<p>শুরুতে ব্যাটিং ধ্বস নামবে। তাতে দ্রুতই ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও জাগবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত একটি না একটি জুটি দাঁড়িয়ে যাবেই যাবে। তাঁদের সেৌজন্যে খাদের কিনারা থেকে মোটামুটি একটি ভদ্রস্থ চেহারা নেবে দলের ইনিংস। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চেৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও সেই একই চিত্রনাট্য মানা ব্যাটিং জিম্বাবুয়ের।</p> <p>প্রথম ম্যাচে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসা দলকে অষ্টম উইকেটে ৭৯ যোগ করে টেনে তুলেছিলেন ক্লাইভ মাডান্ডে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। আফ্রিকার দলটিও এক শ' পেরিয়ে থেমেছে ১২৪ রানে। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া দলটির অবস্থা প্রায় কাছাকাছিই। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তাঁরা। সেখান থেকে ৭৩ রানের পার্টনারশিপে এবার জিম্বাবুয়ের ত্রাণকর্তা ব্রায়ান বেনেট এবং অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেল। জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৫ রান করতে খেলেন মাত্র ২৪ বল। তাঁর ইনিংসে ৩টি ছক্কার সঙ্গে আছে ৪টি চারের মারও। ৩ ছক্কা আর ২ চারে ২৯ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন বেনেট। জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে আগের ম্যাচের চেয়ে ১৪ রান বেশি, ১৩৮ রান। এবার অবশ্য তাঁদের অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। </p> <p>জোনাথনকে ফিরিয়ে ৭৯ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। আগের ম্যাচে ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা তাসকিন আহমেদ এদিনও ১৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ওপেনার টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে (২) এলবিডাবি্লউর ফাঁদে ফেলে সফরকারীদের ধ্বসের সূচনাও এই পেসারের হাতেই। শুরু থেকে বেশ অস্বসি্ততে ভোগা অন্য ওপেনার জয়লর্ড গাম্বিকে (৩০ বলে ১৭) ফিরিয়ে প্রতিপক্ষকে আরো চেপে ধরেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। এরপর একই ওভারে ৩ বলের মধ্যে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৩) ও ক্লাইভ মাডান্ডেকে (০) তুলে নেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের বলে ক্রেইগ আরভিনের (০) বিদায়ে জিম্বাবুয়ের বিপদ আরো ঘনীভূত হয়। সেখান থেকে পুরনো চিত্রনাট্য মানা ব্যাটিংয়ে এবার ত্রাণকর্তা বনে যান বেনেট ও জোনাথন।  </p>