বাংলাদেশের ২০১৬ সালের পরিসংখ্যা বলছে, এদেশের ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটারে বাস করছে ১৬৬.৩৭ মিলিয়ন মানুষ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫.৬২ জন মানুষের বসতি (প্রতিবর্গ মাইলে ২৮৮৯.৪৫ জন)। বাংলাদেশের ২০.১ শতাংশ মানুষের বাস শহরে, আর বাকিরা অর্থাৎ ৭৯.৯ শতাংশ বাস করে গ্রামে। রাজধানী কেন্দ্রিক উন্নয়ন আর অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারণে গ্রামের মানুষগুলো বেকারত্ব ও নানা ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির শিকার হয়ে শহরমুখী হন।
ঢাকার ছয় স্থানে ১১ প্রজাতির মশার বংশবিস্তার: ড. ছারোয়ারের গবেষণা
কালের কণ্ঠ অনলাইন

রাজধানী ঢাকা দেশের সবচেয়ে বড় শহর। এ শহরে ১৪.৪ মিলিয়ন মানুষ বাস করে। এর প্রতিবর্গ কিলোমিটারে থাকেন ১৯৪৪৭ জন (প্রতিবর্গ মাইলে ৫০৩৬৮ জন)। পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকার মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই বস্তিতে বাস করেন।
মশাবাহিত রোগের মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং ফাইলেরিয়া।
ঢাকা শহরের মশা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ড. এম গোলাম ছারোয়ার। তাঁর গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মে ক্রমাগত বন্যার সময় মশা কয়েক প্রজন্ম ধরে টিকে থাকে। আবার গ্রীষ্মে শেষবারের মতো ডিম দেয়ার পর তা শীতকাল পর্যন্ত সুপ্তাবস্থায় টিকে থাকে। পুরুষ মশা গাছের কোষ-রস খেয়ে বেঁচে থাকে। স্ত্রী প্রজাতিও উদ্ভিদের কোষ-রস খেতে পারে। কিন্তু ডিমের পরিপক্কতার জন্যে তাদের রক্তপান জরুরি। এই মশাগুলো সেখানেই বিচরণ করে যেখানে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর বাস রয়েছে। এ কারণে তারা বাসাবাড়িতে এবং বিনোদক পার্কে হানা দেয়। যেখানে বড় বড় গাছ রয়েছে, সে জায়গা তাদের খুবই প্রিয়। বৃক্ষের ফাঁক-ফোকড়ে বাস করা মশাগুলো ব্যাপক সমস্যা মনে হলেও তারা মানুষের মধ্যে কোনো রোগ ছড়ানোর জন্যে দায়ী নয়। বরং এরা কুকুরের হার্ট ওয়ার্মের জন্যে দায়ী থাকে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিনোদন পার্ক এবং বাগানে মশার প্রজাতিগত ভিন্নতা এবং তাদের আধিক্য বোঝাতে এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। এর মাধ্যমে মানুষ মশাবাহিত রোগ সম্পর্ক আরো বেশি সচেতন হয়ে উঠবে।
ড. ছারোয়ার তাঁর গবেষণা-তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফের তত্ত্বাবধানে ঢাকা শহরের ছয়টি বাগান ও পার্কে গবেষণা পরিচালনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বোটানিক্যাল উদ্যান, বলধা গার্ডেন, ওসমানী উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা পার্ক এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এসব স্থানে মোট ১১ প্রজাতির মশার সন্ধান মিলেছে। এগুলো হলো- অ্যানোফিলিস অ্যানুলারিস, অ্যানোফিলিস কুলিসিফাসিয়েস, এডিস অ্যাজিপ্টি, এডিস অ্যালবোপিক্টাস, আর্মিজেরেস সুবালবাটুস, কুলেঙ ফুসকোসেফালা, কুলেঙ কুইনকোফ্যাসসিয়াটাস, কুলেঙ ট্রিটায়েনিওরিনসাস, ম্যানসোনিয়াঅ্যানুলিফেরা, ম্যানসোনিয়াউইনিফর্মিস এবং টঙরিনচিটেস বেনগ্যালেনসিস।
