৩৩৫ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নেবে পিডিবিএফ

  • সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে ৩৩৫ জন নিয়োগ দেবে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)। সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকতা পদে আবেদন করতে হবে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের মধ্যে। কাজের ধরন, নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ আবেদনের দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
৩৩৫ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নেবে পিডিবিএফ

আবেদনের যোগ্যতা ও বেতন-ভাতা

অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ বাণিজ্যে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। হিসাব ব্যবস্থাপনার কাজে পারদর্শী হতে হবে। সব বিভাগ ও জেলার স্থায়ী বাসিন্দারা আবেদন করতে পারবেন।

৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর। বয়স নির্ধারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিধি অনুসরণ করা হবে। পিডিবিএফ-এ কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য হবে। নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১১তম গ্রেডে ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা স্কেলে প্রারম্ভিক মাসিক বেতন পাবেন।
পরে অন্যান্য সুবিধাও যুক্ত হবে।

 

সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্ব

সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা মূলত উপজেলা পর্যায়ের গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের ঋণ বিতরণ ও আদায়ের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ রাখতে হয়। সুবিধাভোগীদের সঞ্চয় সংগ্রহের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ ও ডেটাবেইসের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড রাখা, আর্থিক রিপোর্ট তৈরি ও বিশ্লেষণে সহায়তা করাও তাঁদের দায়িত্ব।

এ ছাড়া দাপ্তরিক অন্যান্য আর্থিক দায়িত্বও পালন করতে হয়।

 

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা নিয়োগ বিধি অনুসারে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হয়। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এমসিকিউ অথবা রচনামূলক পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষায় ৮০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে।  শুরুতেই লিখিত এবং পরে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিধি অনুযায়ী প্রার্থীকে উভয় পরীক্ষায়ই পাস করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীর প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র নিয়োগ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি

বাংলা, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, হিসাববিজ্ঞান, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে। বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন করা হয়। গদ্য-পদ্য অংশ থেকেও প্রশ্ন থাকতে পারে। রচনামূলক পরীক্ষার জন্য অনুচ্ছেদ, লেটার রাইটিং, রচনা লেখার প্রস্তুতি রাখতে হবে। ইংরেজি অংশে গ্রামার থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। তাই গ্রামারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো বেশি পড়তে হবে। রচনামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে লেটার রাইটিং, প্যারাগ্রাফ, রচনা লেখার প্রস্তুতি রাখতে হবে। হিসাববিজ্ঞানে নবম ও দশম শ্রেণির বই অনুসারে শর্ট ও ব্রড দুই পদ্ধতির অঙ্কগুলো বেশি বেশি চর্চা রাখতে হবে। গণিত অংশে পাটিগণিত ও বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন করা হয়। অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিত এবং নবম-দশম শ্রেণির বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো অনুশীলন করতে হবে। সাধারণ জ্ঞানে জাতীয় ও আন্তর্জার্িতক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাধারণ জ্ঞানের সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক বা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদের বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে অনুশীলন করলে পরীক্ষার বিষয়ে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। এই পদের জন্য বাজারে সহায়ক বই পাওয়া যায়। বইগুলো প্রস্তুতিতে বেশ ভালো ভূমিকা রাখবে।

 

অনলাইনের লিংক

http://pdbf.teletalk.com.bd

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন অধিদপ্তরে চাকরি পাবেন ২৫৫ জন

শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন অধিদপ্তরে চাকরি পাবেন ২৫৫ জন
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

১৩ ধরনের পদে ২৫৫ জন নিয়োগ দেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি অধিদপ্তর। নবম থেকে বিশতম গ্রেডে নেওয়া হবে জনবল। আবেদন করতে হবে আগামীকালের (২০ এপ্রিল ২০২৫) মধ্যেই।

 

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও বিষয়াবলি উল্লেখ না থাকলেও সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার মতোই এই অধিদপ্তরের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি অনুসারে সবগুলো পদের ক্ষেত্রেই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। টেকনিক্যাল পদ ও কম্পিউটার ব্যবহার রয়েছে এমন পদের ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক পরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা ও পদভেদে ব্যাবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী বাছাই করা হবে।

 

নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি ও প্রস্তুতি

পদভেদে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে নবম ও দশম গ্রেডের পদগুলোর জন্য অন্যান্য অধিদপ্তরের ১ম শ্রেণির চাকরির পরীক্ষার মতোই প্রস্তুতি নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে ব্যাংক বা বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার সিলেবাস অনুসারে করা যেতে পারে। ১৩তম থেকে ১৬তম গ্রেডের পদগুলোর জন্য তৃতীয় শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার ধরন অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে। এতে নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোর ক্ষেত্রে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই অনুসারে প্রস্তুতি রাখতে হবে। এ ছাড়া সব পদের ক্ষেত্রেই সমসাময়িক প্রকাশিত সাধারণ জ্ঞানের বই, সংবাদপত্র ও বিগত পরীক্ষার গ্রেডভিত্তিক প্রশ্নপত্রসহ নিয়োগ সহায়ক বই পড়া যেতে পারে।

 

পদের সংখ্যা ও যোগ্যতা

সহকারী পরিচালক পদ ২৬টি; প্রথম শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর অথবা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা। টেলিফোন ইঞ্জিনিয়ার—১টি; টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। ফিল্ড অফিসার—১৭টি; দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি। উচ্চতা পুরুষ প্রার্থী ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থী কমপক্ষে ৫ ফুট। বুকের মাপ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ (সম্প্রসারিত)।

সাঁটলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর—৫টি; কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতাসহ প্রয়োজনীয় সাঁটলিপি ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি। সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর—১৪টি; কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতাসহ প্রয়োজনীয় সাঁটলিপি ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি। ওয়্যারলেস অপারেটর—২০টি; এইচএসসি বা সমমানের পাস এবং সংশ্লিষ্ট কারিগরি কাজে দক্ষ। অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট ২টি—এইচএসসি বা সমমান পাস এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষ। অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ২০টি—২য় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস এবং প্রয়োজনীয় টাইপিং স্পিড। গাড়িচালক—১০টি; জেএসসি বা সমমান পাস এবং হালকা গাড়ি চালনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স। গাড়ি চালনায় অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার। রিসিপশনিস্ট—১টি; এইচএসসি পাস এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষ। উচ্চতা পুরুষ প্রার্থী ন্যূনতম ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থী কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বুকের মাপ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ (সম্প্রসারিত)। ফিল্ড স্টাফ—১০৯টি; এসএসসি পাস। উচ্চতা পুরুষ প্রার্থী ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থী কমপক্ষে ৫ ফুট। বুকের মাপ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ (সম্প্রসারিত)। টেলিফোন লাইনম্যান—৩টি; এসএসসি পাস এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড কোর্স উত্তীর্ণ। অফিস সহায়ক—২৪টি; এসএসসি বা সমমান পাস। ১ মার্চ ২০২৫ অনুযায়ী প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর।

 

বেতন-ভাতা

নিয়োগপ্রাপ্তদের জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে ও পদভিত্তিক নির্ধারিত স্কেলে গ্রেড অনুসারে মাসিক বেতন এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।

 

আবেদনের লিংক

http://ndr.teletalk.com.bd

 

♦ মো. সাজিদ

মন্তব্য
ভাইভা অভিজ্ঞতা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তোমার জেলার অবদান কী?

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন তৌহিদ হোসেন। ৪১তম বিসিএসে আনসার ক্যাডারে মেধাক্রমে চতুর্থ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয়ে সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট। ভাইভা হয়েছিল ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তোমার জেলার অবদান কী?
তৌহিদ হোসেন

অনুমতি নিয়ে ভাইভা রুমে ঢুকে সালাম দিলাম। আমাকে বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।

 

চেয়ারম্যান : আচ্ছা তুমি তো ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে পড়ালেখা করেছ।

তার মানে তুমি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিষয়ে এক্সপার্ট!

(কিছু না বলে মুচকি হাসি দিলাম।)

আচ্ছা বলো তো, ওভার ইনভয়েস ও আন্ডার ইনভয়েস কী? 

