<p>কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি ঠেকাতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে ‘মরদেহ সুরক্ষা আইন’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে আইন প্রণয়নের অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।</p> <p>এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি)-সহ ২৫ জন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।</p> <p>লাশ ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মার্চ মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামের সংগঠনের পক্ষে এ রিট আবেদন করা হয়।<br /> আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।</p> <p>আইনজীবী মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশের জবাব না পেয়ে এবং দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখতে না পেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়।’ আইনজীবী মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান।</p>