চক্রাকারে দোল খাওয়ার দোলনার নাম নাগরদোলা। এটি গ্রামের মেলাগুলোতেই বেশি দেখা যায়। বাংলা নববর্ষ, চৈত্রসংক্রান্তিসহ সর্বজনীন উৎসবগুলোতে নাগরদোলার আসর বসে। পার্কগুলোতে বিভিন্ন রাইডের পাশাপাশি রয়েছে আধুনিক মানের নাগরদোলা।
চক্রাকারে দোল খাওয়ার দোলনার নাম নাগরদোলা। এটি গ্রামের মেলাগুলোতেই বেশি দেখা যায়। বাংলা নববর্ষ, চৈত্রসংক্রান্তিসহ সর্বজনীন উৎসবগুলোতে নাগরদোলার আসর বসে। পার্কগুলোতে বিভিন্ন রাইডের পাশাপাশি রয়েছে আধুনিক মানের নাগরদোলা।
নাগরদোলায় দোলনার মতো বেশ কিছু আসন থাকে। আরোহীরা বসার পর এটি ঘোরানো হয়। মেলায় আসা শিশুদের কাছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম এটি। ছোটদের সঙ্গে বড়দেরও অনেক সময় নাগরদোলায় চড়তে দেখা যায়।
নাগরদোলা শক্ত কাঠ বা লোহার পাত দিয়ে বানানো হয়। শক্ত খুঁটির সঙ্গে কয়েকটি ডানা যুক্ত থাকে। প্রতিটি ডানার মাথায় আসন বসানো হয়। সেগুলো যাতে ঠিকঠাক ঘুরতে পারে, তার জন্য বিয়ারিং যুক্ত করা হয়।
গ্রন্থনা : আব্দুর রাজ্জাক
সম্পর্কিত খবর
‘ঙুলুই ও ঙুলুউ ও
ইয়া নে বেং সেন স-ওম?
সেনাইহ্ খিয়াং ঙালা কেসেন স হিয়াহ্
লুং পেক পে চলা একেপ নকা।’
বাংলা বর্ণমালা দিয়ে খিয়াং ভাষার ছড়া এটি, যার অর্থ—
‘ও টাকি ও টাকি
কেন গাল লাল?
আমার ইচ্ছায় হয়নি লাল
দিয়েছে পাথরে চেপে।’
খিয়াংদের নিজস্ব বর্ণমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। খিয়াং ভাষা অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
ধারণা করা হয়, খিয়াংরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে বসতি স্থাপন করে। মূলত মঙ্গোলীয় নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এই জনগোষ্ঠী একসময় বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) থেকে অভিবাসিত হয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনামলে কিংবা তারও আগে তারা পাহাড়ের অন্যান্য আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে একত্রে বসবাস করলেও তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয় এখনো আছে অটুট।
খিয়াং সমাজে শিশুর জন্ম নিয়ে অনেক আচার-অনুষ্ঠান করা হয়। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ দেখা নিষেধ।
খিয়াংদের প্রধান জীবিকা কৃষি। তারা জুম চাষের ওপর নির্ভরশীল এবং মূলত ধান, ভুট্টা, কচু, আদা, হলুদসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে। শিকারের ওপরও তাদের নির্ভরতা ছিল, যদিও আধুনিককালে এই অভ্যাস অনেকটাই কমে এসেছে। খিয়াংরা নিজ বংশের বয়োজ্যেষ্ঠ প্রধানের নামানুসারে গোষ্ঠীর নাম দিয়ে থাকে; যেমন—‘ক্রাং দেইপ’ গোষ্ঠী, ‘চুং’ গোষ্ঠী, ‘লই’ গোষ্ঠী প্রভৃতি। খিয়াং সমাজের রীতিনীতি ও প্রথাগত আইন তাদের সামাজিক আচার, লোকবিশ্বাস ও মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
আল সানি
তৃতীয় অধ্যায়
গতিসূত্র
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। সরলরৈখিক গতি বা রৈখিক গতি কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুকণা যদি একটি সরলরেখা বরাবর গতিশীল হয়, তবে তার গতিকে সরলরৈখিক গতি বা রৈখিক গতি বলে। উদাহরণ—একটি সোজা রাস্তায় চলমান গাড়ির গতি সরলরৈখিক গতি।
২।
উত্তর : যদি কোনো বস্তু এমনভাবে চলতে থাকে যে এর প্রতিটি কণা একই সময়ে, একই দিকে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে, তবে তার এই গতিকে চলন গতি বলে। যেমন—একটি পাথরকে কিছু উঁচু থেকে মুক্তভাবে অভিকর্ষের টানে পড়তে দিলে তা খাড়া সরলরেখায় নিচের দিকে পড়তে থাকে। সুতরাং পাথরটির গতি চলন গতি।
৩।
উত্তর : যখন কোনো বস্তু একটি নির্দিষ্ট বিন্দু বা অক্ষের চারদিকে চক্রাকারে পরিভ্রমণ করে, তখন এর গতিকে ঘূর্ণন গতি বলা হয়। উদাহরণ—বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাঁটার গতি।
৪। পর্যায় গতি বা পর্যায়বৃত্ত গতি কাকে বলে?