—স্যার, ওভার ইনভয়েস হলো আমদানীকৃত পণ্যের পরিমাণ এবং মূল্য বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে পাচারের একটা অবৈধ পন্থা। আর আন্ডার ইনভয়েস হলো রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের পরিমাণ এবং মূল্য কম দেখিয়ে দেশে কম অর্থ নিয়ে আসা এবং অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে জমা রাখার অবৈধ পন্থা।

 

এখন বলো, ট্যাক্স বা কর কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণ দাও।

—স্যার, ট্যাক্স বা কর মূলত দুই প্রকার। প্রত্যক্ষ কর ও পরোক্ষ কর। আয়কর, জমির খাজনা—এগুলো হলো প্রত্যক্ষ কর। আর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট হলো পরোক্ষ কর।

 

এক্সটার্নাল-১ : আচ্ছা, এটা তোমার কততম বিসিএস?

—স্যার, এটা আমার দ্বিতীয় বিসিএস।

প্রথম বিসিএসের কী অবস্থা?

—স্যার, প্রথম বিসিএসে (৪০তম) প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হইনি।

তাহলে দ্বিতীয় বিসিএসে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করে ভাইভা দিচ্ছ? বাহ! আচ্ছা বলো, স্মার্ট বাংলাদেশের স্তম্ভ কয়টি ও কী কী?

—স্যার, স্মার্ট বাংলাদেশের স্তম্ভ ৪টি। যেমন—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট।

স্মার্ট সিটিজেন বলতে তুমি কী বুঝো?

—স্যার, স্মার্ট সিটিজেন হলো প্রযুক্তিতে দক্ষতাসম্পন্ন জনগণ, যারা দক্ষতার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে শহর ও গ্রামের ব্যবধান দূর করবে।

দৈনন্দিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা তাদের কাজকে সহজ করে তুলবে।

ঠিক আছে, ভাষা আন্দোলন তো আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বলো তো, ভাষা আন্দোলনের ফলে বাঙালিদের মধ্যে কী জাগ্রত হয়েছিল।

—স্যার, ভাষা আন্দোলনের ফলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ জাগ্রত হয়েছিল। বাঙালির মুক্তির আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছিল। আর এর মাধ্যমে ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ’৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ সালের ছয় দফা, ’৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০ সালের নির্বাচন হয়। সবশেষে ’৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি শোষণ থেকে মুক্তি পেয়েছে।

 

এক্সটার্নাল-২ : স্মার্ট বাংলাদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এর ইতিবাচক প্রভাব কী হবে?

—স্যার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এর প্রভাব অনেক। যেমন—রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষণ করবে,

বাণিজ্য কার্যক্রম সহজ হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাণিজ্য প্রক্রিয়া দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে।

তোমার জেলা কোনটি? আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তোমার জেলার অবদান কী?

—স্যার, আমার জেলা সাতক্ষীরা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমার জেলার অবদান অনেক। আমার জেলায় প্রচুর চিংড়ি উৎপাদিত হয়, যা বিদেশেও রপ্তানি হয়। প্রতিবছর সুস্বাদু আম্রপালি আম এবং টালি বিদেশে রপ্তানি হয়। এর ফলে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।

 

চেয়ারম্যান : ঠিক আছে, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। তোমার ভাইভা শেষ।

 

 

মন্তব্য

দারিদ্র্য জয় করে ছোটন এখন ম্যাজিস্ট্রেট

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন ছোটন মিয়া। আর্থিক সংকটের মধ্যে বড় হলেও লক্ষ্য পূরণে ছিলেন অটল। তার ফলও পেলেন। ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় সহকারী জজ বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর জীবনসংগ্রাম ও ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার গল্প শুনেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
শেয়ার
দারিদ্র্য জয় করে ছোটন এখন ম্যাজিস্ট্রেট
ছোটন মিয়া

জন্ম কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হোসনাবাদে। শৈশব থেকেই তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। আমার বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর, অন্যের জমিতে কাজ করতেন। সংসার চালাতেই তিনি হিমশিম খেতেন।

তাই পড়াশোনার খরচ জোগাতে আমিও বাবার সঙ্গে অন্যের জমিতে কাজ করতাম। পড়াশোনা, চাকরির প্রস্তুতি—সবই করেছি নিজের আগ্রহে।

নবম শ্রেণিতে ওঠার পর স্কুল শিক্ষকরা পরামর্শ দেন বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে। কিন্তু বিজ্ঞানে ভালো করতে প্রাইভেট পড়তে হয়! চিন্তায় পড়ে গেলাম।

