বৃদ্ধি পেলো। ক্লান্তিভাব আর আগের মতো আসে না। কাজের চাপে আগে প্রায়ই ক্লান্ত হয়ে যেতাম। কিন্তু এখন আর কোনো চাপই গায়ে লাগে না। একেবারে চনমনে হয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠতাম। </p> <p>২. আমার ওজন কমে যায় জাদুর মতো। নিয়মিত এলাচ পানি খাওয়ার পর ক্ষুধাও কমে আসে। যদিও তিনবেলাই খেতাম। কিন্তু ওজন স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে চলে আসে। </p> <p>৩. ত্বকে জেল্লাই বেড়ে গেলো ১৪ দিনে। আগে এমনটা ছিল না। আগের ত্বক এবং এলাচ পানি খাওয়ার পরের ত্বকের পার্থক্য স্পষ্ট বুঝতে পারলাম। </p> <p>এমনই বেশ কিছু উপকারিতা মিলল। হজমশক্তি বেড়ে যায়। দেহে অবসাদ ভাব আর থাকে না। গোটা দিনজুড়ে কোনো খারাপলাগা অনুভূতিও উধাও হয়ে যায়। <br /> সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া </p>