<p>পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। রবিবার (২৮ এপ্রিল) তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ ইসহাক দারকে নিয়োগ দিয়েছেন।’</p> <p>ইসহাক দার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাবেন বলে পাকিস্তানি গণমাধ্যম জানিয়েছে। তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন শরিফ পরিবারের অংশ এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে সৌদি আরবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে রয়েছেন।</p> <p>৭৩ বছর বয়সী ইসহাক দার এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। পিএমএলএনের সাবেক চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফের নিকটাত্মীয় তিনি। মূলত ইসহাকের নেতৃত্বেই দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে যে জরুরি ঋণ পেয়েছিল অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাকিস্তান, যা এখনো কাটেনি।</p> <p>সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যদের অনাস্থা ভোটে  ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট— মোট ১৭ মাস শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন ইসহাক। তার আমলেই প্রথমবার পাকিস্তানের ব্যাংক সুদের হার ২২ শতংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৮ শতাংশ করা হয়। </p> <p>এ ছাড়া এ সময় জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকিও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ফলে সাধারণ জনগণের ওপর সে সময় চাপ বেড়েছিল ব্যাপক হারে। দার অবশ্য তার সাফাইও দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। তিনি বলেছেন, আইএমএফের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল সরকারকে। যদি না নেওয়া হতো, তাহলে ঋণপ্রবাহও বন্ধ হয়ে যেত।</p> <p>উল্লেখ্য, পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বড় ভাই নওয়াজ শরিফের মেয়ের সঙ্গে ইসহাক দারের ছেলের বিয়ে হয়েছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>