চাপ কমাতে অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে উচ্চতর গণিত না নিয়ে কৃষি নিই। বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। রাতে হারিকেন জ্বালিয়ে পড়লে খরচ হয় বলে দিনে পড়তে হতো। এসএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস পেলাম।
ভর্তি হই কুমিল্লা সরকারি কলেজে। দূরে থেকে পড়াশোনার খরচের সামর্থ্য না থাকায় দুই মাস পর ভর্তি বাতিল করে গ্রামে চলে আসি।

গ্রামের একটি কলেজে ভর্তি হই। ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিই। কোচিং করতে পারিনি।

এক কলেজবন্ধু আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতির জন্য ৩টি সহায়ক বই উপহার দেয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিই। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিষয়ে ১০২তম হই। পরে মাইগ্রেশন করে আইন বিভাগে ভর্তি হই। খরচ জোগাতাম টিউশনি করে। টিউশনি করলে বেসিক অনেক বিষয় চর্চায় থাকে, যা চাকরির প্রস্তুতিতেও কাজে আসে।

২০২০ সালে হঠাৎ বাবা মারা যান। মনে মনে ভাবলাম, পরিবারের জন্য হলেও ক্যারিয়ারে সফল হতে হবে। আমি যখন ৪র্থ বর্ষে পড়ি তখন থেকেই মূলত চাকরির প্রস্তুতি শুরু করি। লক্ষ্য নির্ধারণ করলাম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হব! করোনার সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতাম। আমার মেন্টর হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এক ভাই। শুরুটা কিভাবে করতে হবে, কোন কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে, সেই বিষয়গুলোতে তিনি আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন।

শুরু থেকেই প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার জন্য একসঙ্গে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার কোনো নোট করার অভ্যাস ছিল না। তাই প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা বই সংগ্রহ করে বিস্তারিত বুঝে পড়তাম। বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো দাগিয়ে টুকে রাখতাম।

যে বিষয়গুলোতে নম্বর তোলা সহজ, সেগুলোর ওপরই আমি বাড়তি জোর দিয়েছি। গণিত ও বিজ্ঞানে উত্তর ঠিকঠাক হলে বেশি নম্বর তোলা যায়। তাই বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হওয়ায় এই দুই বিষয়ের ওপর ভালোই দখল ছিল। তা ছাড়া প্রস্তুতির সময় মুসলিম আইন ও বিশেষ আইনের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ এই বিষয়গুলোতে ‘সমস্যা’সংক্রান্ত প্রশ্ন বেশি থাকে। কিন্তু সঠিক উত্তর দিতে পারলে গণিতের মতো পুরো নম্বর তোলা যায়।

২০২০ সালে অনার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে শেষ হয় এক বছর পর। অনার্স শেষে প্রথমবারের মতো ১৫তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিই। সেই পরীক্ষায় আমি প্রিলিমিনারি থেকেই বাদ পড়ে যাই। ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও প্রিলিমিনারিতে না টিকে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু হাল না ছেড়ে ১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিই। এই বিজেএসে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভাইভায় পাস করতে পারিনি। তারপর মানসিকভাবে তৈরি হয়েও আবারও প্রস্তুতি নিই। অবশেষে ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিই। সব ধাপে ভালো করে সহকারী জজ/জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হই।

 

মন্তব্য

৫৪০ কর্মী নেবে জীবন বীমা করপোরেশন

    তিন ধরনের পদে মোট ৫৪০ জন নিয়োগ দেবে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশন। পদগুলো হলো—উচ্চমান সহকারী (১৭৬), অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (১৬৫) ও অফিস সহায়ক (১৯৯)। আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ মে ২০২৫। নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
৫৪০ কর্মী নেবে জীবন বীমা করপোরেশন
ছবি : এআই দিয়ে তৈরি

কেমন হবে নিয়োগ পরীক্ষা

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্ধারিত নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা (লিখিত, মৌখিক ও ব্যাবহারিক) নেওয়া হবে। সব পদের ক্ষেত্রেই এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তবে উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কম্পিউটারের ওপর ব্যাবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। অফিস সহায়ক পদের ক্ষেত্রে শুধু সংক্ষিপ্ত পদ্ধতির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

বিগত নিয়োগ পরীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদগুলোতে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এবারও একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হতে পারে।

