<p>মার্কিন বিশেষ বাহিনী ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল। সে সময় কোনোভাবেই যখন তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন এক ডাক্তার। পরবর্তীতে ডা. শাকিল আফ্রিদি আটক করে পাকিস্তান।</p> <p>পরবর্তীতে এই শাকিল মার্কিনিদের কাছে একজন বীর হয়ে ওঠেন। তবে পাকিস্তানিদের কাছে তিনি এখনও বিশ্বাসঘাতক। তার সহায়তায় পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ থেকে লাদেনকে খুঁজে পেয়ে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।</p> <p>এরপর থেকে পাকিস্তান সরকার সে ডাক্তারকে আটক করে রেখেছে। অন্যদিকে মার্কিনিরা পাকিস্তানের সেই বন্দি ডাক্তারের মুক্তির জন্য চেষ্টা করছেন। কিছুদিন আগেই শাকিল আফ্রিদির মুক্তি চাইলেন এক মার্কিন আইনপ্রণেতা।</p> <p>টেড পো নামে ওই কংগ্রেস সদস্য মার্কিন জনপ্রতিনিধি সভায় বলেছেন, পাকিস্তান নিজেকে আমেরিকার সন্ত্রাস দমন অভিযানের এক নম্বর শরিক বলে দাবি করে, অথচ ওই হিরোকে জেলে আটকে রেখে দ্বিচারিতা করছে। পাকিস্তান আমেরিকার বন্ধু নয় মোটেই। ওরা সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভুল দিকে রয়েছে। লাদেনকে বিশ্বের নজর থেকে সরিয়ে রেখেছিল।</p> <p> সে সম টেক্সাসের ওই রিপাবলিক্যান আইনপ্রণেতা বলেন, লাদেনকে খতম করতে সাহায্য করায় ডা. আফ্রিদির জেলে পচা উচিত নয়, মেডেল প্রাপ্য। পাকিস্তান ওকে মুক্তি দিক। আর পাকিস্তানকেও সন্ত্রাসের রাষ্ট্রীয় মদতদাতা ঘোষণার সময় এসেছে।</p> <p>তবে এভাবে চাপ দিয়েও তাকে মুক্ত করতে পারেনি মার্কিন সরকার। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ আব্বাসী বলেন, ‘ড. আফ্রিদি এ দেশের আইন ভেঙেছেন এবং এ কারণেই বন্দি আছেন। তিনি বিভিন্ন আইন ভেঙেছেন এবং আমাদের এ দেশের আইনকেই ঊর্ধ্বে রাখতে হয়।’</p> <p>তিনি জানান, ড. আফ্রিদির কাজ ছিল পোলিও প্রোগ্রাম নিয়ে। ওসামা বিন লাদেন নিয়ে কোনো তথ্য তিনি যদি পান তাহলে তা পাকিস্তান সরকারকে জানানোই উচিত ছিল।</p> <p>আব্বাসী বলেন, আমরা জানতাম না যে, তিনি (লাদেন) সেখানে আছেন।</p> <p>পরবর্তীতে সন্ত্রাসী শক্তির সঙ্গে অন্যায় যোগাযোগসহ নানা অভিযোগে ডা. আফ্রিদির ৩৩ বছরের জেল হয়। তার বিরুদ্ধে আট বছর আগের একটি খুনের অভিযোগও আনা হয়।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাকে মুক্ত করার জন্য বহুবার অনুরোধ করা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি পাকিস্তান। এমনকি এজন্য পাকিস্তানের মিলিয়ন ডলার সহায়তা বাতিলের হুমকিতেও কাজ হয়নি।<br /> সূত্র : ডেইলি মেইল</p>