<p>দুই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ছাড়পত্র পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার মনোনয়ন গ্রহণ করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে লড়তে বাধা নেই নওয়াজ শরিফের। পিএমএল-এন এর নেতা রানা সানাউল্লাহ খান জানিয়েছেন, নেতা নওয়াজ শরিফ পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।  </p> <p>স্থানীয় সময় বুধবার নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ জানায়, আসন্ন নির্বাচনে দলের সর্বসম্মতিক্রমে নওয়াজকেই প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছেন তারা। প্রথমে লাহরের আসন থেকে তাঁর মনোনয়ন বৈধ করা হয়। এবার পাকিস্তানের মানসেরার এনএ-১৫ আসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মনোনয়নপত্র গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। </p> <p>নওয়াজ শরিফ গত অক্টোবরে লন্ডন থেকে পাকিস্তানে ফেরেন। এরপর তিনি বিভিন্ন মামলায় খালাস পান। অক্টোবরে দেশে ফিরে শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি। নওয়াজ শরিফের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল আইনি নিষেধাজ্ঞা। ২০১৭ সালে পানামা পেপারসহ একাধিক দুর্নীতিতে নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত। ২০১৮ সালে আদালতেরই নির্দেশে দুই দফায় দশ বছর ও সাত বছরের জেল হয় তার। সেই সময় প্রাথমিক ভাবে হৃদরোগের চিকিৎসার নিতে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন তিনি। জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তখন দেশে ফেরেননি তিনি। </p> <p>এদিকে নওয়াজের নির্বাচনে ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা ক্রিকেটার ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। তারা জানায়, পরিকল্পনা মাফিক নওয়াজকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। পিএমএল-এনের এক শীর্ষ নেতা রানা সানাউল্লা খানের কথায়, এই নির্বাচনে শরিফ ছাড়া আর কাউকে প্রার্থী হিসেবে ভাবতেই পারছেন না তারা।</p> <p><strong>সূত্র: জিও নিউজ,ডন</strong><br />  </p>