<p>পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পার হলেও কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। অথচ সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষার জন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। ভাঙ্গুড়া বাজারে অবস্থিত সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি এবং শরত্নগর বাজারে শরত্নগর ফাজিল মাদরাসায় দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।</p> <p>জানা যায়, ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের ভাঙ্গুড়া বাজার ও শরত্নগর বাজারে অন্তত আটটি কোচিং সেন্টার রয়েছে। এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের ৫০০ মিটারের মধ্যেই বেশির ভাগ কোচিং সেন্টার। একাধিক কোচিং সেন্টারের মালিক এমপিওভুক্ত কলেজের শিক্ষক। এসব কোচিং সেন্টারে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী কোচিং করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে এবং ফেসবুক আইডি থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা সম্পর্কিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চিঠি প্রচার করা হয়। তবে এসব নির্দেশনা অমান্য করেই সব কোচিং সেন্টার কার্যক্রম চালু রেখেছে। অথচ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে।</p> <p>পরীক্ষা চলাকালীন একাধিক দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গুড়া বাজারে অবস্থিত প্রিজম ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অ্যাডভান্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শরত্নগর বাজারের বিজ্ঞান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাসের মেমোরিয়াল একাডেমি, জগাতলা বাজারে বিদ্যা নিকেতন কোচিং সেন্টার এসএসসি পরীক্ষা চলাকালেও খোলা রেখে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কম।</p> <p>প্রিজম কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বেতন দিয়ে পড়ে। খোলা না রাখলে বেতন দিতে চাইবে না। তাহলে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া যাবে না। অনেক ঝামেলা হবে। তাই ক্লাস চালাচ্ছি। তা ছাড়া এ বছর কোচিং বন্ধের কোনো চিঠিও পাইনি।’</p> <p>পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মানিক কুমার বলেন, ‘কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে এ বছর কোনো চিঠি পাইনি। পেলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখব। অন্যান্য বছর কোচিং সেন্টার বন্ধের জন্য চিঠি পাঠাত উপজেলা প্রশাসন।’</p> <p>বিজ্ঞান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক জাহানারা খাতুন বলেন, ‘কিছুদিন পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করা হবে। তাই প্রস্তুতির জন্য কোচিং সেন্টার খোলা রাখা হয়েছে।’</p> <p>বাসের মেমোরিয়াল একাডেমির পরিচালক মোকলেসুর রহমান বলেন, ‘বন্ধের নির্দেশনার বিষয়টি জানা নেই।’</p> <p>উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>