<p>মা আমাকে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছেন। আদর-যত্নে বড় করেছেন। নিজে কষ্ট করেও আমাকে আগলে রেখেছেন। তিনি আমাকে ছোট থেকে এ পর্যন্ত সব কিছুতে সাহায্য করে আসছেন। আমরা ভাষা শিখেছি মায়ের কাছ থেকে। এ জন্য নিজেদের ভাষাকে মায়ের ভাষা বলি। প্রতিটি কাজে মায়ের সাহায্য ছাড়া আমাদের চলার উপায় নেই। মায়ের বড় কষ্টের কাজ—প্রতিদিন আমাদের জন্য রান্না করা। মা না থাকলে হয়তো আমাদের না খেয়ে থাকতে হতো। তবে মা খুব ভালো রান্না করেন। প্রতিদিন আমাদের পছন্দের মজার মজার খাবার রান্না করেন। তিনি আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। কোনো সমস্যা হলে প্রথেমেই মাকে বলি। মা আমার জীবন্ত ডিকশনারি। প্রায় সব সমস্যার সমাধান দিতে পারেন। অনেক কিছু আমার মনে না থাকলেও মা ঠিকই সময়মতো বলেন, ‘এখন এটা করতে হবে।’ মায়ের জীবনটা আমাদের দুই ভাই-বোনকে নিয়ে। তিনি প্রতিদিন সকালে আমাদের স্কুলে নিয়ে যান। বিকেলে আবার নিয়ে আসেন। তাঁর জন্য কখনো আমাকে একা স্কুলে যেতে বা আসতে হয়নি। শুক্র-শনিবার শিশু একাডেমিতে গান-ছবি আঁকা শিখি। সেখানেও যাই মায়ের সঙ্গে। আমার বয়স এখন ১২ বছর। এই দীর্ঘ এক যুগ ধরে মা আমাকে আগলে রেখেছেন। আগলে রেখেছেন আমার আদরের ছোট বোনটিকেও। এই শহরে মাকে ছাড়া আমার চলার উপায় নেই। মাকে আমি অনেক অনেক ভালোবাসি।</p> <p> </p>