<p style="text-align: justify;">জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরীর সঙ্গে ভারতের মিনিস্ট্রি অব পারসোনেল, পাবলিক গ্রিভেন্সেস অ্যান্ড পেনশনস ডিএআর অ্যান্ড পিজি সচিব শ্রী ভি শ্রীনিভাস দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিবের নিজ দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।   </p> <p style="text-align: justify;">এর আগে ভারতের সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে ভারতে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী মিড ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে মনবিনিময়সভায় অংশ নেন।  </p> <p style="text-align: justify;">দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুই মন্ত্রণালয়ের মানবসম্পদ উন্নয়নে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আগামী দিনে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। </p> <p style="text-align: justify;">এ সময় সিনিয়র সচিব বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিলক্ষ্য বিশেষত বৃহদায়তন প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়নে ভারত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও এক্সচেঞ্জ প্রগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা আরো বিস্তৃত হবে বলে সিনিয়র সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিনিয়র সচিব আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সিভিল সার্ভিসের গঠন ও কার্যপ্রণালি, আইন ও নীতিগত ধারাবাহিকতার ঐতিহ্য, সমস্যা ও সম্ভাবনাসমূহের বিস্তর মিল রয়েছে। শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক মিল থাকায় আমাদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় দু’দেশের সুশাসনের জন্য সহায়ক হবে। ফলে এ সকল ক্ষেত্রেও দু’দেশের আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’ </p> <p style="text-align: justify;">বৈঠককালে ভারতের মিনিস্ট্রি অব পারসোনেল, পাবলিক গ্রিভেন্সেস অ্যান্ড পেনশনস, ডিএআর অ্যান্ড পিজি সচিব দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে ঐতিহাসিকভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ক উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। এ উদ্দেশ্যে জনপ্রশাসন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন, সিভিল সার্ভিসের দক্ষতা উন্নয়ন এবং বেস্ট প্র্যাক্টিসের বিষয়ে অভিজ্ঞতার আদান প্রদান বিষয়ে বৈঠকে আলোকপাত করা হয়। </p> <p style="text-align: justify;">এ সময় ভারতের প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ, রেক্টর (সচিব) বিপিএটিসি, রেক্টর (সচিব) বিসিএস প্রশাসন একাডেমি, ডিজি (সচিব), এনএপিডি, রেক্টর (সচিব) এনএডিএ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাসুদুল হাসান এবং অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের কাউন্সিলর পাওয়ান বাধে উপস্থিত ছিলেন।</p>