<article> <p style="text-align: justify;">সারা দিন রোজার পর পানিশূন্যতা রোধে, বিপাকীয় ও শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ ঠিক রাখতে এবং দেহে ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স করার জন্য পানি ও বিভিন্ন ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি গ্রহণ অপরিহার্য। যেসব পানীয় ইফতারের সময় থেকে গ্রহণ করতে পারি তার কিছু উদাহরণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :</p> <p style="text-align: justify;"><strong>যে ধরনের পানীয় খেতে হবে</strong></p> <p style="text-align: justify;">♦  বিভিন্ন ধরনের ফলের শরবত, যেমন—আম, তরমুজ, পাকা পেঁপে, জলপাই, আমড়া, কতবেল, বেল, কমলা, মাল্টা, আপেল, আনারস, ডালিম ইত্যাদি।</p> <p style="text-align: justify;">♦  ইসবগুল, তোকমা দেওয়া পানীয়।</p> <p style="text-align: justify;">♦  দই দিয়ে তৈরি করা লাচ্ছি বা মাঠা।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">♦  ডাবের পানি, ডাবের শাঁস।</p> <p style="text-align: justify;">♦  চিয়া সিড, অ্যালোভেরা বা লেবুর শরবত।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>যে ধরনের উপাদানমিশ্রিত পানীয় ডিটক্সে সহায়ক</strong></p> <p style="text-align: justify;">♦  আদা, শসা, পুদিনা।</p> <p style="text-align: justify;">♦  টক দই, শসা, পুদিনা, পিংক সল্ট, লেবুর রস।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">♦  জিরা, আদা, লেবুর রস, ধনেপাতা।</p> <p style="text-align: justify;">♦  মেথি, জিরা, আদা, লেবুর রস।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>স্মুদি তৈরিতে যে উপাদানগুলো ব্যবহার</strong></p> <p style="text-align: justify;">♦  আপেল, বাদাম, খেজুর।</p> <p style="text-align: justify;">♦  বিভিন্ন ধরনের বাদাম, কলা, জাফরান, জিরা।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">♦  কলা, মধু, দুধ, বাদাম।</p> <p style="text-align: justify;">♦  কমলা, দুধ।</p> <p style="text-align: justify;">♦  আম, আনারস, ডাবের পানি।</p> <p style="text-align: justify;">♦  স্ট্রবেরি, বাদাম, দুধ/দই।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>উপকারিতা</strong></p> <p style="text-align: justify;">♦  ফলের শরবত থেকে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস পাওয়া যায়, যা আমাদের দেহে শক্তি প্রদান করে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">♦  শরীর থেকে টক্সিসিটি বের করে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।</p> <p style="text-align: justify;">♦  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  ত্বক ও পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  দেহের আর্দ্রতা ও সজীবতা ধরে রাখে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  ক্রনিক ডিজিজের ঝুঁকি কমায়।</p> <p style="text-align: justify;">♦  প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  চোখ, চুল, নখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  ঘুম ভালো হয়।</p> <p style="text-align: justify;">বিভিন্ন ধরনের পানীয় খাওয়ার সময় ও পরিমাণ</p> <p style="text-align: justify;">ইফতারের সময় থেকে সাহরি পর্যন্ত একজন ব্যক্তিকে দুই-তিন লিটার পানি ও পানীয়  পান করতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>যেসব নিয়ম মানবেন</strong></p> <p style="text-align: justify;">♦  উপরোক্ত খাবারের মধ্যে কোনোটিতে অ্যালার্জি থাকলে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।</p> <p style="text-align: justify;">♦  আইবিএসে আক্রান্ত রোগীদের কেজিন ও ল্যাকটোজ (দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার), সরবিটল জাতীয় ফল (আপেল, খেজুর, চেরি, আঙুর, তাল, নাশপাতি) এড়িয়ে চলতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  চা, কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবার খেলে সারা দিনে পানির পিপাসা বেশি লাগবে, শরীর ঘামবে, ইলেকট্রোলাইট বা খনিজ অসমতা বেশি হবে। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত নিয়মিত হারবাল চা, গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত রোগীদের দুধ চা, গ্রিন টি, কফি এড়িয়ে চলতে হবে। তবে তাঁরা লেবু চা খেতে পারবেন।</p> <p style="text-align: justify;">♦  ফ্লুইড রেস্ট্রিকশন আছে এমন রোগীদের (যেমন—হার্টের রোগী, কিডনি রোগী, ইএসআরডিতে আক্রান্ত রোগী) অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী পানীয় গ্রহণ করতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;"> </p> <p style="text-align: justify;"><strong>পরামর্শ দিয়েছেন</strong></p> <p style="text-align: justify;">ফারজানা রহমান</p> <p style="text-align: justify;">পুষ্টিবিদ ও ডায়েট কনসালট্যান্ট</p> <p style="text-align: justify;">কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উত্তরা</p> </article>