<p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">চট্টগ্রামের রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। বাকি পাঁচটিতে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। সরকারবিরোধী দলগুলো থেকে কোনো প্রার্থী না থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা একে অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী না থাকায় ওই পাঁচ উপজেলায় ভোটের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই পরিবেশ বজায় থাকা নিয়ে দলীয় নেতা থেকে শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের অজানা শঙ্কা। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">নাম প্রকাশ না করে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলার কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের প্রার্থী হতে কেন্দ্র থেকে নিষেধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রথম দুটি ধাপে চট্টগ্রামের এমপি ও মন্ত্রীদের স্বজনরা কেউ নির্বাচনে না থাকলেও কেউ কেউ তাঁদের অনুসারীদের বিজয়ী করে আনার চেষ্টা করছেন। তাঁরা প্রকাশ্যে মাঠে না নামলেও তাঁদের অনুসারীদের দেখার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের (ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার) বলে দিচ্ছেন। এতে ভোটে মন্ত্রী-এমপিদের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ রয়েছে। ফলে বঞ্চিত হতে পারেন প্রার্থী হওয়া দলের ত্যাগী নেতারা। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">আগামী ৮ মে চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ এবং ২১ মে হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট। এর মধ্যে রাউজানে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান তিন পদেই একক প্রার্থী এবং রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একজন করে প্রার্থী। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় ভোটের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ এপ্রিল। এসব প্রার্থীর কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে ওই দিনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন। ফলে রাউজানে ভোট হবে না। আর রাঙ্গুনিয়ায় শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হতে পারে। এ ছাড়া অন্য পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে ভোট হবে আগামী ৮ মে। তবে সন্দ্বীপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আর হাটহাজারী, ফটিকছড়িতে সব পদে এবং রাঙ্গুনিয়ায় শুধু নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হওয়ার কথা। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু এবং সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আরিফুল আলম রাজু। সেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রার্থী এই উপজেলায়। মিরসরাইয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, একই কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন এবং সদস্য ফেরদৌস হোসেন আরিফ, উত্তম কুমার শর্মা, মোহাম্মদ মোস্তফা। একই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন লড়ছেন। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">এদিকে সন্দ্বীপে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান পদে দুজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।</span></span></span></span></span></span></span></p>