<p>হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি রবিবার বলেছেন, গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে আক্রমণ শুরুর আগে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ও চিন্তাভাবনা শুনতে রাজি হয়েছে।</p> <p>ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বুধবার বলেছেন, মানবিক বিপর্যয়ের আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে এবং সেখানে হামাসের ওপর আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।</p> <p>ওয়াশিংটন এদিন বলেছে, তারা একটি উপযুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য মানবিক পরিকল্পনা ছাড়া রাফাহতে অভিযানকে সমর্থন করতে পারে না।</p> <p><strong><span style="background-color:#ecf0f1;">আরো পড়ুন : </span><a href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/04/28/1383142"><span style="color:#3498db;"><span style="background-color:#ecf0f1;">শুধু যুক্তরাষ্ট্রই রাফাহতে ইসরায়েলি হামলা থামাতে পারে : মাহমুদ আব্বাস</span></span></a></strong></p> <p>জন কিরবি এবিসিকে বলেছেন, ‘তারা (ইসরায়েল) আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা রাফাহতে যাবে না, যতক্ষণ না আমরা তাদেরকে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্বেগগুলো সত্যিকারভাবে জানানোর সুযোগ না পাই।’</p> <p>এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন আগামী সপ্তাহে এই অঞ্চলে সফর করবেন। তিনি একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ অব্যাহত রাখবেন বলে কিরবি জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন এ যুদ্ধবিরতিকে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ স্থায়ী করতে চায়।</p> <p>অন্যদিকে হামাসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলোচনার জন্য সোমবার হামাসের একটি প্রতিনিধিদল কায়রোতে যাবে।</p> <p>কিরবি বলেছেন, ‘আমরা যা আশা করছি তা হলো, একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ছয় সপ্তাহের পর আমরা হয়তো আরো স্থায়ী কিছু পাব।’ এ ছাড়া গাজার উত্তরে সহায়তা পৌঁছনোর ট্রাকের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।</p> <p>মার্কিন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আহ্বান জানানোর পর ইসরায়েলিরা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে শুরু করেছে। এই মাসের শুরুর দিকে বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক এবং গাজায় কর্মরত বিদেশি সহায়তাকর্মীদের রক্ষা করতে বলেছিলেন। অন্যথায় ওয়াশিংটন হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের সমর্থনে লাগাম লাগাতে পারে।</p> <p>সুত্র : রয়টার্স</p>