আ. লীগের লিফলেট বিতরণ করা বিসিএস ক্যাডার মুকিম আসলে কে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগের লিফলেট বিতরণ করা বিসিএস ক্যাডার মুকিম আসলে কে?
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেছেন লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া।

গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করেন তিনি।

জানা যায়, মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা ১০ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে ছিলেন মুকিব। তার সহকর্মীরা জানান, তিনি আগেও নিয়মিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।

আরো পড়ুন
দোয়া চাইলেন সারজিসের শ্বশুর, জানালেন কবে অনুষ্ঠান

দোয়া চাইলেন সারজিসের শ্বশুর, জানালেন কবে অনুষ্ঠান

 

লিফলেট বিতরণে চাকরিবিধি লঙ্ঘন হয়নি দাবি করে মুকিব মিয়া বলেন, ‘ড. ইউনূস সংবিধান লঙ্ঘন করছেন, এর প্রতিবাদ করছি। আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ করছে।

তাই আওয়ামী লীগের লিফলেট আমার নেতৃত্বে বিতরণ করেছি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে, এ দলের লিফলেট বিতরণ করা আমার অধিকার।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মুকিব মিয়া নিজের ফেসবুকে লিফলেট বিতরণের ছবি পোস্ট করেন। ফেসবুক প্রফাইল ঘুরে দেখা গেছে, তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানেও শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেছিলেন।

গত ২৭ মার্চ প্রফাইল ছবি হিসেবে আপলোড করা শেখ হাসিনার ছবিতে লেখা বিজয় আসবেই। 

চাকরিবিধি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ না থাকলেও ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া সমালোচক মুকিব মিয়া।

সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা সরকারি চাকরি করলেও আইনের তোয়াক্কা না করে নিয়মিত সরকারবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে থাকেন। ৫ আগস্টের পর ‘লোভে পাপ, পাপে ইউনূস, ইউনূস বাহিনীর নির্যাতন নাৎসি হিটলারকেও হার মানায়, ইউনূসের নাৎসি বাহিনীর ছোবল থেকে রেহাই পেল না শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধে ঠেলে দিতে মব সংস্কৃতি চালু করেছে অবৈধ ইউনূস সরকারের উপদেষ্টারা। জাতিকে প্রস্তুত হবে।

অরাজকতা রুখতে হবে, বিয়ে করতে, প্রেম করতেও ট্যাক্স দিতে হবে ইউনূসকে কারণ সে সুদি কারবারি, ইউনূস ঠেলা সামলা, জঙ্গি ইউনূসের দিন শেষ’ ইত্যাদি লেখা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি।

জানা যায়, এসব লেখাকে ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার ৩(খ) ধারা অনুযায়ী আচরণ লঙ্ঘন উল্লেখ করে গত ২০ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ মুকিব মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে। কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না, তা ১০ দিনের মধ্যে জানাতে নোটিশ দিয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি ব্যক্তিগত শুনানিতে ইচ্ছুক কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।’ এ ধারা লঙ্ঘনের শাস্তি চাকরিচ্যুতি।

আওয়ামী লীগের পতনের পরও দলটির কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন মুকিব। এ কর্মকর্তাকে গত ৬ অক্টোবর নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে বদলি করা হয়। সেখানে তিনি কাজে যোগ দিয়ে এক দিন চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. হারুন মিয়া। পরে গত ২১ অক্টোবর তাকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বদলি করা হয়।

জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মুকিব মিয়া গত সাড়ে তিন মাসে একবারও আসেননি। তিনি অনলাইনে যোগদানের আবেদন করেছিলেন। তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তিনি যোগদানের হার্ডকপি জমা দেননি। সম্প্রতি তিনি ৩ মাসের অসুস্থতাজনিত ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু সঙ্গে চিকিৎসকের সুপারিশ, ব্যবস্থাপত্র, অসুস্থতার প্রমাণপত্র কিছুই দেননি। এরপর আর যোগাযোগ নেই।’

