বাংলাদেশে স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলাদেশে স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না : তারেক রহমান
সংগৃহীত ছবি

সংবিধানে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের সংস্কার চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে আর কখনো ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ চাই, যেখানে গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করবে জনগণের মালিকানা ও অংশীদারি।’ 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা : ৩১ দফার আলোকে সংস্কার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত গণতন্ত্রের পক্ষের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, কূটনীতিক, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজ আমরা যারা এখানে উপস্থিত রয়েছি, আমাদের রাজনৈতিক দর্শনে ভিন্নতা আছে; সেটিই স্বাভাবিক। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক ধারার মধ্যেও বৃহত্তর পরিসরে আমাদের সবার মধ্যে একটি বিষয়ে আদর্শিক ঐকমত্য রয়েছে। আর সেই বিষয়টি হলো, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।

তারেক রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের সময় আমরা তথাকথিত উন্নয়নের রাজনীতি দেখেছি। কিন্তু পতিত সেই রাজনীতির ভিত্তি ছিল দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়ন। অন্যদিকে জনগণের ভোটে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, আপনারা দেখতে পাবেন, আমাদের ৩১ দফার আলোকে, জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারির রাজনীতি। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হবে আইনের অনুশাসন, মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি একটি রুলস-বেসড রাষ্ট্র কাঠামো নিয়ে আসতে পারি, সারা পৃথিবী থেকে প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট ও প্রাইভেট ক্যাপিটাল নিজ গতিতেই বাংলাদেশে আসবে। আমাদের পাবলিক সেক্টরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে; দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো ব্যক্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও, স্বেচ্ছাচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবে না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি লেভেলে নিশ্চিত করা হবে কেউ জবাবদিহির ঊর্ধ্বে না, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে, আমরা দল-মত নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে চাই।

ঠিক যেভাবে আজ থেকে দুই দশক আগে, বিএনপি সরকারের সময়, বাংলাদেশে মিডিয়া নির্ভয়ে সরকারের সমালোচনা করতে পারত, কার্টুন আঁকতে পারত। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, আমাকে নিয়ে এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে, মিডিয়ার একাংশ ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছিল; মিডিয়া ট্রায়াল ও প্রপাগান্ডা ক্যাম্পেইন করেছিল। কিন্তু আমরা তার প্রতিদানে কোনো মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করিনি, কাউকে হেনস্থা করিনি, কোনো সম্পাদককে জেলে পাঠাইনি।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে আমার নিজের, আমার দলের এবং গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি তথা আপনাদের অনেকের ফ্রিডম অব স্পিচ, ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এবং ফ্রিডম অব অ্যাসোসিয়েশন সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে। সেই উপলব্ধিকে ধারণ করে, আমরা সব নাগরিক, বিশেষত মানবাধিকারকর্মী, সংবাদকর্মী ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করব, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এমন একটি রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা, যেখানে ইউটিউব, ফেইসবুক, ও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফরমে নিজেদের ভাবনা প্রকাশের কারণে, কিংবা প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিষয়ে মন্তব্যের দায়ে, কাউকে হেনস্তা করা হবে না। সত্য গোপন করতে মেইনস্ট্রিম ও সোশ্যাল মিডিয়া যেমন বাধ্য থাকবে না, তেমনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেটির প্রচারেও সরকার কাউকে চাপ দেবে না। তবে দেশ গঠনের দায়িত্ব সবার এবং আমরা মিডিয়ার কাছ থেকে নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছেন: হাফিজ উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছেন: হাফিজ উদ্দিন
রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে কথা বলছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম

বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার পরিবার দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। হাসিনা ছিল আমাদের কষ্টের মূল কারণ। তিনি ভারতে পলায়ন করেছেন।

সেখানে বসে বাংলাদেশকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়, সে পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা অবৈধ অর্থ ও সাহায্যকারী কিছু দেশের অর্থ নিয়ে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকায় ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।

আরো পড়ুন
ধর্ষণের শাস্তি কোন দেশে কেমন?