অ্যানোফিলিস মশা দুটো জায়গায় মিলেছে- রমনাপার্ক এবং বোটানিক্যালগার্ডেন। তবে ডেঙ্গুবাহীমশা অর্থাত্ এডিস অ্যাজিপ্টি মিলেছে কেবলমাত্র বলধাগার্ডেনে। এডিস অ্যালবোপিক্টাস এবং আর্মিজেরেস সুবালবাটুস পাওয়া গেছে ওই ছয়টি স্থানেই। কারণ এরা সাধারণত গাছে ফোকরে বাস করে। এগুলো আসলে বুনোমশা নামেই পরিচিত। ম্যানসোনিয়া অ্যানুলিফেরা প্রজাতির মশার বাস ওসমানী উদ্যান ছাড়া বাকি পাঁচটা স্থানেই দেখা গেছে। টঙরিনচিটেস বেনগ্যালেনসিস নামের বড় আকৃতির মশার সন্ধান মিলেছে বোটানিক্যালগার্ডেন এবং রমনাপার্কে। মশার প্রজাতিগত বৈচিত্র্য সবচেয়ে বেশি মিলেছে রমনাপার্কে আর সবচেয়ে কম ওসমানী উদ্যানে। এ দুই স্থানের বাস্তুসংস্থান এবং জীববৈচিত্র্যে ভিন্নতা আছে এবং মশা তার বংশ বিস্তারের সুবিধা অনুযায়ী স্থানগুলো বেছে নিয়েছে। এডিস অ্যালবোপিক্টাস, আর্মিজেরেস সুবালবাটুস, কুলেঙ ফুসকোসেফালা এবং কুলেঙ কুইনকোফ্যাসসিয়াটাস প্রজাতির মশাগুলো বর্ষা, শীত বা গ্রীষ্মসহ সব মৌসুমেই বংশ বিস্তার করে যায়।
এই ছয়টি পার্কই শহুরেদের বিনোদন ও শরীরচর্চার জনপ্রিয় স্থান। আর এসব স্থানেই বিভিন্ন প্রজাতির মশার ব্যাপক বাসের সন্ধান মিলেছে। যে ১১ প্রজাতির মশা চিহ্নিত হয়েছে তার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। রোগ সৃষ্টিকারী মশাগুলো হলো- অ্যানোফিলিস অ্যানুলারিস (ম্যালেরিয়া), এডিস অ্যাজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিক্টাস (ডেঙ্গু জ্বর), কুলেঙ ফুসকোসেফালা ও কুলেঙ কুইনকোফ্যাসসিয়াটাস এবং কুলেঙ ট্রিটায়েনিওরিনসাস (ব্যানক্রোফটিয়ানফিলারিয়াসিস) আর ম্যানসোনিয়া অ্যানুলিফেরা (মালায়ানফিলারিয়াসিস)। এ তথ্য প্রায় সবাই জানেন যে, বেশ কয়েক ধরনের স্ত্রী প্রজাতির মশা প্রাণীদেহ থেকে রক্ত শোষণ করে এবং নানা ধরনের রোগ ছড়ায়। শহরে বনাঞ্চল উজাড় করার কারণে এসব মশা অনেকটা মানুষের বাসাবাড়ি এবং আশপাশেই থাকে এবং মানুষের রক্ত খেয়েই বেঁচে থাকে। আসলে মানুষের কাজ-কারবারের ওপর নির্ভর করেই মশা তার বাসস্থান এবং রক্ত সংগ্রহের উৎস ঠিক করে নেয়।
তাই পার্কগুলোতে গাছের সংখ্যা কমিয়ে আনা সবচেয়ে বোকামির কাজ হবে। বরং বেশি বেশি গাছ লাগানো দরকার। এছাড়া ঢাকা আশপাশের অঞ্চলের ক্ষেত্রে একই বিষয় প্রযোজ্য। উদ্ভিদের দেহের ফোকরগুলো সিমেন্ট বা এ জাতীয় পদার্থ দিয়ে ভরাট করে দেয়া যেতে পারে। মশার বংশবিস্তার রোধে করণীয়গুলো পালন করলেই এর আধিক্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব এবং মশাবাহিত রোগ থেকেই নিরাপদ থাকা যায়।
সম্পর্কিত খবর

