<p>ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস রবিবার বলেছেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রই গাজার সীমান্ত শহর রাফাহতে ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করতে পারে। পাশাপাশি এ আক্রমণ কয়েক দিনের মধ্যে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর মতে, এতে ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার অধিকাংশ ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হতে পারে।</p> <p>সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক বিশেষ সভায় এদিন আব্বাস বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা ইসরায়েলকে রাফাহতে হামলা না করতে বলে। যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ, যারা ইসরায়েলকে এই অপরাধ থেকে বিরত রাখতে পারে।’</p> <p>কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল রাফাহর ওপর সর্বাত্মক হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে। তাদের লক্ষ্য, সেখানে হামাসের অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোকে ধ্বংস করা। ইতিমধ্যে তারা গত সপ্তাহে সেখানে বিমান হামলা বাড়িয়েছে।</p> <p>এদিকে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য দেশটির কাছে অনুরোধ করেছে। গাজার বাকি অংশে ইসরায়েলের সাত মাসের দীর্ঘ আক্রমণ থেকে পালানো ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি মিসরীয় সীমান্ত ঘেঁষে থাকা এ শহরে আশ্রয় নিয়েছে।</p> <p>আব্বাস বলেছেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যা ঘটবে তা হলো, রাফাহতে আক্রমণ করে ইসরায়েল যা করবে। কারণ গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনি সেখানে জড়ো হয়েছে।’ তাঁর মতে, রাফাহতে শুধু একটি ‘ছোট হামলা’ ফিলিস্তিনি জনগণকে গাজা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে।</p> <p>ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তখন ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে।’</p> <p>এ ছাড়া আব্বাস জর্দান ও মিসরে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তিনি উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েল একবার গাজায় তাদের কার্যক্রম শেষ করলে ফিলিস্তিনি জনগণকে পশ্চিম তীর থেকে জর্দানে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।</p> <p>৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বে হামলা হওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে। ইসরায়েলি হিসাবে, সেই হামলায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছিল এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, সেদিনের পর থেকে ইসরায়েলের পাল্টাহামলায় ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ভূখণ্ডের অধিকাংশ জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>