উত্তর : যখন কোনো বস্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর একই পথ পরিভ্রমণ করে বারবার একই দিকে চলতে থাকে, তখন এই গতিকে পর্যায় গতি বা পর্যায়বৃত্ত গতি বলে এবং ওই নির্দিষ্ট সময়কে ওই গতির পর্যায়কাল বলে।
৫। স্পন্দন গতি বা দোলন গতি বা দোল গতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : পর্যায়বৃত্ত গতিসম্পন্ন কোনো বস্তুকণা যদি পর্যায়কালের অর্ধেক সময় যেদিকে যায় এবং বাকি অর্ধেক সময় যদি একই পথে তার বিপরীত দিকে যায়, তবে সেই বস্তুকণার গতিকে স্পন্দন গতি বা দোলন গতি বা দোল গতি বলে। যেমন—সরল দোলকের গতি, শব্দ সঞ্চালনের সময় বায়ুর কণার গতি, দেয়াল ঘড়ির দোলকের গতি ইত্যাদি।
৬।
উত্তর : সময় ব্যবধান শূন্যের সমীপবর্তী (কাছাকাছি) হলে গড় বেগের সীমান্তিক মানকেই বেগ বা তাৎক্ষণিক বেগ বা তাৎক্ষণিক রৈখিক বেগ বলে। সময়ের সাপেক্ষে সরণের বা অবস্থান ভেক্টরের ব্যবকলনকে বেগ বা তাৎক্ষণিক বেগ বলে।
৭। কৌণিক বেগ কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত বস্তুকণার কৌণিক সরণের হারকে কৌণিক বেগ বলে। এটি একটি ভেক্টর রাশি।
৮। সুষম বা সম কৌণিক বেগ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ঘূর্ণন গতিসম্পন্ন কণার কৌণিক বেগ যদি সময়ের সঙ্গে অপরিবর্তিত থাকে, তবে তাকে সুষম বা সম কৌণিক বেগ বলে।
৯। অসম কৌণিক বেগ কাকে বলে?
উত্তর : ঘূর্ণন গতিসম্পন্ন কণার কৌণিক বেগ যদি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়, তবে তাকে অসম কৌণিক বেগ বলে।
১০। কৌণিক দ্রুতি কী?
উত্তর : কৌণিক বেগের মানকে কৌণিক দ্রুতি বলে।
১১। মধ্যবেগ কাকে বলে?
উত্তর : একটি গতিশীল বস্তুর আদি বেগ এবং শেষ বেগের অভিমুখ একই দিকে হলে তাদের গড় বেগকে মধ্যবেগ বলে।
১২। আপেক্ষিক বেগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : দুটি গতিশীল বস্তুর একটির সাপেক্ষে অন্যটির অবস্থানের পরিবর্তনের হারকে আপেক্ষিক বেগ বলে।
১৩। চলন-ঘূর্ণন গতি বা জটিল গতি কাকে বলে?
