<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">চিকিৎসা শিক্ষা আর দশটি সাধারণ শিক্ষার মতো নয়। এই শিক্ষা শেষে একজন শিক্ষার্থী চিকিৎসকের সনদ পান। রোগীদের চিকিৎসা করেন। তাঁর সামান্য ভুলেও একজন রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাই চিকিৎসকের শিক্ষা মানসম্পন্ন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। অথচ আমাদের চিকিৎসা শিক্ষা নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বলা হয়ে থাকে, অনেক বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলোতে শিক্ষার নামে বাণিজ্য চলছে। প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো নেই, পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, ল্যাবরেটরি সুবিধা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণেরও অভাব, লাইব্রেরি বা রেফারেন্স সুবিধা কম</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">—</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">অর্থাৎ শিক্ষার উপযোগী পরিবেশের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। ফলে দেশে সনদধারী চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়লেও মানসম্পন্ন চিকিৎসক বাড়ছে না। আর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায়। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">শুধু বেসরকারি নয়, সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়গুলোর অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। এখানেও শিক্ষক স্বল্পতার পাশাপাশি জনবল সংকট রয়েছে। অভিযোগ আছে, অধ্যাপক ও সিনিয়র শিক্ষকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিসে এত বেশি ব্যস্ত থাকেন যে শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয় না। ফলে তাদের শিক্ষায় ঘাটতি থেকে যায়। আর তার ফলে দেশের বাইরে বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই কমছে। কমছে বাংলাদেশে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষার পরিবেশ, জনবলসহ অনেক কিছুরই অভাব রয়েছে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র মতে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে সর্বশেষ যে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে দেখা যায় ৮০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই শর্ত বা নীতিমালা পরিপূর্ণভাবে মানছে না। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নীতিমালা মানতে প্রায় পুরোপুরি ব্যর্থ। সেখানে শিক্ষা মানসম্মত হবে কিভাবে? অথচ একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ খোলার অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও রয়েছে বহুবিধ সংকট। এসব কলেজেও মৌলিক বিষয়ের ৭০ শতাংশ অধ্যাপকের পদ খালি।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">দেশে চিকিৎসা শিক্ষার মান নিশ্চিত করার দায়িত্ব কার? এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু দায়িত্ব পালন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। কিন্তু কারো কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ফল যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। চিকিৎসা শিক্ষার মান ক্রমাগতভাবে কমছে। বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিক্যাল এডুকেশন বা ডাব্লিউএফএমই। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষায় ডাব্লিউএফএমই</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">র স্বীকৃতি নেই। এ কারণে অনেক দেশেই বাংলাদেশের এমবিবিএস ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা নেই। ফলে এখানকার চিকিৎসকদের বিদেশে কাজ করা বা প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">আমরা আশা করি, চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>
