সালমান এফ রহমানের বিদেশের সম্পদ জব্দ, অবরুদ্ধ কম্পানির শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সালমান এফ রহমানের বিদেশের সম্পদ জব্দ, অবরুদ্ধ কম্পানির শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে বিদেশি দুটি ব্যাংক হিসাব ও কম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন
একই বছর মারা যাবেন শাহরুখ-সালমান, ভবিষ্যদ্বাণী জ্যোতিষীর!

একই বছর মারা যাবেন শাহরুখ-সালমান, ভবিষ্যদ্বাণী জ্যোতিষীর!

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাৎসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ অন্যান্যদের নামে ব্যাংক হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়।

 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, তারা এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ হস্তান্তর/স্থানান্তর/রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশীট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই, সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সালমান এফ রহমানের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

আরো পড়ুন
অপারেশন ডেভিল হান্ট : বাগেরহাটে এক মাসে গ্রেপ্তার ৩৬৪

অপারেশন ডেভিল হান্ট : বাগেরহাটে এক মাসে গ্রেপ্তার ৩৬৪

 

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২ টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এসব হিসাবে সর্বমোট ৫৫ কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ১১৭ টাকা রয়েছে। গত ১৩ আগস্ট  রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মেঘনা আলমের সহযোগী আরো ৪ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মেঘনা আলমের সহযোগী আরো ৪ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদাদাবির অভিযোগে করা মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের সহযোগী সানজানা ম্যান পাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরের আরো চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম.এ. আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ আরো সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার আরো চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতি, প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক মর্মে চানা যায়। এছাড়া ইতোপূর্বে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল।

বিভিন্ন আকর্ষনীয়, স্মার্ট মেয়েদেরকে তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কুটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং দেওয়ান সমির তার ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে চক্রান্তের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশ্যে তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কুটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করে বড় অংকের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করে থাকে।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মেঘনা আলমের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া গ্রেপ্তারের পর গত ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল ধানমণ্ডি থানার মামলায় মেঘনা ও দেওয়ানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওইদিন মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

একইসঙ্গে দেওয়ানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মন্তব্য

পাওয়া গেল পলকের হারানো সেই সোয়েটার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাওয়া গেল পলকের হারানো সেই সোয়েটার
সংগৃহীত ছবি

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেছিলেন, কারাগার থেকে তার ২টি সোয়েটার হারিয়েছে। গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলেই সেই সোয়েটার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কারাগারে থাকা বেশ কিছু জামা-কাপড়ও পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন
বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে বাঁচতে পারে : ধর্ম উপদেষ্টা

বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে বাঁচতে পারে : ধর্ম উপদেষ্টা

 

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সোয়েটার হারানোর কথা জানান।

আগামী শীত পর্যন্ত যদি কারাগারে থাকতে হয়, তাহলে সোয়েটার জোগাড় করতে হবে বলেও জানান তিনি। তার সোয়েটার হারানোর কথা গণমাধ্যমকে জানান পলকের আইনজীবীও।

এ বিষয়ে কারা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কারাগার থেকে জুনাইদ আহমেদ পলকের সোয়েটার হারিয়ে যাওয়ার তথ্য জানার পর তিনি তার কর্মকর্তাদের বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেন। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, পলকের সোয়েটারসহ শীতের কাপড় কারাগারের স্টোররুমে জমা আছে।

আরো পড়ুন
ভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনশনে অনড় শিক্ষার্থীরা

ভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনশনে অনড় শিক্ষার্থীরা

 

তিনি আরো জানান, সম্প্রতি পলকের স্ত্রী কারাগারে এসেছিলেন। তখন তার শীতের কাপড় স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অসাবধানতাবশত কারারক্ষীরা তা ভুলে গিয়েছিলেন। সেদিন বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ গ্রহণ শেষ হলে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পরে ওই ব্যাগের মালিকানা না পাওয়ায় সেটি আবারও কারাগারের স্টোররুমে রাখা হয়।

মন্তব্য

তিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক ৫ মন্ত্রী ও সেনা কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
তিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক ৫ মন্ত্রী ও সেনা কর্মকর্তা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার তিন হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক পাঁচ মন্ত্রী ও এক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ হাজির করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। 

শুনানি শেষে বিচারক মো. ওমর হায়দার আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আসামিদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।


আদালত থেকে বের করে নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা আসামিদের লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ এবং বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। 

গ্রেপ্তার দেখানো আসামিরা হলেন— সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এনটিএমসির সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান এবং সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মজুমদার।

গাজীপুর মহানগর কোর্ট পরিদর্শক আসানউল্লাহ চৌধুরী জানান, গাছা থানার তিনটি হত্যা মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে আসামিদের আদালতে হাজির করার আগে পরে আদালতপাড়ায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পৃথক দুটি প্রিজনভ্যানে করে আসামিদের কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে তাদের আদালতের এজলাসে তোলা হয়। শুনানি শেষে ডা. দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাধন চন্দ্র মজুমদারকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং অন্য আসামিদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি আগুনে পোড়ার তথ্য সঠিক নয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি আগুনে পোড়ার তথ্য সঠিক নয়
ফাইল ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরসাদুর রউফ। তবে এর আগে এ হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আংশিক আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরসাদুর রউফ। তিনি বলেন, কোনো নথি পুড়ে গেছে এ ধরনের নিউজ সঠিক নয়।

তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, তা সঠিক নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরোনো নথি ও ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ।

তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ ৯ মাস সময় বৃদ্ধির কথা বললে বাদীপক্ষে আইনজীবী শিশির মনির ৩ মাস বৃদ্ধির কথা বলেন। আদালত ৬ মাস বৃদ্ধির মৌখিক আদেশ দেন। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