<p>আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে শীর্ষ রুশ কমান্ডার সের্গেই কোবিলাশ ও ভিক্টর সোকোলভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার আইসিসি এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>দ্য হেগে অবস্থিত আইসিসি বলেছে, সন্দেহ করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে এই দুই সন্দেহভাজন ‘কমপক্ষে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত ইউক্রেনীয় বৈদ্যুতিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে তাদের কমান্ডের অধীনে বাহিনীর পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য দায়ী ছিল।’</p> <p>ইউক্রেনের যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত রুশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারির দ্বিতীয় ঘটনা এটি। গত বছরের মার্চে আইসিসি ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণের সঙ্গে সম্পর্কিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং শিশু কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভাকে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করে। তবে ক্রেমলিন সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।</p> <p>আইসিসির মতে, কোবিলাশ (৫৮) কথিত অপরাধের সময় রুশ বিমানবাহিনীর তথাকথিত দূরপাল্লার বিমানের কমান্ডার ছিলেন। অন্যদিকে সোকোলভ (৬১) রুশ নৌবাহিনীর একজন অ্যাডমিরাল ছিলেন, যিনি কৃষ্ণ সাগর নৌবহরের সময়কালে কমান্ড করেছিলেন।</p> <p>এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি দুই রুশ কমান্ডারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আইসিসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, ‘যেসব রুশ কমান্ডার ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এবং সমালোচনামূলক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে হামলার নির্দেশ দেয়, তাদের অবশ্যই জানা উচিত, ন্যায়বিচার করা হবে। এ ধরনের অপরাধের প্রত্যেক অপরাধীকে অবশ্যই জানতে হবে, তাদের জবাবদিহি করা হবে।’</p> <p>আইসিসি আরো বলেছেন, ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক গ্রিডে হামলার কারণে বেসামরিক ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা প্রত্যাশিত সামরিক সুবিধার জন্য স্পষ্টতই অতিরিক্ত হবে।</p> <p>রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছে, তাদের আক্রমণগুলো কিয়েভের যুদ্ধ করার ক্ষমতা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।</p> <p>বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার তদন্তের জন্য আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান গত বছরের মার্চ মাসে ইউক্রেন সফর করেছিলেন। সেসব হামলায় শত শত বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বা পানি ছাড়া জীবন যাপন করেছে।</p> <p>ইউক্রেনীয় প্রসিকিউটর জেনারেল অ্যান্ড্রি কোস্টিন এক্সে পরোয়ানাগুলোকে ‘ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধারের আমাদের পথে আরেকটি মাইলফলক’ বলে অভিহিত করেছেন।</p> <p>জেনেভা কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক আদালতের মতে, সামরিক সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোকে অবশ্যই ‘বেসামরিক বস্তু এবং সামরিক উদ্দেশ্য’র মধ্যে পার্থক্য করতে হবে এবং বেসামরিক বস্তুর ওপর আক্রমণ নিষিদ্ধ।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>