ঢাকা, সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৭ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৭ শাবান ১৪৪৬

সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার

সিগারেটের পেছনে মাসে কারো কারো হাজার হাজার টাকা ব্যয় হয়। জানেন কি এই সিগারেট কি থেকে তৈরি হয়? হ্যাঁ, অবশ্যই তামাক পাতা সুন্দর করে কেটে পরিশোধন করার পর তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক কয়েকটি উপাদান মিশিয়ে কাগজে মোড়ানো সিলিন্ডারের ভেতর পুরে সিগারেট তৈরি করা হয়।

তবে সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, সিগারেটের মুল উপাদান গুলির একটি ইঁদুরের বিষ্ঠা। অবাক হওয়ার কিছুই নেই।

কারণ সম্প্রতি অপর একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে, পৃথিবী বিখ্যাত আইভরি কফি তৈরি নাকি তৈরি হয় হাতির বিষ্ঠা থেকে। যেমনটি ভারতে কফি তৈরি হয় বিড়ালের মল থেকে!

যাই হোক এসব তাও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তী যে তথ্যটি একেবারেই ঘৃন্যকর, সেটি হল সিগারেটের ফিল্টারে ব্যবহার করা হয় শূকরের রক্ত। নেদারল্যান্ডস এর এক গবেষণায় দেখা গেছে- ১৮৫টি সিগারেট উৎপাদনকারী কারখানায় ব্যবহার করা হয় শূকরের রক্ত।

কারণ সিগারেটের ফিল্টারে রক্তের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিমোগ্লোবিন ব্যবহার করা হয়।

নেদারল্যান্ডসের ওই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, শূকরের রক্ত থেকে হিমোগ্লোবিন নিয়ে তা সিগারেটের ফিল্টারে ব্যবহার করা হয়। গ্রিসের একটি সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শূকরের হিমোগ্লোবিন ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকারও করেছে। তারও আগে জানা গিয়েছিল, সস্তা সিগারেটের মধ্যে অ্যাজবেস্টস এবং মৃত মাছিও থাকে।

দেখুন ভিডিওতে...

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘সুগার ড্যাডি’র সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যেসব দেশে

    বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সুগার ড্যাডির সংখ্যা ভারতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া তালিকায় রয়েছে জাপান, শ্রীলঙ্কার মতো দেশও
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘সুগার ড্যাডি’র সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যেসব দেশে
সংগৃহীত ছবি

যত দিন যাচ্ছে বদলে বদলে যাচ্ছে মানুষের সম্পর্কের সংজ্ঞাও। যত না আবেগের তার থেকেও বেশি সম্পর্ক হয়ে উঠছে বস্তু নির্ভর। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সম্পর্ক বিষয়টিই হয়ে যেন হয়ে উঠেছে দেওয়া নেওয়ার প্রতীক! যে কারণে হালের সবচেয়ে পরিচিত শব্দ ‘সুগার ড্যাডি’। শব্দটি অনেকেই শুনেছেন।

এ প্রজন্মের তরুণীদের সঙ্গে শব্দটি বেশ জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে বলা চলে। 

আরো পড়ুন
‘মব’ নয়, নাট্যকর্মীদের একাংশের কারণেই স্থগিত উৎসব : ফারুকী

‘মব’ নয়, নাট্যকর্মীদের একাংশের কারণেই স্থগিত উৎসব : ফারুকী

 

সুগার ড্যাডি কাকে বলে? আসলে এক বিশেষ ধরনের সম্পর্কের বর্ণনা দিতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের সম্পর্কে একজন বয়স্ক এবং ধনী পুরুষ একজন কম বয়সী সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। পাশাপাশি ওই ধনী ব্যক্তি তার তরুণী সঙ্গীকে আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য সুবিধাও দেন।

চলতি ভাষায় এই ধরনের সম্পর্কে লিপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে ‘সুগার ড্যাডি’ বলা হয়। যদিও বিষয়টির কোনো ব্যাকরণগত বা আইনি ভিত্তি এখনও পর্যন্ত নেই। কেউ কেউ বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ হিসেবে দেখেন, আবার কেউ এটাকে নৈতিকতার দিক থেকে ভুল মনে করেন। তাই এই ধরনের সম্পর্কের বৈধতা এবং নৈতিকতা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক রয়েছে।

আরো পড়ুন
ভালোবাসা দিবসে প্রয়াত সুশান্তের বাড়ির সামনে রুশ অনুরাগীরা

ভালোবাসা দিবসে প্রয়াত সুশান্তের বাড়ির সামনে রুশ অনুরাগীরা

 

