<p>ইবরাহিম (আ.) মানুষকে এক আল্লাহর দিকে আহ্বান করেছেন। শাসকদের খোদায়ি মনোবৃত্তির বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন। তাঁর দাওয়াতি কাজ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তুমি কি ওই ব্যক্তির অবস্থা চিন্তা করোনি, যাকে আল্লাহ রাজত্ব দান করার কারণে সে নিজ রবের (অস্তিত্ব) সম্পর্কে ইবরাহিমের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়? যখন ইবরাহিম বলল, তিনি আমার রব, যিনি জীবনও দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তখন সে বলল, আমিও তো জীবন দান করি ও মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহিম বলল, আচ্ছা, আল্লাহ তো সূর্যকে পূর্ব থেকে উদিত করেন, তুমি তা পশ্চিম থেকে উদিত করো তো! এ কথায় সেই কাফির নিরুত্তর হয়ে গেল। আর আল্লাহ এরূপ জালিমদের হিদায়াত করেন না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৮)</p> <p>ইবরাহিম (আ.)-কে তো তাঁর জাতি পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করেছিল। এ জন্য তারা প্রচুর জ্বালানি কাঠ জোগাড় করেছিল। সুদ্দি (রহ.) বলেন, সে সময় একজন নারী অসুস্থ হলে সে মানত করত যদি সে সুস্থ হয়ে ওঠে তাহলে ইবরাহিমকে পোড়ানোর জন্য এক বোঝা কাঠ সে বয়ে দিয়ে আসবে। (তাফসির ইবনে কাসির : ৩/২৭৪)</p> <p>তারপর তারা ইবরাহিম (আ.)-কে পোড়ানোর জন্য বড় একটা গর্ত খুঁড়ে তাতে কাঠ জমা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন যখন খুব উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং তার লেলিহান শিখা বিস্তার করতে থাকে, তখন মিনজানিক নামক একধরনের যন্ত্রে করে তারা ইবরাহিম (আ.)-কে ওই আগুনে ফেলে দেয়। ফেলে দেওয়ার সময় ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন,</p> <p style="text-align: center;"><span style="color:#27ae60;"><span style="font-size:20px;"><strong>حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ</strong></span></span></p> <p>উচ্চারণ : ‌‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল’</p> <p>অর্থ : আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি কতই না সুন্দর তত্ত্বাবধায়ক!’ (সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ১৭৩)</p> <p>ইবনু আব্বান (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ইবরাহিম (আ.)-কে যখন আগুনে ফেলা হয় তখন তিনি বলেছিলেন—‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল’ (আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক। (বুখারি, হাদিস : ৪৫৬৩)</p> <p>তাই কঠিন বিপদে এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করা উচিত।</p>