ধর্ষণের শাস্তি কোন দেশে কেমন?

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা সব সময় ভারতের তাবেদারী করেছেন। আমাদের কোনো বাক স্বধীনতা ছিল না। বিগত দিনে লুটপাট ও অর্থপাচার হয়েছে ব্যাপক হারে। দেখলাম, একজন ইউপি চেয়ারম্যান ১৫ হাজার কোটি টাকার মালিক।

এভাবে বাংলাদেশ লুটপাটের শিকার হয়েছে। আরেকজন সাবেক মন্ত্রীর লন্ডন শহরে ৩৬০টি বাড়ি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। তাদের গুম করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় অনেককে দিনের পর দিন পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।

এরপরও বিএনপি টিকে আছে।

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি হাজি রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম শান্ত প্রমুখ।

মন্তব্য

নির্বাচনে কোন বিভাগে কোন দল এগিয়ে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নির্বাচনে কোন বিভাগে কোন দল এগিয়ে?
সংগৃহীত ছবি

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণ-আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পার করেছে দেশ। দিন যতই যাচ্ছে দেশের জনগণের মনে একটাই প্রশ্ন জাগছে জাতীয় নির্বাচন কবে হবে? যদি নির্বাচন হয়ও কোন বিভাগে কোন রাজনৈতিক দল এগিয়ে রয়েছে।

এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। তবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের মার্চে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমানে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রধান দুই রাজনৈতিক দল হিসেবেই গণ্য।

সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নামে নতুন এক পার্টি রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছে।

আরো পড়ুন
৩ ভিন্ন দাবি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি

৩ ভিন্ন দাবি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি

 

সম্প্রতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, এই মুহূর্তে ঢাকা বিভাগে বিএনপি ৪৪.৭ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৫.৫ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১৮.৫ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৫.৪ শতাংশ এগিয়ে।

চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপি ৪৭.৮ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭.৩ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১১.১ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৭.৪ শতাংশ এগিয়ে।

সিলেট বিভাগে বিএনপি ৫১ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৬ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১৪.৯ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ২.৬ শতাংশ এগিয়ে।

খুলনা বিভাগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৪৬.৩ শতাংশ, বিএনপি ৩৮.৩ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ৯ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৩ শতাংশ এগিয়ে।

রাজশাহী বিভাগে বিএনপি ৪২.৭ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩৫.৫ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১২.৯ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৬.৬ শতাংশ এগিয়ে।

রংপুর বিভাগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৪৪.৯ শতাংশ, বিএনপি ২১.৭ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ৯.২ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৩.৮ এগিয়ে।

বরিশাল বিভাগে বিএনপি ৩৯.৭ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২২.৯ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ২৪.৬ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৬.২ শতাংশ এগিয়ে।

ময়মনসিংহ বিভাগে বিএনপি ৪৪.৬ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৮.৩ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১৮.৩ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৬.৪ শতাংশ এগিয়ে।

আরো পড়ুন
সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

 

উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে চালানো জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে সহযোগিতায় ছিল ব্রেন (BRAIN) এবং মুক্তচিন্তার প্ল্যাটফরম ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’।

চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলার ১০ হাজার ৬৯৬ জনের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়।

এতে আরো উঠে এসেছে, এলাকাভিত্তিক নমুনায় গ্রামীণ ৭১ শতাংশ এবং শহর ২৯ শতাংশ। লিঙ্গভিত্তিক নমুনা পুরুষ ৫৫ শতাংশ ও নারী ৪৫ শতাংশ।

নমুনায় বয়সভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব জেন-জি (১৮ থেকে ২১ বছর) ৩৬ শতাংশ, মিলেনিয়ালস (২৯ থেকে ৪৪ বছর) ৩৪ শতাংশ, জেন এক্স (৪৫ থেকে ৬০ বছর) ১৮ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ১২ শতাংশ।