এবার সুগার ড্যাডি নিয়ে একটি চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করলো ‘এসইএশিয়া ডট স্ট্যাটস’ নামের একটি সমীক্ষক সংস্থা। কোন দেশে কতো সংখ্যক সুগার ড্যাডি রয়েছে, তা নিয়েই এই পরিসংখ্যান। প্রকাশিত ওই পরিসংখ্যান বলছে, এই তালিকায় ভারত রয়েছে একেবারে শীর্ষে। এখানে সুগার ড্যাডির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় তিন লক্ষ আটত্রিশ হাজারেরও বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন ভারতে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এখানে ষাট হাজারেরও বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া এবং জাপান। এই দুটি দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা প্রায় বত্রিশ হাজার পাঁচশো। চতুর্থ স্থানে রয়েছে তাইওয়ান। এখানে প্রায় সাতাশ হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। এখানে বারো হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন।

আরো পড়ুন
বিয়ে করলেন ইয়াসমিন লাবন্য, বর কে?

বিয়ে করলেন ইয়াসমিন লাবন্য, বর কে?

 

তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সপ্তম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুই দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা যথাক্রমে এখানে আট হাজার এবং পাঁচ হাজারের মতো। অষ্টম স্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া। এখানে সাড়ে তিন হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছে। 

তবে এই সমীক্ষা কবে, কোথায় কিসের ভিত্তিতে হয়েছে তা নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি সংস্থাটি। কাজেই প্রশ্ন রয়েছে এই সমীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে।

মন্তব্য
স্মরণ

এম এ জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এম এ জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিবাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। আজকের এই দিনে ৬৬ বছর বয়সে তিনি লন্ডনের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

১৯১৮ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এম এ জি ওসমানী। তার বাবার নাম খান বাহাদুর মফিজুর রহমান, মাতা জোবেদা খাতুন।

তার পিতৃপুরুষের বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার বর্তমানে ওসমানীনগর থানার দয়ামীরে। খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে ওসমানী।

আরো পড়ুন
শহিদুল্লা কায়সারের জন্মদিন আজ

শহিদুল্লা কায়সারের জন্মদিন আজ

 

পিতার চাকরির সুবাদে জেনারেল ওসমানীর শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। ১৯২৩ সালে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় এবং মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯২৯ সালে আসামের কটন স্কুলে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শুরু করেন তিনি।

১৯৩৪ সালে তিনি অসাধারণ নম্বর পেয়ে বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাস করেন। ফলাফলের জন্য প্রিটোরিয়া পুরস্কার লাভ করেন তিনি। মেট্রিক পাস করার পর তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকেই ওসমানী আইএ ও বিএ পাস করে এমএ ১ম পর্ব শেষ করেন।
ইতিমধ্যে তিনি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।

কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ না দিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৩৯ সালে জুলাই মাসে ওসমানী ব্রিটিশ ভারতের সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪০ সালের ৫ অক্টোবর তিনি ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি দেরাদুন থেকে সামরিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে কমিশনপ্রাপ্ত হন। এরপর দ্রুত পদোন্নতি লাভ করে ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্যাপ্টেন এবং ১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজের সর্বকনিষ্ঠ মেজর হন।

 

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে লং কোর্স পরীক্ষা দিয়ে উচ্চস্থান লাভ করেন। দেশবিভাগের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। এ সময় তার পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল। পরবর্তী সময়ে তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলার আরো কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সঙ্গে পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ৯ম ব্যাটালিয়নের রাইফেলস কম্পানির পরিচালক, (ইপিআর)-এর অতিরিক্ত কমান্ড্যান্ট, সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ অফিসার প্রভৃতি দায়িত্ব পালন করেন। 

১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদমর্যাদা লাভ করেন এবং সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের জেনারেল স্টাফ অ্যান্ড মিলিটারি অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেন। পাক-ভারত যুদ্ধ যখন শেষ হয় তখন তার বয়স চল্লিশের ওপরে। ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

১৯৭০ সালের জুলাই মাসে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ থানার সমন্বয়ে গঠিত পাকিস্তানের বৃহত্তম নির্বাচনী এলাকা থেকে তার নিকটতম চারজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জাতীয় পরিষদে জয়লাভ করেন। 

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জাতির সংকটময় মুহূর্তে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হন এবং শত্রুর বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার স্বার্থে একটি সেনাবাহিনী, একটি গেরিলা বাহিনী গড়ে তোলেন। চরম বিপর্যয়ের মোকাবেলায় অসম ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি একটি সুশিক্ষিত ও সুসজ্জিত শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধ বিজয়ের দিকে ধাবিত করেন। 