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জিবলি আর্ট আসলে কী?
অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জিবলি আর্ট বেশ ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। যেখান এআই চ্যাট জিপিটি দিয়ে জিবলি স্টাইলে ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, জিবলি আসলে কী।
জিবলি হচ্ছে জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও।
স্টুডিও জিবলির যাত্রা
১৯৮৫ সালে দুই কিংবদন্তি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকি ও ইসাও তাকাহাতার হাত ধরে শুরু হয় স্টুডিও জিবলির যাত্রা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি নতুন ধরনের অ্যানিমেশন তৈরি করা যেখানে জাপানের সংস্কৃতি, লোককথা, ইতিহাস ও আবেগ একসাথে প্রকাশ পাবে।
মিয়াজাকির অমর সৃষ্টি
স্টুডিও জিবলির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হায়াও মিয়াজাকি।
My Neighbor Totoro, Spirited Away, Howl’s Moving Castle, Princess Mononoke—এই চলচ্চিত্রগুলো সবই আলাদা আলাদা গল্প হলেও, প্রতিটি গল্পে সৌন্দর্য ও গভীরতার মেলবন্ধন রয়েছে। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Spirited Away অস্কার জিতেছিল। জাপানে মিয়াজাকিকে কিংবদন্তি হিসেবে স্মরণ করা হয়।
জিবলি আর্ট কেন এত জনপ্রিয়?
স্টুডিও জিবলির অ্যানিমেশন চিত্রশৈলী বাস্তব ও কল্পনার এক মিশ্রণ।
মিয়াজাকি ও এআই
২০১৬ সালে মিয়াজাকি এআই এর মাধ্যমে ছবি আঁকার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মতে, এটি দ্বারা জিবলির অ্যানিমেশন স্টাইল অনুকরণ করা মূলত শিল্পীদের কাজের অপমান। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা এআই দিয়ে ছবি আঁকছে, তারা জানে না কষ্ট কী। আমার মতে, এটা হওয়া উচিত নয়; এটি দুঃখজনক।‘
জিবলির অ্যানিমেশন ও এর স্রষ্টার চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে একবার ভাবুন, যখন আপনি এই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন।
সূত্র : আজতক বাংলা

বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অনলাইন ডেস্ক

আইনজ্ঞ, চিন্তাবিদ, নির্ভীক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। মাহবুব মোর্শেদ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে এমএ এবং ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মাহবুব মোর্শেদ হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬২-৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন।
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তফ্রন্ট গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি হিসেবে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি ঢাকায় রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন। আইয়ুব খানের শাসনকালে গণতান্ত্রিক অধিকার যখন বাধাগ্রস্ত, তখন মানুষের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের আসন থেকেই তিনি সংগ্রাম করেছিলেন।
১৯৬৯-এর আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি ছাত্র সমাজের ১১-দফার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। ওই বছরই আইয়ুব খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি পূর্ব বাংলার ছয়দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন ও সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবি জানিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। উপরোন্তু, প্রাদেশিক গভর্নর মোনায়েম খানের প্রশাসনের সঙ্গে তার সংঘাতের কথা তখন সুবিদিত ছিল। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি শাসকচক্রের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষাবলম্বন করেন।
আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করলেও দক্ষ বিচারক হিসেবেই মাহবুব মোর্শেদের খ্যাতি সুদূর প্রসারিত। বিচারপতির মর্যাদা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য তিনি কঠোর প্রয়াস চালিয়েছেন।
‘মন্ত্রীর মামলা’, ‘কর্নেল ভট্টাচার্যের মামলা’ ও ‘পানের মামলা’-য় তার ঐতিহাসিক রায় একজন অকুতোভয় বিচারকের ন্যায়নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?

