সাবেক মন্ত্রী তাজুলের স্ত্রীর ৯২৩ বিঘা জমি জব্দের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাবেক মন্ত্রী তাজুলের স্ত্রীর ৯২৩ বিঘা জমি জব্দের আদেশ
সংগৃহীত ছবি

সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে বান্দরবানে থাকা ৯২৩ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১২টি ব্যাংক হিসাব ও ১৪টি শেয়ারে থাকা ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ২১৫ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এ ছাড়া গুলশানে জমিসহ একটি ফ্ল্যাট ও চট্টগ্রামের হালিশহরে চারতলা বাসার তিন ভাগের এক ভাগ অংশ জব্দের আদেশ হয়েছে।

 

আরো পড়ুন
‘মহামায়া’য় বুঁদ দর্শক, উচ্ছ্বসিত গীতিকার সোমেশ্বর অলি

‘মহামায়া’য় বুঁদ দর্শক, উচ্ছ্বসিত গীতিকার সোমেশ্বর অলি

 

এদিন দুদকের উপপরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখেন। তার স্বামী মো. তাজুল ইসলামের অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রীর নামে ৬ কোটি ৯০ লাখ ০২ হাজার ৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা প্রদান। একই সঙ্গে তার ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৩ টাকা জমা ও  ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৫ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করেন।

এতে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা তদন্তকালে তার নামে ব্যাংক হিসাবসমূহে গচ্ছিত অর্থের তথ্য পাওয়া যায়। যা তিনি যেকোন সময় হস্তস্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করছেন মর্মে জানা যায়। এ জন্য মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।
 

আরো পড়ুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির আরো ৮ নেতা বহিষ্কার

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির আরো ৮ নেতা বহিষ্কার

 

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল মো. তাজুল ইসলামের নামে তিন জেলায় থাকা ২৮ বিঘা জমি, দুটি বাণিজ্যিক স্পেস, একটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান জব্দের আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তার নিজ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত ২০ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার ২৩৭ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১৬টি কোম্পানিতে থাকা ৫ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ২৩০ টাকা মূল্যের শেয়ার ও ২ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা মূল্যের তিনটি গাড়ি অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কুষ্টিয়ায় যেতে চান না ইনু!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কুষ্টিয়ায় যেতে চান না ইনু!
ছবি: কালের কণ্ঠ

'আজকে কোন মামলা? কিছু জানো নাকি?' সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর প্রশ্নের জবাবে তার আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম বলেন, জানা নাই। তখন ইনু বলেন, আগামী ৮ মে কুষ্টিয়ায় তারিখ রয়েছে। এখানে ৬ মে হাজিরা রয়েছে। ৭ মে একটা মামলায় শ্যোন এরেস্টের ব্যবস্থা করো।

যাতে ৮ মে কুষ্টিয়ায় না যাওয়া লাগে। তখন আইনজীবী তাকে আশ্বস্ত করেন।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে এইভাবে আলাপ করেন তিনি।

এদিন ইনুকে আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর ভাটারা থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে, ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

মন্তব্য

ডিএমপির অফিস আদেশ স্থগিত, আসামি গ্রেপ্তারে লাগবে না অনুমতি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ডিএমপির অফিস আদেশ স্থগিত, আসামি গ্রেপ্তারে লাগবে না অনুমতি
ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে মর্মে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সার্কুলার স্থগিত করেন হাইকোর্ট। 

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি যে ঘটনায় যুক্ত ছিলেন, সে বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করার কথাও বলেছে পুলিশ।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন সই করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়ে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম, বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও, অডিও, স্থির চিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।

পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন একটি রিট দায়ের করেন।

আজ সেটার শুনানি শেষে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সাবেক মেয়র আতিক নির্বাচনে অংশ নিলে বিজয়ী হবে : আইনজীবী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাবেক মেয়র আতিক নির্বাচনে অংশ নিলে বিজয়ী হবে : আইনজীবী
ছবি: কালের কণ্ঠ

ভাটারা ও যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। শুনানি চলাকালে তার আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে বিজয়ী হবেন। তিনি যাতে নির্বাচন করতে না পারেন সে জন্য এসব মামলা দেওয়া হচ্ছে।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর পৃথক দুই মামলায় তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার দুই মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই ভাটারা থানাধীন বাঁশতলা এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে আহত হন মনির হোসাইন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ২০ জুলাই মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহতের ভাই গত ২ অক্টোবর ভাটারা থানায় মামলা করেন।

 

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকার বউবাজারের রোডে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গোলাগুলিতে চোখে গুলি লাগে লর্ড হ্যাডিক্ট সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র আরিফের। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় আরিফের বাবা মো. ইউসুফ যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য

কাঠগড়ায় ফুঁপিয়ে কাঁদলেন তুরিন আফরোজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কাঠগড়ায় ফুঁপিয়ে কাঁদলেন তুরিন আফরোজ
ছবি: কালের কণ্ঠ

নারী পুলিশ সদস্যের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তুরিন আফরোজকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। আজ বুধবার আদালতে তোলার সময় তাকে হাস্যজ্বল দেখা যায়। কাঠগড়ায় উঠানোর পর তিনি পেছনে দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন। তখন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা তানভীর হাসান সৈকত তাকে সান্ত্বনা দেন।

 

এদিন সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়। এসময় তাকে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। তখন তার আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, তুরিন আফরোজকে নির্যাতন করা হয়েছে।

তিনি কিছু কথা বলবেন। পরে বিচারকের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি ন্যায় বিচার চাই। কোনোকালে আমার রাজনৈতিক পদ পদবি ছিল না।
আমি শুধুমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। আমি হাটতে পারি না। 

পরে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, তিনি যা বলছে সত্য না। মিথ্যা কথা বলে এ ঘটনা অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টা করছে।

আদালতে প্যানিক সৃষ্টি করছে। তখন তুরিন নিজের পায়ে নির্যাতনের চিহ্ন বিচারককে দেখান। শুনানি শেষে তাকে উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। এসময় তাকে হাস্যজ্বল দেখা যায়। তবে কোনো কথা বলেননি তিনি।

এর আগে, গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৮ এপ্রিল তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১২ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