<p>বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা দেশ ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও রাশিয়ার তেল কম দামে আনার সুযোগ কাজে লাগায় ভারত। এতে দেশটির অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে কমে যায়। ভারতের তেল মন্ত্রণালয়ের পিপিএসির তথ্য অনুযায়ী, মার্চে শেষ হওয়া ২০২৪ অর্থবছরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে ভারতের খরচ পড়েছে ১৩২.৪ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটির খরচ পড়েছে ১৫৭.৫ বিলিয়ন ডলার। দেশটির তেল আমদানি খরচ কমেছে ২৫.১ বিলিয়ন ডলার।</p> <p>রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু এর জেরে সারা পৃথিবীতে যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি শুরু হয়, তাতে তেলের চাহিদা কমে যায়। পরিণতিতে তেলের দামও কমতে শুরু করে। এরপর প্রায় এক বছর অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের কম ছিল। পেট্রল-ডিজেলের দাম দেড় বছরের বেশি সময় ধরে অপরিবর্তিত রেখে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছিল, তেল কম্পানিগুলো বিশ্ববাজারের চড়া দামে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সাধারণ মানুষের গায়ে তার আঁচ লাগতে দেয়নি।</p> <p>সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে উভয় তেলের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা করে কমানো হয়। ইন্ডিয়ান অয়েলের দাবি, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে তাদের নিট মুনাফা সে কারণেই কমে অর্ধেক হয়েছে। কমেছে শেয়ারের দাম। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করায় ভারতের নীতিনির্ধারণী মহল চিন্তায় পড়ে গেছে। ভোট শেষ হওয়ার পর পেট্রোপণ্যের দাম কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।</p> <p>ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে রাশিয়ার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিল যুক্তরষ্ট্র, ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বৃদ্ধি করে ভারত। এতে তারা রাশিয়ার কাছ থেকে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে তেল পেয়েছে। তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই রাশিয়ার তেলের ছাড় কমতে শুরু করে। একসময় রাশিয়ার তেল কেনায় ব্যারেলপ্রতি যেখানে ২৫ থেকে ৩০ ডলারের সুবিধা পেত ভারত, এখন তা চার ডলারে নেমে এসেছে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় রাশিয়া যেমন ছাড় কমিয়েছে, তেমনি রাশিয়ার তেলের পরিবহন খরচও বেড়ে গিয়েছিল। সূত্র : এনডিটিভি</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>