<p>বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা ছয় মাস ২৮ দিন কারাভোগের পর ৯টি মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার কিছু সময় পর মুক্তি পেয়েছেন। বিন ইয়ামিন মোল্লার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আবু হানিফ দাবি করেছিলেন, বিন ইয়ামিন মোল্লাকে কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।</p> <p>বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী জানান, গত বছরের ১ আগস্ট দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্ট এলাকা থেকে মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিন ইয়ামীন মোল্লাকে। পরের দিন ২ আগস্ট উক্ত মামলায় বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, ঢাকা থেকে তিনি জামিন পান। কিন্তু তাঁকে জামিনে মুক্তি না দিয়ে ওই দিনই মতিঝিল থানায় ২০২১ সালে দায়েরকৃত মোদিবিরোধী আন্দোলনের মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। এরপর শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত মোদিবিরোধী আন্দোলনের আরো দুটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয় তাঁকে। এভাবে একের পর এক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে থাকে পুলিশ এবং বারবার তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এমনকি জেলখানাতেও তাঁকে বিশেষ কনডেম সেলে রেখে নির্যাতন চালানো হয়।</p> <p>তিনি আরো জানান, ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার এক ঘণ্টার জন্য তাঁকে উক্ত কনডেম সেল থেকে বের হতে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্য অর্থাৎ তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেও ঠিকমতো দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রাখতে এজাহারে নাম নেই এমন দুটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয় তাঁকে। সর্বশেষ পল্টন থানায় দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ নবম মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ছাত্রনেতা বিন ইয়ামীন মোল্লা। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দীর্ঘ ছয় মাস ২৭ দিন পর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।</p> <p>জানা যায়, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে জামিন শুনানিতে ছিলেন ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। তাঁর এই দীর্ঘ আইনি সহায়তায় নিরলসভাবে কাজ করেছেন বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার খান জুয়েল, অ্যাডভোকেট শেখ শওকত হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. খালিদ হোসেন, ড. শোয়েব মাহমুদ, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট সাজেদুল ইসলাম রুবেল, অ্যাডভোকেট সোহেল রানা, অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন প্রমুখ।</p>