<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">২০১৯ সালের ১৯ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছবিসহ শুভেচ্ছাবার্তা দেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। বিষয়টি নজরে আসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের কাজ করায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। প্রমাণিত হওয়ায় প্রথমে তাঁকে দুই বছরের ইনক্রিমেন্ট বন্ধের শাস্তি দেওয়া হয়। দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। এরপর তাঁর শাস্তি কমিয়ে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">তিরস্কার</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt"> লঘু দণ্ড দেওয়া হয়। সেই কর্মকর্তার নাম দুলাল মাহমুদ। শুভেচ্ছা বাণী দেওয়ার সময় তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁকে শাস্তি দিয়ে ২১ মার্চ গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">গেজেটে বলা হয়েছে, একটি জাতীয় দৈনিকের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুলিশ পরিদর্শক দুলাল মাহমুদের ছবিসহ শুভেচ্ছাবার্তা প্রকাশ করা হয়। এ ধরনের শুভেচ্ছাবার্তা প্রকাশ করার আগে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য হিসেবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি। অভিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক অবগত হওয়া সত্ত্বেও পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে কোনোরূপ রিজয়েন্ডার বা প্রতিবাদলিপি দেননি। এ অভিযোগে তাঁকে লঘু দণ্ড হিসেবে দুই বছরের জন্য একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার দণ্ড দেওয়া হয়। এই দণ্ডে সংক্ষুব্ধ হয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে আপিল করেন। গত বছরের ১১ জুন আপিল শুনানি হয়। শুনানিতে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে দুই বছরের একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার দণ্ডাদেশ কমিয়ে তিরস্কার লঘু দণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">অন্যদিকে ২০১৯ সালে বরগুনার পাথরঘাটা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মো. হানিফ সিকদার। ওই বছর ২৪ মে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁকে দুটি সন্তানসহ তাঁর স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই সময় ওই নারী পুলিশের সহযোগিতা চান। ওসি হানিফ সিকদার ওই নারীকে কোনো আইনগত সহায়তা না করে উল্টো অভিযোগকারীর প্রতিপক্ষকে সহযোগিতা করেন। অভিযোগকারীকে তাঁর স্বামীর বাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হলে অভিযোগকারীর একাধিক আত্মীয়স্বজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">এ ঘটনায় অভিযোগকারী থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে প্রতিপক্ষের মামলা গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে অভিযোগকারী নিরুপায় হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত নং-৩ পাথরঘাটা, বরগুনায় অভিযোগ করেন। আদালতের আদেশে পাথরঘাটা থানা মামলা নিতে বাধ্য হয়।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গেজেটে বলা হয়, হানিফ ওসি হিসেবে অভিযোগকারীকে আইনগত সহায়তা না করে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন। তিনি (ওসি) কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা মোতাবেক যেকোনো ধর্তব্য অপরাধ থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করতে বাধ্য থাকা সত্ত্বেও অভিযোগকারীর মামলাটি থানায় রেকর্ড না করার অভিযোগে তাঁকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৪ এর উপ-বিধি ২(খ) মোতাবেক দুই বছরের জন্য একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের দণ্ড দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></span></span></p>