 

বিগত পরীক্ষা কেমন ছিল

২০২১ সালের উচ্চমান সহকারী পদের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষায় দেখা গেছে, মোট ৮০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রে বাংলায় ২০, গণিতে ২০, ইংরেজিতে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে ২০ নম্বর বরাদ্দ ছিল।

একই বছরের অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় (এমসিকিউ) ৮০ নম্বরের প্রশ্ন ছিল। এই পদের প্রশ্নেও বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন একই ছিল। তবে অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষা (২০২১) হয়েছিল সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে ৪০ নম্বরে। এখানে নম্বর বণ্টন ছিল—বাংলায় ১০, গণিতে ১০, ইংরেজিতে ১০ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১০।
প্রার্থীরা এই প্রশ্ন কাঠামো বা পদ্ধতি অনুসরণ করেই প্রস্তুতি নিতে পারেন। 

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি

লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর। উচ্চমান সহকারী এবং অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের প্রস্তুতি নিতে হবে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই থেকে। অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিত এবং নবম-দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু ও অধ্যায় ভালো ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। অফিস সহায়ক পদে সাধারণত পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে প্রশ্ন করা হয়।

প্রস্তুতি নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় কম থাকলে এসব পদের জন্য নির্ধারিত সহায়ক বই সংগ্রহ করতে পারেন। পরীক্ষার সহজ প্রস্তুতির জন্য খুব ভালো উৎস হতে পারে বইগুলো। এ ছাড়া ইউটিউব ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও নমুনা প্রশ্ন দেখে বাসায় নিজে নিজে মডেল টেস্ট দিতে পারেন। সাধারণ জ্ঞানের সমসাময়িক বিষয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতেও খোঁজখবর রাখতে হবে।

 

বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিক

বাংলা : বাক্য রচনা, সমাস, কারক, ভাষা, সন্ধি বিচ্ছেদ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন। গদ্য ও পদ্য থেকে প্রশ্ন কম থাকে।

ইংরেজি : Transformation of verbs, Phrases and idioms, Translation, Fill in the blanks, Sentence making, Correction, Narration, Voice & Sprats of speech|

গণিত : পাটিগণিত, বীজগণিত এই দুটো অংশ থেকে প্রশ্ন আসে। প্রশ্ন আসে জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি থেকেও। অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই (পাটিগণিত) থেকে—লসাগু, গসাগু, শতাংশ, গড় নির্ণয়, শতকরা, সুদকষা, অনুপাত ও সমানুপাত। নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই (বীজগণিত) থেকে—উৎপাদক, মাননির্ণয় ও জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি।

সাধারণ জ্ঞান : সাম্প্রতিক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা তথ্যের (বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ও বিশ্ব) পাশাপাশি বিজ্ঞান, অর্থনীতি, কম্পিউটার, ইতিহাস, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ের ওপর প্রস্তুতি রাখতে হবে। এ ছাড়া জীবন বীমা সম্পর্কিত সাধারণ তথ্য থেকেও প্রশ্ন থাকে।

 

পদভিত্তিক যোগ্যতা

উচ্চমান সহকারী—স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস হতে হবে। অফিস সহকারী-কাম- কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক—এইচএসসি বা সমমানের পাসসহ কম্পিউটারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ এবং ইংরেজিতে ২৮ শব্দের গতি থাকতে হবে।

অফিস সহায়ক—অষ্টম বা সমমানের যোগ্যতা থাকলেই আবেদন করা যাবে। অফিস সহায়ক পদে আবেদনের ক্ষেত্রে করপোরেশনে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরতদের বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রার্থীর বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে)। চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

 

বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা

প্রার্থীরা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন। উচ্চমান সহকারী পদে ১৩তম গ্রেডে ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৬তম গ্রেডে ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা এবং অফিস সহায়ক পদে ২০তম গ্রেডে ৮,২৫০-২০০১০ টাকা স্কেলে মাসিক বেতন। এ ছাড়া অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা তো থাকছেই।

 

আবেদন যেভাবে

আবেদন করতে হবে অনলাইনে (http://jbc.teletalk.com.bd)। যাঁরা ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ইতোপূর্বে আবেদন করেছেন, তাঁদের পুনরায় আবেদন করতে হবে না।

 

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