অনন্ত নির্জনতায় মার্কেজ
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

মির্জা ফখরুল
দুষ্কৃতকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই লোমহর্ষক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হচ্ছে। তাই দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হাতে দমনের বিকল্প নেই। এ জন্য দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, না হলে ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক নিন্দা, প্রতিবাদ ও শোক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় তিনি এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, নাসির উদ্দিনকে সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীরা বর্বর ও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল-মত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা আওয়ামী লীগের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে। নাছির উদ্দিনকে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বিবৃতিতে নিহতের রুহের মাগফিরাত কামনাসহ শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানান।

ঈদ যাত্রায় স্বস্তি
বাস ট্রেন লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদের আগে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। এদিন কর্মঘণ্টা শেষ হতেই ঘরমুখো মানুষের বেরিয়ে পড়ার ব্যাকুলতায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দেয়। তবে ঢাকা থেকে সড়কপথে বের হয়ে আর যানজটের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। বাস, ট্রেন ও লঞ্চে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি ঘরমুখো যাত্রীদের।
শেষ কর্মদিবসে যানজট : রাজধানীর মহাখালী, রামপুরা, হাতিরঝিল, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, বিভিন্ন স্থানে এই যানজটের চিত্র দেখা গেছে। নীলক্ষেত নিউমার্কেট এলাকা, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাব, কলাবাগান, ধানমণ্ডি, আড়ং, কলেজগেট, শিশুমেলা শ্যামলী, মত্স্য ভবন এলাকা, শাহবাগ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যানজট ছিল।
রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় কথা হয় ট্র্যাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিস শেষে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বের হলাম।
সড়কপথে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ : ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিন বাড়ির পানে ফেরা যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে সড়কপথেও। শুরুর কয়েক দিন বাস টার্মিনালগুলো ফাঁকা থাকলেও এখন বাস মালিকদের মনে যেমন স্বস্তি ফিরেছে, তেমনি নির্বিঘ্নে ঢাকা ছাড়তে পারছে মানুষ।
সায়েদাবাদসহ আশাপাশের কিছু কাউন্টারে বাড়তি ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন যাত্রী। গুলশানের যাত্রী রাজীব আহমেদ শনিবার চুয়াডাঙ্গায় গ্রামের বাড়ি যাবেন। গোল্ডেন লাইনের গোলাপবাগ কাউন্টারে গিয়ে এদিন সকালের কোনো বাসের টিকিট পাননি তিনি। বিকেলের এসি বাসের টিকিট আছে বলে জানান কাউন্টারে থাকা কর্মী ইয়াসিন। কিন্তু ভাড়া এক হাজার ৮০০ টাকা। যাত্রীরা জানান, অন্য সময় এই এসি বাসের ভাড়া এক হাজার ২০০ টাকা হলেও বাড়তি ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
লঞ্চের কেবিনের টিকিট শেষ : লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছুটি শুরুর দিন বরিশালের লঞ্চগুলোর কেবিনের প্রায় ৯৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ফিরতি টিকিটেরও চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। ধারণা করা হচ্ছে, ডেকেও যাত্রীসংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে কয়েক গুণ বেশি হবে। অন্য লঞ্চগুলোর কেবিনের টিকিটও বিক্রি শেষের দিকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ডেকের যাত্রীর সংখ্যা বলে দেবে এবারের ঈদ যাত্রায় লঞ্চ মালিকদের কত লাভ হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, স্পেশাল সার্ভিসসহ বরিশাল-ঢাকা রুটে এবার মোট ১৯টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাত্রী সেবায় নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ভায়া রুটের আরো দুই-তিনটি লঞ্চ যাত্রী বহন করবে। লঞ্চ কাউন্টারগুলোর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৯টি লঞ্চে বিভিন্নমানের প্রায় পাঁচ হাজার কেবিন রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি লঞ্চই ডেকে হাজারের বেশি যাত্রী বহন করতে পারে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত : আবদুল্লাহপুরের বিভিন্ন কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়েছে বিআরটিএ।

দ্য ইনডিপেনডেন্টের দাবি
মায়ানমারে ফিরে সশস্ত্র যুদ্ধ করতে চায় রোহিঙ্গারা
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

নিজ মাতৃভূমিতে ফিরতে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। মোহাম্মদ আয়াস নামের ২৫ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা যুবক সংবাদমাধ্যমটিকে সশস্ত্র প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত জানিয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য, জান্তা বাহিনী ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে প্রতিহত করে নিজেদের ভূমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা।
তাঁরা এ প্রস্তুতি দীর্ঘদিন ধরে নিচ্ছেন। বিশেষ করে মায়ানমারে ২০২১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এ প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হয়।
২০২৪ সালের জানুয়ারির এক ভোরে ইন্ডিপেনডেন্টের সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ আয়াস। তখন কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে তিনি বনের গভীর দিয়ে যাচ্ছিলেন।
ওই সময় মায়ানমারের সেনাদের ‘গুলির বৃষ্টিতে’ তাঁর বাবা প্রাণ হারিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা তাঁর পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে এবং তাঁদের এসব দুর্ভোগের জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরা।
আয়াস রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের বার্মিজ ভাষা শেখান। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মতো শত শত যুবক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মায়ানমারের সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠী যারা তাদের পথের বাধা হবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাঁরা সবাই এক।
আয়াস বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত। আমি আমার জনগণের জন্য মরতে প্রস্তুত।
কক্সবাজারের ক্যাম্পে কয়েক বছর ধরে থাকা হাজার হাজার রোহিঙ্গা যুবক স্ব ইচ্ছায় সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি তাঁর।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট একাধিক রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁদের মধ্যে নিজেকে কমান্ডার হিসেবে দাবি করা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁরা গোপনে মায়ানমারে যান। সেখানে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন।
সম্প্রতি, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শরণার্থী ক্যাম্পে গেলে তাঁকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সালে বর্বর অত্যাচার ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে মায়ানমারের রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করে দেশটির সেনাবাহিনী। ওই সময় জীবন বাঁচাতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। যারা এখন কক্সবাজারের ক্যাম্পে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট

লাইলাতুল কদর
ঈমানদারদের জন্য জামায়াতে ইসলামী আমিরের প্রার্থনা
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈমানদারদের জন্য পবিত্র লাইলাতুল কদরের নিয়ামত ও বরকত কামনা করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অ্যাডমিনের দেওয়া পোস্টে এ প্রার্থনা করা হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘ইয়া রব! আমাদের সব ঈমানদার ভাই-বোনকে পবিত্র লাইলাতুল কদরের পূর্ণ নিয়ামত ও বারাকাহ নসিব করুন। আমাদের ওপর রহম করুন, গুনাহখাতা ক্ষমা করুন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের অপমান-অপদস্থতা এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের মেহেরবানি করে মুক্তি দিন।