<p>নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সুন্দর ও বসবাসযোগ্য দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২০২৪ উপলক্ষে রাজউক অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। </p> <p>মন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে পূর্ণতা দিতে পেরেছিলেন, কারণ তিনি নিখাদ দেশপ্রেম এবং সর্বপ্রকার ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে বাঙালির সর্বজনীন স্বার্থের জন্য কাজ করেছিলেন। আর এভাবেই বাঙালির হাজার বছরের পরম লালিত স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করতে পেরেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।’</p> <p>নতুন প্রজন্মের প্রতি দেশ গড়ার কাজে মনোযোগ দিতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর দেশ রেখে যেতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মের যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি, তাদের দায়িত্ব হলো-দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও বসবাসযোগ্য দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একাগ্রচিত্তে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা- এটা করতে পারলেই আপনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন - আমি আপনাকে মুক্তিযোদ্ধা বলব।’</p> <p>বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য প্রেরিত এক মহাপুরুষ উল্লেখ করে আলোচনাসভার বিশেষ অতিথি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্জনের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দেওয়ার মতো ইস্পাতকঠিন অঙ্গীকারে যুদ্ধে নেমেছিলেন। ভাবনার পবিত্রতার এক অনন্য স্তরে উন্নীত হতে পেরেছিলেন শুধু দেশমাতৃকার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্যই। বাংলাদেশের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, আমাদের ভেতরে যদি ঘুণপোকা না থাকে, আমরা যদি এই দেশটাকে কুরে কুরে না খাই - তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সুখে থাকবে।’</p> <p>আলোচনাসভার সভাপতি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সভার প্রধান অতিথি মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর সামনে এক অনন্য দাবি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পেলেও ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে যে নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিল তার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আজ পর্যন্ত মেলেনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায় ও যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটির রিপোর্টে এই গণহত্যার সপক্ষে অকাট্য দলিল-প্রমাণ-তথ্যাদি থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত এই গণহত্যা আন্তর্জাতিক মহলে অনেকটা আড়ালেই রয়ে গেছে।’</p> <p>আলোচনাসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজউক-এর সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম; সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.); সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, এন ডি সি-সহ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।</p> <p> </p>