জরিপের ফল আরো বলছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২.৬ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ১ শতাংশ, গণ অধিকার পরিষদ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, গণসংগতি আন্দোলন শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং অন্যান্য দল ৩.৩ শতাংশ ভোট পাবে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াৎ সরওয়ার জরিপের বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন।

মন্তব্য

ইসলাম ধর্ষকের মতো অপরাধীর প্রকাশ্যে বিচারের নির্দেশ দিয়েছে : মামুনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ইসলাম ধর্ষকের মতো অপরাধীর প্রকাশ্যে বিচারের নির্দেশ দিয়েছে : মামুনুল হক
ফাইল ছবি

মাগুরায় বোনের বাড়িতে গিয়ে আট বছর বয়সী শিশুর ধর্ষণের শিকারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।

তিনি বলেছেন, ‘ইসলাম এই ধরনের অপরাধীর প্রকাশ্যে বিচারের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা যদি ইসলামী নির্দেশনা মেনে বিচার করতে পারি তাহলে, আর কেউই এ ধরনৈর অপরাধে লিপ্ত হওয়ার দুঃসাহস দেখাবে না।’

আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে ‘দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন’ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘মাগুরার ওই শিশুর সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে অপরাধীদের যথাযথ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও ইসলামিক কালচারকে অবজ্ঞা করার প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শাহবাগের পরাজিত চেতনাধারীরা বিভিন্ন নামে-বেনামে ইসলামী মূল্যবোধে আঘাত দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

মুসলমানদের কাছে রমজান অত্যন্ত পবিত্র মাস। আমরা বিশেষভাবে এই মাসে সব ধরনের বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা বন্ধ রাখার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘তার পরও এক শ্রেণির ধর্মবিদ্বেষী ঈমানদার মুসলমানদের বিভিন্ন উপায়ে উসকানি দেয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সচেতনতার সঙ্গে এসব উসকানির জবাব দিতে হবে।

আমরা লক্ষ করছি, সরকার এসব উসকানিদার বিরুদ্ধে যথাসময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ উল্টোমুখী। প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনাদের পদক্ষেপে যেন ইসলামবিরোধীরা আস্কারা না পায়।’

একই অনুষ্ঠানে মামুনুল হক আরো বলেন, ‘সম্প্রতি নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রূপান্তরকামী এক ব্যক্তিকে অদম্য নারী পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কাজ, নারীত্বের প্রকৃত মর্যাদা ও স্বাভাবিক পরিচয়কে বিকৃত করার অপপ্রয়াস।

একই সঙ্গে নারীসমাজের প্রতি চরম অবমাননাকর। অবিলম্বে এই পুরস্কার বাতিল করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক, সমাজবিরোধী ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে।’

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল প্রমুখ।

মন্তব্য

বিএনপি বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না : প্রিন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিএনপি বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না : প্রিন্স
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা চাপিয়ে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সংযোজন করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি শহীদ জিয়ার সেই নীতি ধারণ করে চলেছে। বিএনপি ধর্মবান্ধব রাজনৈতিক দল, কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না।

বিএনপি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে জনসাধারণকে আদর্শ জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করে, বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না।’

আজ রবিবার বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার আলেম, ওলামা, ইসলামী চিন্তাবিদ, মসজিদের ইমাম ও এতিমদের সম্মানে তার প্রদত্ত ইফতার মাহফিলে বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি বিশ্বাস করে, মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির বিকাশ ঘটলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে শান্তি, ন্যায্যতা, মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আনিসুর রহমান মনিকের সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মফিজ উদ্দিন, দক্ষিণ মাইজপাড়া ফতেমতুজ্জোরা মাদরাসার মুহাদ্দিস শহিদুল্লাহ, ধোবাউড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম নজিম উদ্দিন, ধোবাউড়া মোহাম্মদীইয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আবদুল মান্নান, ধোবাউড়া বাইতুল হামদ একাডেমির সিনিয়র শিক্ষক আবুল হাশিম, ওলামা দল নেতা ওবায়দুল হক, হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