<p>পিঠে চোট পাওয়ায় শুক্রবার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ছিলেন না জোনাথন ফার্নান্দেস। হলুদ কার্ডের খড়্গে পড়ে খেলতে পারেননি আরেক মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়। আবাহনীর মধ্যমাঠে এই দুজনের অভাব যেন ফুটে উঠল ভালোভাবেই। মাঝমাঠ থেকে জামাল ভুঁইয়া-পাপন সিংহরা বলের যোগান দিতে না পারায় রাসেলের বক্সে সেভাবে ভীতি ছড়াতে পারছিল না দলটির আক্রমণভাগ। তবে শেষ পর্যন্ত আবাহনীর ত্রাতা হয়ে আসেন আরেক ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোকা। দ্বিতীয়ার্ধে তার করা গোলেই রাসেলের প্রতিরোধ ভাঙে আকাশি-নীলরা। কিংস অ্যারেনা থেকে এই এক গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে আন্দ্রেস ক্রসিয়ানির দল। এতে দুইয়ে থাকা মোহামেডানের ওপর চাপ বাড়াল আবাহনী। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৫।</p> <p>নিজেদের মাঠে অবশ্য শুরুটা ভালোই করেছিল শেখ রাসেল। আবাহনীর ওপর চাপ তৈরি করার চেষ্টায় ছিল দলটি। তবে সময় বাড়লে বলের দখল নিজেদের পায়ে নেয় আবাহনী। ১৮ মিনিটে মিতুল মারমার প্রথম পরীক্ষা নেন ব্রুনো। তার বাঁকানো ফ্রি কিক অনেকটা লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন শেখ রাসেল গোলরক্ষক। মধ্যবিরতির পর গোল প্রায় পেয়েই গেছিল শেখ রাসেল। কিন্তু ভাগ্যসহায় হয়নি। রক্ষণের প্রতিরোধ ভেঙে বক্সে বল পেয়েছিলেন সেকু সিল্লাহ, কিন্তু তার শট ছুটে এসে গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল আটকে দেন। ফিরতি বলে সুমন রেজাও পারে বল জালে পাঠাতে, এই ফরোয়ার্ডের শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। ম্যাচের গতিপথ ড্রয়ের পথে এগোলেও ৭৪ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন ব্রুনো। বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে নিজের হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। ম্যাচে ফিরতে শেষ দিকে আবাহনীর রক্ষণে হানা দিয়েও কাঙ্ক্ষিত গোলের খোঁজ পায়নি শেখ রাসেল। ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট তাদের।</p> <p>অন্য ম্যাচে মুন্সিগঞ্জে রহমতগঞ্জকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ফর্টিস এফসি। তিন ম্যাচ পর জয়ে ফিরল তারা। রাশেদুল ইসলাম ফর্টিসকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পা ওমার বাবু। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান স্যামুয়েল কোনি। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে ফর্টিস ১০ পয়েন্টে অবনমন অঞ্চলে রহমতগঞ্জ। </p>