<p>ওশেনিয়ার ছোট্ট দ্বীপদেশ ভানুয়াতু। মোটে তিন লাখের মতো মানুষের বসবাস সেখানে। ছোট্ট এই দেশটা প্রথমবারের মতো মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে নেমে সবাইকে চমকে দিয়েছে। গতকাল জিম্বাবুয়ের মেয়েদের ৩ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস লিখেছে ভানুয়াতুর মেয়েরা।</p> <p>আবুধাবিতে এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের পরীক্ষা নেন দলটির দুই স্পিনার ভ্যানেসা ভিরা ও নাসিমানা নাভাইকা। চার ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ২৮ বছর বয়সী লেগ স্পিনার নাভাইকা। ১৭ বছর বয়সী অফ স্পিনার ভিরার শিকার ১৪ রানে ৩ উইকেট। এতেই জিম্বাবুয়ে মাত্র ৬১ রানে গুটিয়ে যায়। যা তাদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।</p> <p>জবাব দিতে নেমে ২১ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য পূরণ করে ভানুয়াতু। বোলিংয়ে চার উইকেটের পর নাভাইকা ব্যাট হাতে তিন নম্বরে নেমে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন। দলটির এমন পারফরম্যান্সের পর কে-ই বা বলবে পূর্ব-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাইরের কোনো দেশের সঙ্গে এটিই ছিল ভানুয়াতুর প্রথম ম্যাচ। আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে এর আগে খেলার সুযোগ হয়নি তাদের। প্রথমবার এমন এক ম্যাচ খেলতে নেমে সবাইকে চমকে দিল তারা।</p> <p>অথচ জেনে অবাক হবেন, দলটির সদস্যদের ব্যাট, গ্লাভসের মতো কিট সাধারণত আসে চাঁদা বা অনুদান থেকে। সেগুলোও সাধারণত পুরনো, ব্যবহৃত সরঞ্জামই হয়। এমনি চলমান বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলতে আসার মতো যথেষ্ট অর্থও তাদের ছিল না। আইসিসি থেকে বছরে তারা যে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারের মতো পায়, তা দিয়ে চলে তাদের ক্রিকেট বোর্ডের গোটা বছরের সব কার্যক্রম।</p> <p>বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে যাওয়া নারীদলের জন্য জনগণের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়ার মতো উদ্ভাবনী উপায়ের আশ্রয় নিতে হয় ভানুয়াতু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে। ভালো সাড়া মেলে। চাঁদা ওঠে প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার ভাতু (প্রায় সাত লাখ টাকা)। তাতে দলের প্রতিটি সদস্য পান নতুন কিট, ব্যাট, দুই জোড়া গ্লাভস, প্যাড ও থাই প্যাড। এর সঙ্গে সফরে পুরো বেতনও পাবেন তাঁরা। চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলটিই প্রথমবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলতে নেমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইতিহাস লিখে ফেলল!</p>