<p>সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়ে আরব আমিরাতের দুবাইয়ের পথে রয়েছে। নতুন ঝুঁকি এড়াতে জাহাজের চারদিকে রেলিংয়ে লোহার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাগরে ঝুঁকিপূর্ণ অংশে চলাচলের সময় নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে আবদুল্লাহর দুই পাশে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ। দস্যুদের কবল থেকে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর অপারেশন আটলান্টার দুটি যুদ্ধজাহাজ আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিরাপদে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।</p> <p>এমভি আবদুল্লাহর সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালের কণ্ঠকে বলেন, জাহাজটি এখনো সাগরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অংশে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অংশ অতিক্রম করছে। আগামীকাল (আজ বুধবার) জানা যাবে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ পুরোপুরি অতিক্রম করেছে কি না। একই গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী ২২ এপ্রিল জাহাজটির দুবাই পৌঁছার কথা রয়েছে। সেখানে যাওয়ার পর নাবিকদের মধ্যে যাঁরা এখন দেশে আসতে আগ্রহী তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশে কিভাবে আসবেন সে বিষয়ে নাবিকদের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p> <p>দীর্ঘ ৩৩ দিন পর সোমালি জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে (বাংলাদেশ সময়) জাহাজটি পূর্বনির্ধারিত গন্তব্য দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। আগামী ২২ এপ্রিল সকালে জাহাজটির আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে পৌঁছার পর জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করা হবে। এরপর আবদুল্লাহর চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকের মধ্যে কারা দেশে আসবেন এবং কিভাবে আসবেন তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। জাহাজটি দুবাই পৌঁছার পর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জাহাজ মালিকপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।</p> <p> </p>