<p><strong>পঞ্চম অধ্যায়</strong></p> <p><strong>জনসংখ্যা</strong></p> <p><strong>যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন</strong></p> <p>১। সমাজের ওপর অধিক জনসংখ্যার তিনটি প্রভাব উল্লেখ করো।</p> <p>উত্তর : জনসংখ্যা বাড়লে সমাজের ওপর অনেক ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটি প্রভাব হলো—</p> <p>i. অধিক জনসংখ্যার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন কাজ। তাই আমাদের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ এখনো অক্ষরজ্ঞানহীন। দারিদ্র্যের কারণে অনেক শিশু বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।</p> <p>আবার কোনো কোনো শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পরিবারকে কাজে সাহায্য করতে গিয়ে লেখাপড়া শেষ না করে ঝরে পড়ে।</p> <p>ii. জনসংখ্যার তুলনায় চিকিৎসক কম হওয়ায় জনগণ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যহীনতার কারণে উপার্জন করতে না পারায় অনেকেই অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারছে না।</p> <p>iii. অধিক জনসংখ্যার বাসস্থানের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণে গাছপালা কাটতে হচ্ছে। এতে পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর প্রভাব পড়ছে।</p> <p>২। পরিবারের ওপর অধিক জনসংখ্যার তিনটি প্রভাব উল্লেখ করো।</p> <p>উত্তর : অধিক জনসংখ্যা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব সৃষ্টি করে। পরিবারের ওপর অধিক জনসংখ্যার তিনটি প্রভাব হলো—</p> <p>i. খাদ্যঘাটতি দেখা যায়।</p> <p>ii. সবার জন্য প্রয়োজনমতো কাপড় কেনা সম্ভব হয় না।</p> <p>iii. সবার জন্য ভালো বাসস্থানের সুবিধা করা যায় না।</p> <p>৩। জনসংখ্যা সমস্যার পাঁচটি সমাধান লেখো।</p> <p>উত্তর : অধিক জনসংখ্যা বাংলাদেশের একটি প্রধান সমস্যা। জনসংখ্যা সমস্যার পাঁচটি সমাধান লেখা হলো—</p> <p>i. শিক্ষা : শিক্ষা বিস্তার করলে এবং শিক্ষার মান বাড়ালে জনসংখ্যা জনসম্পদে পরিণত হবে।</p> <p>ii. পরিবেশদূষণ : পরিবেশদূষণ রোধ করতে পারলে মানুষের জীবনযাপনের মান বৃদ্ধি পাবে।</p> <p>iii. স্বাস্থ্য : রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন টিকা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকারি সহায়তা বাড়াতে হবে। এতে মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।</p> <p>iv. বাসস্থান : গৃহনির্মাণে সরকারি সাহায্য বাড়াতে হবে, যাতে মানুষের বাসস্থানের সুবিধা নিশ্চিত হয়।</p> <p>v. দক্ষতার উন্নয়ন : কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন করতে হবে, যাতে আমাদের শিল্পের প্রসার ঘটে।</p> <p>৪। অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগণ কিভাবে উপকৃত হতে পারে?</p> <p>উত্তর : আমাদের মৌলিক চাহিদার মধ্যে প্রধান হচ্ছে খাদ্য। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও কয়েক বছর আগেও প্রায় ২৫ লাখ টন খাদ্য আমদানি করতে হতো। বর্তমানে আমরা সবার জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম। অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগণ বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারে। যেমন—</p> <p>i. বাংলাদেশে আর খাদ্যঘাটতি থাকবে না এবং খাদ্য আমদানি করতে হবে না।</p> <p>ii. দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে।</p> <p>iii. খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠবে।</p> <p>iv. খাদ্য আমদানিতে যে অর্থ ব্যয় হতো সেটি নিজের দেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে।</p> <p>v. শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং দারিদ্র্য দূর হবে।</p> <p> </p> <p>সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন</p> <p>১। নতুন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে জনসম্পদকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়?</p> <p>উত্তর : নতুন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে আমাদের অতিরিক্ত জনসম্পদকে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, যাতে তারা নতুন কোনো শিল্পের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। যেমন—যন্ত্রপাতিশিল্প।</p> <p>২। জনসংখ্যা সমস্যার সমাধানগুলো কী?</p> <p>উত্তর : জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান করতে নিচের বিষয়গুলোর উন্নয়ন প্রয়োজন। যেমন—খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতার উন্নয়ন, বাণিজ্যিক ভারসাম্য।</p> <p>৩। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার অন্যতম কারণ কী?</p> <p>উত্তর : বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত জনসংখ্যা।</p> <p>৪। অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করলে কী লাভ হবে?</p> <p>উত্তর : অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।</p> <p>৫। খাদ্যের অভাব দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কিরূপ প্রভাব ফেলে?</p> <p>উত্তর : খাদ্যের অভাব হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুষ্টিহীনতা বা অপুষ্টি দেখা দেয়।</p>