<p>বাংলাদেশে গত কয়েক দিন ধরে তাপপ্রবাহের কারণে তীব্র গরম চলছে। কৃষকদের তীব্র তাবপ্রবাহ ও হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচাতে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নে মহিপুর এলাকায় তিস্তা চরে ‘কৃষকের ছাউনি’ তৈরি করেছে রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘ।</p> <p>বুধবার (১ মে) ‘কৃষকের ছাউনি’র উদ্বোধন করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রংপুর মেডিক্যাল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. সরকার মনিরুজ্জামান রিংকু।</p> <p>‘কৃষকের ছাউনি’র উদ্বোধনের আগে রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা শাখার সভাপতি ও রংপুর সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. সাদাকাত হোসেনের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রংপুর মেডিক্যাল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. সরকার মনিরুজ্জামান রিংকু, গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম।</p> <p>‘কৃষকের ছাউনি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাচিপ নেতা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান পাভেল, ডা. আশফাকুল হক খন্দকার পুলক, ডা. মোফাজ্জল হায়দার সিদ্দিকী, ডা. আশিকুর রহমান তালুকদার, ডা. ফরহাদ হোসেন, ডা. রাইসুল ইসলাম নবীন প্রমুখ।</p> <p>জানা গেছে, তিস্তার চরে কৃষকদের বিশ্রামের কোনো ব্যবস্থা আগে ছিল না। তীব্র গরম, ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাত শুরু হলে আশপাশে কোথাও ঠাঁই নিতে পাড়তেন না। মূলত এ দুর্ভোগের কথা চিস্তা করে কৃষক ছাউনি করার পরিকল্পনা করে রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘ।</p> <p>স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রংপুর মেডিক্যাল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. সরকার মনিরুজ্জামান রিংকু বলেন, ‘কৃষক ছাউনিটি চমৎকার লেগেছে। এই কৃষক ছাউনি অন্যান্য চরাঞ্চলের এলাকার লোকজনের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে। চরের কৃষকরা এখন থেকে এই ছাউনিতে বিশ্রাম নিতে পারবেন।’ চলমান তীব্র দাবদাহ থেকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে তিনি কৃষকদের বেশি বেশি পানি পান, ছায়াযুক্ত স্থানে যথাসম্ভব অবস্থানের পরামর্শ দেন।</p> <p>গঙ্গাচড়া উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘কৃষক ছাউনি করার আগে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে পরিকল্পনার কথা জেনে খুবই খুশি হই। এই ছাউনি তৈরির ফলে উপকৃত হবেন কৃষকরা। কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। আমরাও কৃষি বিভাগ থেকে চরাঞ্চলে কৃষকদের জন্য ছাউনি তৈরি করব।’</p> <p>গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে বৃষ্টির সময় আমরা মাঠে ভয় নিয়ে কাজ করেছি। এখন নির্ভয়ে কাজ করছি। আগে রোদে কোথাও যাওয়ার উপায় ছিল না। এখন আমরা এই ঘরের নিচে আশ্রয় নেব।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ্ বসুন্ধরা গ্রুপের ভালো করুক।’</p> <p>‘কৃষক ছাউনি’র উদ্বোধন শেষে কৃষকদের মাঝে খাওয়ার স্যালাইন ও পানি বিতরণ করা হয়।</p>