<p>শহরজুড়ে শুধুই ধ্বংসস্তূপ আর বাতাসে ভেসে আসছে লাশের গন্ধ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে যে ঘরবাড়িগুলো ফেলে একদিন পালাতে হয়েছিল, সেগুলোর আর কোনো অস্ত্বিত্বই নেই। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লোকজন পচা-গলা লাশ বের করে আনার চেষ্টা করছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের এমন দৃশ্য দেখে চোখের জল বাধ মানছিল না মাহা থায়েরের (৩৮)।</p> <p>খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর গত রবিবার শহরে আবার ফিরে এসেছেন চার সন্তানের মা মাহা। মাহা বলেন, শহরে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট সব ধ্বংস হয়ে গেছে। গত কয়েক মাসে ইসরায়েলি বাহিনী তুমুল হামলা এবং খান ইউনিস শহর ও তার আশপাশের এলাকায় লাগাতার বোমবর্ষণ করেছে।</p> <p>গত রবিবার খান ইউনিসসহ দক্ষিণ গাজা থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, দক্ষিণ গাজায় ৯৮ ডিভিশনের মিশন সমাপ্ত হয়েছে। তবে ১৬২তম ডিভিশন এবং নাহাল ব্রিগেডের নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সেনা গাজা উপত্যকায় অভিযান অব্যাহত রাখবে। ইসরায়েল জানিয়েছে, এই সেনা প্রত্যাহারের অর্থ যুদ্ধ বন্ধ করা বোঝাচ্ছে না।</p> <p>অক্টোবরে ইসরায়েলি হামলা শুরুর আগে খান ইউনিস শহর ও আশপাশে চার লাখের মতো বাসিন্দা ছিল।  ইসরায়েলি অভিযানের মুখে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে আশ্রয় নেয় খান ইউনিসের বহু মানুষ। ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের খবরে  বাস্তুচ্যুতদের অনেকেই রাফাহ থেকে খান ইউনিসে ফিরে যাচ্ছে। তারা জানিয়েছে, শহরের ধ্বংসস্তূপে তাদের বাড়িটি কোথায় ছিল তা বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।</p> <p><strong>যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে নিরাশ করল হামাস ও ইসরায়েল</strong></p> <p>মিসরের রাজধানী কায়রোয় যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে নিরাশ করল হামাস ও ইসরায়েল। কায়রোয় যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে মিসরের গণমাধ্যম উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির দাবি করলেও ইসরায়েল ও হামাসের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা এখনো কোনো সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছাননি। গত রবিবার থেকে কায়রোয় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রতিনিধিদল পাঠায় নেতানিয়াহু। এদিকে  ইসরায়েল সরকারের অতি কট্টর মন্ত্রী ইতামার বেন গভির নেতানিয়াহুকে সাবধান করে বলেছেন, যদি নেতানিয়াহু রাফাহতে বড় আক্রমণ ছাড়াই যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী পদে কাজ করে যাওয়ার আজ্ঞাবহ থাকবেন না। </p> <p><strong>সূত্র : এএফপি, বিবিসি</strong><br />  </p>