বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হিসেব অনুযায়ী দেশে ৩৮টি পাবলিক এবং ৮৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ১৬ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে ১২২টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও এর কোনোটিই বিশ্বের সেরা ২০০০ এর মধ্যে নেই। এমনকি এশিয়ার সেরা ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতেও নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।
র্যাংকিং ওয়েব অব ইউনিভার্সিটির তালিকায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট)।
বিশ্বের সেরা দুই হাজারেও নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়
কালের কণ্ঠ অনলাইন

গত ৩১ জুলাইয়ে র্যাংকিং ওয়েব অব ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা এক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। এরপর যথাক্রমে রয়েছে ম্যাসাচ্যুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি; স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি; কর্নেল ইউনিভার্সিটি; ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে; ইউনিভার্সিটি অব মেসিগান; কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, নিউ ইয়র্ক; ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন; ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস; ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইসকনসিন, ম্যাডিসন; ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া এবং ইয়েলা ইউনিভার্সিটি।
বিশ্বসেরা তালিকার ১৩ ও ১৪তম স্থানে রয়েছে ইউরোপের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়।
ইউরোপের সেরা দশের তালিকায় থাকা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো যথাক্রমে সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, সুইজারল্যান্ড (বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ২০তম); ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (৩৪); ইউনিভার্সিটি অব ইডেনবার্গ (৫০); উতরেক্ট ইউনিভার্সিটি (৬০); হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি (৬৫); ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি (৬৬); ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব লিউভেন (৭৪) এবং বেলজিয়ামের জেন্ট ইউনিভার্সিটি (৭৮)।
র্যাংকিং ওয়েব অব ইউনিভার্সিটির তালিকায় এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টি চীনের। র্যাংকিংয়ের ৩৭তম অবস্থানে আছে দেশটির পেকিং ইউনিভার্সিটি। বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ৪৫তম স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; যা এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এশিয়ার সেরা ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতেও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এই তালিকার ৭২০তম স্থানে আছে দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শীর্ষে থাকা বুয়েট।
এশিয়ার সেরা দশের তালিকায় থাকা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো যথাক্রমে চীনের জিঝিয়াং ইউনিভার্সিটি (বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৪৮তম); ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটি (৪৯); সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি, চীন (৫৭); ইউনিভার্সিটি অব হংকং (৬৮); সাংহায় জিআও তং ইউনিভার্সিটি (৭০); কিয়োটো ইউনিভার্সিটি, জাপান (৭৫) এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (৮৯)।
বাংলাদেশের সেরা দশের তালিকায় তৃতীয় স্থান থেকে যথাক্রমে রয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিয়ে ৩০৮৬তম); রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৩৩৭৬); জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (৩৪৯৪); শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (৩৭১১); জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (৩৭১৭); খুলনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (৩৯৬৪); ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (৪১০২) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৪৪৭৯)।

বাংলাদেশ নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য বিভ্রান্তিকর: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিক্রিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা এবং ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে—মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের এ ধরনের মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর ও ক্ষতিকর হিসেবে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামকে আঘাত করে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দিনগত রাতের এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গভীর উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই) প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে এবং ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামের ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। দেশটি সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ বা গ্রহণযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়; বরং এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে অন্যায়ভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশকে ইসলামি খিলাফতের ধারণার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা দেশের কোটি নাগরিকের প্রচেষ্টা ও অর্জনকে খাটো করে, যারা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এ ধরনের ভিত্তিহীন প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘রাজনৈতিক নেতা ও জনপরিচিত ব্যক্তিত্বদের সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য করার আগে যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলা উচিত।
বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও গঠনমূলক সংলাপে যুক্ত থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

রেমিট্যান্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন এক ব্যক্তি : এনবিআর চেয়ারম্যান
অনলাইন ডেস্ক

প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে করমুক্ত সুবিধার সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তি ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
ওই ব্যক্তির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাম না বলাই ভালো। অ্যাকশনগুলো তো নিতে হবে। অ্যাকশন নেওয়ার পরে তখন অটোমেটিক্যালি আপনারা নাম জেনে যাবেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও বিসিএস কর ক্যাডারদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রেমিট্যান্সের নামে এক ব্যক্তির এত বিপুল অর্থ আনার ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে বলে মনে করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আইন করলাম যে, আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা যারা কঠোর পরিশ্রম করে বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা বললাম, তাদের এই আয়টা ট্যাক্স ফ্রি হবে।
‘এটা করা হয়েছিল প্রবাসী কর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য এবং তারা যাতে করে বিদেশে তাদের এই আয়টা বাংলাদেশে ফরমাল চ্যানেলে পাঠায়। আমাদের রিজার্ভে অবদান রাখবে। কিন্তু আইনকানুনের ব্যত্যয় করে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, শুনলে আশ্চর্য হবেন, এমন ট্যাক্সপেয়ার পাওয়া গেল, যিনি ৭৩০ কোটি টাকা নিয়ে আসলেন।
‘হয় আমরা এগুলো দেখি নাই। অথবা বুঝি নাই। অথবা দেখেও না দেখার ভান করছি।
বর্তমানে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশে আনার ক্ষেত্রে করমুক্তির সুবিধা রয়েছে। সেইসঙ্গে রেমিট্যান্সে সরকারের প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে আড়াই শতাংশ।

মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : রিজওয়ানা
অনলাইন ডেস্ক

দেশে কোনো ধরনের মাজার ভাঙচুর বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, মাজার ভাঙার নামে একটা নৈরাজ্য চলছে।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আলোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।