জাতির প্রতি তার চরম ত্যাগ ও মহান সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্নেল ওসমানী পিএমসিকে জেনারেল পদে উন্নীত করেন। ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদ বিলুপ্ত হওয়ায় তিনি সামরিক বাহিনী থেকে ছুটি নেন এবং বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হিসেবে পরিষদের আসন গ্রহণ করেন।

সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ও আজীবন গণতন্ত্রী জেনারেল ওসমানী ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের জাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ ও বিমান চলাচল মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জন্য একটি সুষ্ঠু নৌপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। 

মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুইবার মন্ত্রী হন এবং ১৯৭৪ সালের পয়লা মে তিনি একযোগে মন্ত্রিসভা ও সংসদ সদস্য পদ থেকে এবং বাকশাল গঠনের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগ থেকেও পদত্যাগ করেন। 

১৯৭৫ সালের ২৯ আগস্ট তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদের অনুরোধে প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করলেও ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে পদত্যাগ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নিজস্ব রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় জনতা পার্টি’ গঠন করেন। 

তিনি ১৯৭৮ এবং ১৯৮১ সালে মোট দুইবার রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জেনারেল ওসমানী চিরকুমার থেকেও রাজনীতি থেকে তথা জনগণের কল্যাণ থেকে কখনো সরে দাঁড়াননি। আজীবন সংগ্রামী এই মহান বীরের শেষের জীবনে স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছিল না। তার সার্বিক সুচিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর এই মহান নেতা ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৬৬ বছর বয়সে লন্ডন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছামতো তাকে হযরত শাহজালাল (র.)-এর দরগায় তার মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এই মহান নেতার  সুবিশাল  কর্মময় জীবন ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ওসমানী উদ্যান’, ‘ওসমানী মেমোরিয়াল হল’, সিলেট এমএজি  ওসমানী হাসপাতাল, ‘ওসমানী জাদুঘর’ এবং ওসমানী বিমানবন্দরের নামকরণ তার নামে করা হয়েছে।

মন্তব্য

পোল্ট্রি শিল্প ও ডব্লিউপিএসএ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত হওয়া চাই

ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ
ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ
শেয়ার
পোল্ট্রি শিল্প ও ডব্লিউপিএসএ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত হওয়া চাই
সংগৃহীত ছবি

ভূমিকা
বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। দেশের পুষ্টি সরবরাহ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচনে পোল্ট্রি শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম। ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউপিএসএ) এই খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তবে বাস্তবে এটি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। ডব্লিউপিএসএ-বিবি (বাংলাদেশ শাখা) মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে, যার ফলে স্থানীয় খামারি, গবেষক ও শিক্ষাবিদরা কাঙ্ক্ষিতভাবে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না।


ডব্লিউপিএসএ-এর লক্ষ্য ও বর্তমান বাস্তবতা

ডব্লিউপিএসএ-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অত্যন্ত মহৎ:
 

লক্ষ্য
একটি সুস্থ ও অপুষ্টিমুক্ত জাতি গঠন।
পুষ্টি সংবেদনশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মিশন:
পোল্ট্রি শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে অপুষ্টি দূরীকরণ।
পোল্ট্রি বিজ্ঞান সম্পর্কে শিক্ষাদান, গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধি।


মূল্যবোধ:
"বিশ্বকে খাওয়ানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করা।"
"গবেষণা ও শিক্ষার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি।"
"কম খরচে বেশি করা।"

তবে বাস্তবতায় দেখা যায়, ডব্লিউপিএসএ-বিবি প্রধানত ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল এবং বিভাগীয় ও প্রান্তিক পর্যায়ে সংযোগ স্থাপনে ব্যর্থ।

এটি বর্তমানে একটি অভিজাত ক্লাবের মতো কাজ করছে, যেখানে সাধারণ কৃষক ও খামারিরা অংশ নিতে পারছেন না।

বাংলাদেশে ডব্লিউপিএসএ-এর কার্যক্রম: সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে ডব্লিউপিএসএ-বাংলাদেশ শাখার একাধিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা এর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে।

ঢাকাকেন্দ্রিক কার্যক্রম ও একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ
ডব্লিউপিএসএ-বিবি মূলত ঢাকা শহরের নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত হয়, যা বিভাগীয় ও প্রান্তিক পর্যায়ে সংযোগ স্থাপনে ব্যর্থ।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও তাদের সাথে কার্যকর সংযোগ স্থাপন করা হয়নি।
স্থানীয় কৃষকদের মতামত বা অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।


বিভাগীয় শাখাগুলোর দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতা
সম্প্রতি ডব্লিউপিএসএ বিভাগীয় শাখা গঠন করলেও এগুলো কার্যকর কোনো দায়িত্ব বা ক্ষমতা পায়নি।

কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিভাগীয় শাখার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকায় তথ্য আদান-প্রদান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
একগুঁয়ে নীতিমালা ও অভিজাতদের জন্য বরাদ্দ কার্যক্রম
১৩তম ডব্লিউপিএসএ পোল্ট্রি শো (১৮-২২ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা) উপলক্ষে আয়োজিত টেকনিক্যাল সেমিনারে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু অংশগ্রহণকারী সুযোগ পাচ্ছেন।

স্থানীয় বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও খামারিদের উপস্থিতির সুযোগ রাখা হয় নাই।
পোল্ট্রি খাতের সমস্যাগুলো নিয়ে নীতি-নির্ধারকদের সাথে বাস্তব আলোচনার কোনো ব্যবস্থা নেই।
ডব্লিউপিএসএ-এর কাঠামোগত পরিবর্তন কেন প্রয়োজন?
যদি ডব্লিউপিএসএ-বিবি প্রকৃত অর্থে দেশের পোল্ট্রি খাতের উন্নয়ন করতে চায়, তবে এর কাঠামোগত পরিবর্তন অপরিহার্য। 

নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি:
গ্রামীণ কৃষক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করা
ডব্লিউপিএসএ-এর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়মিত কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ পরিচালনার মাধ্যমে পোল্ট্রি বিজ্ঞানকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে হবে।
কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় শাখার মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা
বিভাগীয় শাখাগুলোকে স্বায়ত্তশাসিত ক্ষমতা দিতে হবে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।
গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং পোল্ট্রি খাত উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্য সর্বস্তরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
টেকনিক্যাল সেমিনার ও পোল্ট্রি শোতে বৈচিত্র্যময় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা
শুধুমাত্র নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য নয়, বরং দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় কৃষক ও বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
পোল্ট্রি শো ও টেকনিক্যাল সেমিনারের স্থান ঢাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে আয়োজন করতে হবে।
ডব্লিউপিএসএ-বিবি-এর একচেটিয়া মনোভাব পরিহার করা
ডব্লিউপিএসএ-বিবি-কে একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণমুখী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

উপসংহার
ডব্লিউপিএসএ-বিবি যদি প্রকৃত অর্থে দেশের পোল্ট্রি খাতকে সমৃদ্ধ করতে চায়, তবে এর কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কার প্রয়োজন। একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে সমান সুযোগ, ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব ও বাস্তবসম্মত সমন্বয় নিশ্চিত করা আবশ্যক। না হলে, এটি শুধুমাত্র একটি অভিজাত শ্রেণির সংগঠন হিসেবেই থেকে যাবে, যার সুফল সাধারণ খামারি বা গবেষকদের কাছে পৌঁছাবে না। দেশের পোল্ট্রি শিল্প ও কৃষকদের কল্যাণে ডব্লিউপিএসএ-এর কার্যক্রমকে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি।

লেখক : ডেপুটি চিফ ভেটেরিনারিয়ান, ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,  এবং সভাপতি (২০২৩-২৪), রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহী সেন্ট্রাল; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি (বিএলএস), যুগ্ম নির্বাহী সম্পাদক (বাংলাদেশ লাইভস্টক জার্নাল; আইএসএসএন ২৪০৯-৭৬৯১), সভাপতি, বিবিসিএফ, রাজশাহী এবং সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), রাজশাহী । 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কাজী হায়াৎ’র জন্মদিন আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাজী হায়াৎ’র জন্মদিন আজ
সংগৃহীত ছবি

চলচ্চিত্রের বরেণ্য নির্মাতা ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ এর আজ জন্মদিন। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় ১৯৪৭ সালের আজকের দিনে জন্ম তার। 

কাজী হায়াৎ ১৯৭৪ সালে পরিচালক মমতাজ আলীর সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবিরের সীমানা পেরিয়ে সিনেমায়ও ছিলেন সহকারী পরিচালক।

 

আরো পড়ুন
রংপুরের ৫ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী যারা

রংপুরের ৫ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী যারা

 

১৯৭৯ সালে নির্মাণ করেন তার প্রথম সিনেমা ‘দি ফাদার’। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা নির্মাণ করেন। তার নির্মিত সর্বশেষ সিনেমা ‘বীর’ ২০২০ সালে মুক্তি পায়। ১৯৯৪ সালে ‘দেশপ্রেমিক’ ও ২০০২ সালে ‘ইতিহাস’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

 

চলচ্চিত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে কাজী হায়াৎ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে মোট ৭৩টি পুরস্কার অর্জন করেছেন। বর্তমানে এ নির্মাতা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