<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">উচ্চ পচনশীল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সিরিয়ালের নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক আটকে রাখছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে এই বন্দর দিয়ে পচনশীল পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর ছেড়ে চলে গেছেন অন্য বন্দরে। রাজস্ব আয়ের একটা বড় অংশ পচনশীল পণ্য আমদানি থেকে আসায় কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt"><img alt="বেনাপোলে বন্ধ হচ্ছে পচনশীল পণ্য আমদানি" height="164" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/05.May/07-05-2024/22 (1).jpg" style="float:left" width="400" />জানা যায়, ভারত থেকে পচনশীল পণ্যের একটা বড় অংশ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফল, মাছ, সবজি, ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য পচনশীল পণ্য আমদানি হতো দুপুরের পরপরই। সন্ধ্যার আগেই এসব পণ্য চালান শুল্কায়ন ও খালাস হয়ে চলে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু গত মাসখানেক ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ সিরিয়ালের নামে পচনশীল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দুপুরের পর ২০ ট্রাক জেনারেল পণ্যের পর মাত্র পাঁচ ট্রাক পচনশীল পণ্য রপ্তানির নিয়ম চালু করে। ফলে বেশির ভাগ পচনশীল পণ্য চালান দিনের পর দিন প্রবেশ করতে না পেরে ওপারেই নষ্ট হচ্ছে। কোনো কোনো চালান সিরিয়াল পেয়ে রাতে প্রবেশের অনুমতি পেলেও বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাতে কোনো পচনশীল পণ্য খালাস না দেওয়ায় পরের দিন বন্দর থেকে ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। ফলে বেশির ভাগ পণ্যে পচন ধরতে শুরু করে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">পচনশীল পণ্য আমদানিকারকদের দাবি, সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জেনারেল গুডস আমদানির অনুমতি দেওয়া হোক। শুধু পচনশীল পণ্যচালান আমদানির ক্ষেত্রে দুপুরের পর থেকে মাত্র দু-তিন ঘণ্টার জন্য একসঙ্গে সব পচনশীল পণ্য চালান আমদানির অনুমতি দিলে পচনশীল পণ্যচালান খুব দ্রুত সময়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। মাসখানেক আগেও এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক পচনশীল পণ্য আমদানি হতো, যা থেকে সরকার প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছিল। ফলে বর্তমানে আমদানির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র পাঁচ থেকে ১০ ট্রাকে। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস ও নিষ্পত্তিকরণ বিধিমালা-২০২১ নামে একটি নতুন বিধিমালা জারি করে। যার আওতায় ৬৩ ধরনের পচনশীল পণ্যের শুল্কায়নসহ সব কর্মকাণ্ড দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পচনশীল পণ্য দ্রুত আমদানিতে সিরিয়ালের নামে দীর্ঘসূত্রতা প্রথা বাতিল করে পূর্বের ন্যায় আমদানি পণ্য দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের দাবি করেছে আমদানিকারকসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">বেনাপোলের আমদানিকারক রাহাত ট্রেডার্সের মালিক জিয়াউর রহমান জানান, বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্য আমদানি কমে গেছে। পেট্রাপোল স্থলবন্দরের নতুন ম্যানেজার যোগদান করার পর হয়রানি বেড়ে গেছে। সারা দিন বিভিন্ন পণ্যের ট্রাক বেনাপোল বন্দরে রপ্তানি করলেও সন্ধ্যার পর কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্যের ট্রাক পাঠানোর কারণে আমরা মালপত্র দিনে দিনে ডেলিভারি নিতে পারছি না। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">তিনি বলেন, </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">কারণ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যার পর এসব মালের শুল্কায়ন ও খালাস করেন না। পরের দিন এসব মাল খালাস নিতে গেলে দেখা যায় শতকরা ১০ ভাগ মাল পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছি। বাধ্য হয়ে এসব মালপত্র অন্যান্য বন্দরে চলে যাচ্ছে।</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">সমস্যা সমাধানের জন্য এরই মধ্যে পেট্রাপোল বন্দর ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পচনশীল পণ্যের ট্রাক দিনব্যাপী বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে, সে অনুযায়ী সিরিয়াল মেইনটেন করার জন্য তাঁকে আমি অনুরোধ করেছি।</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p>