প্রাচীন মিশরের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন হওয়ার পাশাপাশি পিরামিড বিস্ময়কর গাণিতিক রহস্যও বহন করে। হাজার বছর আগে আধুনিক প্রযুক্তির অনুপস্থিতিতেও কীভাবে মিশরীয়রা এত নিখুঁত গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে পিরামিড নির্মাণ করেছিল, তা আজও গবেষকদের ভাবিয়ে তোলে। চলুন, জেনে নিই পিরামিডের কিছু চমকপ্রদ গাণিতিক রহস্য।
‘পাই’ ও ‘ফাই’এর উপস্থিতি
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ও পরিধির অনুপাত প্রায় ৩.১৪১।
পৃথিবীর মাত্রা ও পিরামিড
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ১৪৬.৬ মিটার।
সূর্য ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
পিরামিডের নকশায় সূর্যের অবস্থান, নক্ষত্রের চলাচল ও ঋতুর পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছু গবেষক দাবি করেন, এটি জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
গণিতের নিখুঁত ব্যবহার
গ্রেট পিরামিডের প্রতিটি পাথরের ওজন প্রায় ২.৫ টন। পুরো পিরামিডে প্রায় ২৩ লাখ পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যদি প্রতিদিন ১০টি পাথর বসানো হতো, তাহলে পুরো পিরামিড তৈরি হতে ৬৩ বছর লাগত। এটি কীভাবে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছিল, তা এক বিশাল প্রশ্ন।
জ্যামিতিক নিখুঁত গঠন
পিরামিডের প্রতিটি কোণ প্রায় ৫১.৮৪ ডিগ্রি। যা প্রকৌশলগতভাবে স্থিতিশীল একটি কাঠামো গঠনের জন্য আদর্শ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আজকের আধুনিক স্থাপত্যশাস্ত্রেও এই কোণটি ব্যবহৃত হয়।
পিরামিড শুধু রাজাদের সমাধি নয়, বরং এটি এক গাণিতিক বিস্ময়। প্রাচীন মিশরীয়রা কীভাবে এত নিখুঁত গণনা করতে পারত, তা এখনো রহস্য। এটি কি শুধুই গণিত ও প্রকৌশলের ফল, নাকি এর পেছনে আরো গভীর কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে? গবেষকরা এখনো এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন।
সূত্র : ব্রিটানিকা

কেমব্রিজের এপ্রিল ফুলে বোকা বনল বিশ্ব
অনলাইন ডেস্ক

কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষের এপ্রিল ফুলে বোকা বনে গেল বিশ্ব।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিশেষ ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইংরেজি বর্ণমালা থেকে কিউ (Q) বর্ণটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।
ওই ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, “আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা সব সময় ইংরেজি বানান নিয়ে সমস্যায় পড়েন, বিশেষ করে ‘কিউ’ বর্ণ দিয়ে বানান করা শব্দগুলোর ক্ষেত্রে। তাই আমরা কেমব্রিজ ডিকশনারি থেকে ‘কিউ’ বর্ণটি সরিয়ে ফেলব।
তবে ‘কিউ’ বর্ণের পরিবর্তে অন্য কোন বর্ণ ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে ‘কিউইউ’ দিয়ে বানান করা সব শব্দের পরিবর্তে ‘কে’ অথবা ‘কেডব্লিউ’ দিয়ে বানান করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, kwiet, ekwipment এবং antike।
তবে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ‘এপ্রিল ফুল ডে’ লেখা লিংক শেয়ার করেছেন। দেখতে এখানে ক্লিক করুন।