<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">অসুস্থ মানুষ বেঁচে থাকার আশায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়, চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ গ্রহণ করে। কিন্তু সেই ওষুধ যদি নকল হয়, তাহলে সে সুস্থ হবে কিভাবে? বরং তার মৃত্যুটাই ত্বরান্বিত হবে। তাই এটা বলতে দ্বিধা নেই, যারা জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নকল ও ভেজাল করে, তারা জেনেশুনে বহু মানুষকে হত্যা করে। অথচ বাংলাদেশে এই হত্যাকারী বা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার নজির নেই বললেই চলে। ফলে বছরের পর বছর চলছে নকল ওষুধের কারবার। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ডিবি পুলিশের অভিযানে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ধরাও পড়েছে। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। জানা যায়, হেপাটাইটিস-বি রোগ প্রতিরোধে ব্যবহূত হয় হেপাবিগ ভ্যাকসিন। ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি কারখানায় এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হতো। এই টিকার একেকটি অ্যাম্পুল চার হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হতো। শুধু হেপাবিগ নয়, চক্রটি নকল ভিটামিন-ডি-৩ অ্যাম্পুল ইনজেকশন, রেসোগাম পি, ক্লোপিকজল ডিপোর্ট, ফ্লুয়ানজল ডিপোর্টসহ দেশি-বিদেশি অনেক ওষুধই তৈরি করত। তৈরি করত নকল অ্যান্টিবায়োটিকও।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">কয়েক বছর আগে রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০টি দোকান ও গোডাউন থেকে ক্যান্সারের নকল ওষুধসহ বিপুল পরিমাণ নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করা হয়। এ সময় দোকান সিলগালা, কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও জরিমানা করা হয়। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ব্যাপক আন্দোলনে নামেন। একসময় আন্দোলন থেমেও যায়। কিন্তু একই সঙ্গে মিটফোর্ডে অভিযান পরিচালনাও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। নকল কারখানায় ওষুধ তৈরি করা হলেও দেশব্যাপী তাঁরা সেসব ওষুধ বিক্রি করতে সক্ষম নন। এ জন্য তাঁদের প্রয়োজন হয় ওষুধ বিক্রেতাদের। কিন্তু ওষুধের দোকানে অভিযান চালানো না হলে নকল ওষুধের বিক্রি কিভাবে ঠেকানো যাবে?</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.05pt">দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে নকল-ভেজাল ওষুধের কারবার। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইটের গুঁড়ার সঙ্গে নানা ধরনের রং ও কেমিক্যাল মিশিয়েও ওষুধ বানানো হয়। গ্রামে-গঞ্জে এ ধরনের ওষুধই নাকি বেশি বিক্রি হয়। কারণ নকল ওষুধ বিক্রিতে লাভ বেশি। শুধু মুখে খাওয়ার ওষুইধ নয়, ইনহেলার, অয়েন্টমেন্ট বা ইনজেকশনের মতো ওষুধও নকল হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যে ধরনের ভূমিকা থাকা উচিত ছিল, তা নেই বললেই চলে। আমরা আশা করি, সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেবে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাতে হবে। নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>