উত্তর : যখন কোনো বস্তুর চলন ও ঘূর্ণন গতি দুই-ই থাকে, তখন এর গতিকে চলন-ঘূর্ণন গতি বলে। এই গতিকে জটিল বা মিশ্র গতিও বলে। উদাহরণ—সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর গতি, লাটিমের গতি, সাইকেলের চাকার গতি, বাসের চাকার গতি চলন-ঘূর্ণন
গতি।
১৪। প্রসঙ্গকাঠামো কী?
উত্তর : ত্রিমাত্রিক স্থানে কোনো বস্তুর গতি বর্ণনার জন্য যে স্থানাঙ্ক ব্যবস্থাকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এবং যার সাপেক্ষে বস্তুর গতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তাকে প্রসঙ্গকাঠামো বলে।
১৫। জড় প্রসঙ্গকাঠামো বলতে কী বোঝ?
উত্তর : পরস্পরের সাপেক্ষে ধ্রুব বেগে গতিশীল যেসব প্রসঙ্গকাঠামোতে জড়তার সূত্র বা নিউটনের গতিসূত্র অর্জন করা যায়, তাকে জড় প্রসঙ্গকাঠামো বলে। যেমন—সমবেগে গতিশীল সব প্রসঙ্গকাঠামো।
১৬। অজড় প্রসঙ্গকাঠামো কাকে বলে?
উত্তর : যেসব প্রসঙ্গকাঠামোতে জড়তার সূত্র বা নিউটনের গতিসূত্র অর্জন করা যায় না, তাদের অজড় প্রসঙ্গকাঠামো বলে। যেমন—ঘূর্ণনশীল ত্বরিত বা মন্দিতকাঠামো।
১৭। গতিশীল বস্তু এবং গতি কী?
উত্তর : পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে সময়ের সঙ্গে কোনো বস্তু অবস্থানের পরিবর্তন করলে, তাকে গতিশীল বস্তু বলে এবং বস্তুটির গতিশীল থাকার অবস্থাকে গতি বলে।
গদ্য
মানুষ মুহম্মদ (স.)
মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। মানুষ মুহম্মদ (স.) কী ধরনের রচনা?
উত্তর : মানুষ মুহম্মদ (স.) একটি প্রবন্ধ।
২। মানুষ মুহম্মদ (স.)-এর লেখক কে?
উত্তর : মানুষ মুহম্মদ (স.)-এর লেখক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী।
৩। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর : মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
৪। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তিনি সহজ-সরল ভাষায় অসাধারণ কথাগুলো লিখতেন।
৫। হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুশয্যার পাশে শেষ পর্যন্ত কে ছিলেন?
উত্তর : হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুশয্যার পাশে শেষ পর্যন্ত আবুবকর (রা.) ছিলেন।
৬। হযরত মুহম্মদ (স.) সত্য প্রচার করতে গিয়ে কোথায় খুব বেশি পরীক্ষার সম্মুখীন হন?
উত্তর : হযরত মুহম্মদ (স.) সত্য প্রচার করতে গিয়ে তায়েফে খুব বেশি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন।
৭। কোন খবর পেয়ে বহু লোক জমায়েত হয়েছিল?
উত্তর : হযরত মুহম্মদ (স.)-এর অসুস্থতার খবর পেয়ে বহু লোক জমায়েত হয়েছিল।
৮। কে উলঙ্গ তরবারি হাতে লাফিয়ে উঠলেন?
উত্তর : হযরত ওমর (রা.) উলঙ্গ তরবারি হাতে লাফিয়ে উঠলেন।
৯।
উত্তর : মহানবী (স.) হিজরতকালে পথে আবু মা’বদ নামের পরহিতব্রতী দম্পতির কুটিরে বিশ্রাম নিয়েছিলেন।
১০। কিসের সাধনায় মহানবী (স.)-এর চরিত্র মধুময় হয়েছিল?
উত্তর : সত্যের নিবিড় সাধনায় মহানবী (স.)-এর চরিত্র মধুময় হয়েছিল।
১১। হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুসংবাদে শোকাহত অনুসারীদের কে শান্ত করেছিলেন?
উত্তর : হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুসংবাদে শোকাহত অনুসারীদের আবুবকর (রা.) শান্ত করেছিলেন।
১২। কার শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটাইল?
উত্তর : হযরত ওমর (রা.)-এর শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটাইল।
১৩। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা কে?
উত্তর : ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হলেন ওমর (রা.)।
১৪। আয়েশা (রা.) কার কন্যা ছিলেন?
উত্তর : আয়েশা (রা.) হযরত আবুবকর (রা.)-এর কন্যা ছিলেন।
১৫। ইসলামের প্রথম খলিফা কে ছিলেন?
উত্তর : ইসলামের প্রথম খলিফা ছিলেন আবুবকর (রা.)।
১৬। মহানবী (স.) কোন গুণ দ্বারা মানুষের মন আকর্ষণ করেছিলেন?
উত্তর : মহানবী (স.) তাঁর মানবীয় গুণাবলি দ্বারা মানুষের মন আকর্ষণ করেছিলেন।
১৭। মানুষের দ্বারে দ্বারে সত্যের বাণী বহন করা কার কাজ ছিল?
উত্তর : মানুষের দ্বারে দ্বারে সত্যের বাণী বহন করা হযরত মুহম্মদ (স.)-এর কাজ ছিল।
১৮। হুদায়বিয়ার সন্ধিতে মুসলিম স্কন্ধে কী চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর : হুদায়বিয়ার সন্ধিতে মুসলমানদের স্কন্ধে অপমানের শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
১৯। মক্কা বিজয়ের পর মহানবী (স.) কাদের দীক্ষা দিতেন?
উত্তর : মক্কা বিজয়ের পর মহানবী (স.) সত্যানুসন্ধানীদের দীক্ষা দিতেন।
২০। সবার মহাযাত্রা কার দিকে?
উত্তর : সবার মহাযাত্রা আল্লাহর দিকে।
২১। মহানবী (স.)-এর মায়ের আহার্য কী ছিল?
উত্তর : মহানবী (স.)-এর মায়ের আহার্য ছিল শুষ্ক মাংস।
২২। পুলকদীপ্তি অর্থ কী?
উত্তর : পুলকদীপ্তি অর্থ হলো আনন্দের উদ্ভাস।
২৩। মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধের উৎস কী?
উত্তর : মানুষ মুহম্মদ (স.) প্রবন্ধের উৎস হলো ‘মরু ভাস্কর’ গ্রন্থ।
Qus tion No. : 02
Fill in the gaps without Clues
Important Gap Filling Activities without Clues
[পূর্বপ্রকাশের পর]
13. It is (a) instinct of everyone to climb up the top of position and power. There is no other
passion in the world which is so powerful as the love of (b) power. Man always hankers (c)
power. Power is the source (d) all strength. But excess of desire (e) power leads one (f) disaster. But people always rush to (g) power. Sometimes (h) powerful nation or society is dominated (i) the passion. It wants to swallow
(j) smaller and the weaker
neighbors.
14. (a) good man is a man (b) character. His polite behavior is
(c) great asset because he can win (d) heart of other people
(e) him, no matter whether he is rich or poor. He also gets the admiration of all he deals (f) . He behaves well (g) even those who are (h) rude to him because he hates to behave rudely. One who pretends to be polite, cannot be polite (i) all circumstances. But (j) man who is really polite, does not fear anybody whatever be the provocation.
15. There is (a) close relationship (b) man and nature. Man has established (c) friendship with nature. It helps us (d) many ways. Similarly trees are closely related (e) our life. Trees play (f) important role in our life and economy. Trees are very useful
(g) us. We get oxygen (h) them. They are (i) great source of food and vitamin. They meet up our local (j) demands.
Answer
13. (a) the; (b) ×; (c) after; (d) of;
(e) for; (f) to; (g) ×; (h) a; (i) by;
(j) the.
14. (a) A; (b) of; (c) a; (d) the;
(e) around; (f) with; (g) towards;
(h) ×; (i) in; (j) the.
15. (a) a; (b) between; (c) ×; (d) in;
(e) to; (f) an; (g) to; (h) from; (i) a; (j) ×.