মন্তব্য

একটি বিশেষ দল সম্পর্কে সাংবাদিকরা লিখছেন না : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
একটি বিশেষ দল সম্পর্কে সাংবাদিকরা লিখছেন না : মির্জা আব্বাস
ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের কাজ কোথায় কী হচ্ছে, কী হতে পারে সেটা খুঁজে বের করা বলে মনে করি। আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো কে কোথায় অবস্থান করছে, দেশের রাজনীতিতে কোন দলের কী অবস্থান, সেটা সাংবাদিকদের বের করতে হবে। একটি বিশেষ দল সম্পর্কে কোনো সাংবাদিক বা সংবাদপত্র লিখছে না। যা লেখার বিএনপির বিরুদ্ধে, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে লেখা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত লেকশোর হোটেলে দেশের গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তবে কোন দলকে উদ্দেশ করে তিনি এ কথা বলেন তা স্পষ্ট করেননি। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ওই বিশেষ দলের মাধ্যমে অনেক কিছু ঘটছে, কিন্তু আপনারা (সাংবাদিকরা) কিছু লিখছেন না।

কোনো ব্যবসায়ী কাকে কত টাকা দিচ্ছেন, সেটাও আপনারা লিখছেন না। আপনারা কেন এসব তুলে ধরছেন না? জুলাই আন্দোলনে ৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
কোনো দেশ, কোনো জাতি, সাংবাদিকবিহীন আছে বলে আমি মনে করি না। আর যদি না থাকে, সেটা অবশ্যই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের দোসররা অবৈধভাবে টাকা কামিয়েছে। আগামীতে এই টাকা খরচ করবে বাংলাদেশ ধ্বংস করার কাজে। এখনো অনেক ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার চেষ্টা করছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা যেন নতুন বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে নতুন করে কোনো ভুল না করি। ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান সেটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঠিক রেখেই আমাদের চলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতার বিকাশে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, এখনো কেনো বাতিল করা হয়নি। সাবেক একজন তথ্যমন্ত্রী হিসেবেও আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, এ আইন কার স্বার্থে এখনো বলবৎ রয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘দলের কঠিন দুঃসময়ে সাংবাদিকরা ছিলেন আমাদের অন্যতম ভরসা। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য জাতি জানতে পেরেছে। আগামীতেও সব সময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা বিএনপি পাবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।’

মাহফিলে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব ও দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মিডিয়ার সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল, সদস্য শাম্মী আক্তার, জাহিদুল ইসলাম রনিসহ দেশে মূলধারা পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও টেলিভিশনের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সমালোচনা করতে গিয়ে জনদাবি থেকে সরা যাবে না : তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সমালোচনা করতে গিয়ে জনদাবি থেকে সরা যাবে না : তারেক রহমান
সংগৃহীত ছবি

সমালোচনা করতে গিয়ে জনগণের দাবি থেকে সরা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘এমনটা ঘটলে দেশের সব সম্ভাবনা বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। এখানে যেসব দল এসছে, সব দলের আদর্শ এক হবে না। তবে মূল বিষয়টি এক জায়গায়।

সেটা হলো গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশে। যেখানে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে।’

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।

বিএনপি দায়িত্ব পেলে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করবে। এ সময় নির্বাচন ও সংস্কারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, বাজারব্যবস্থা এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ডিবেট হওয়া উচিত।
নিত্যপণ্যের দাম নাগালে আনতে রাজনৈতিক দলগুলো কেন বির্তক করছে না। ক্ষমতায় এলে মানুষের সমস্যা কিভাবে সমাধান করা হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করতে হবে।

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগের ৪৫ হাজার নেতাকর্মী পালিয়ে এখন ভারতে

আওয়ামী লীগের ৪৫ হাজার নেতাকর্মী পালিয়ে এখন ভারতে

 

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেটা আলোচিত- সেটা হলো সংস্কার। আমরা এখানে যারা আছি, বিগত ১৫ বছর ধরে আন্দালন-সংগ্রাম করেছি আমাদের হারিয়ে যাওয়া ও ডাকাতি করে নেওয়া সেই অধিকারের জন্য। এখন বিভিন্ন আলোচনা চলছে। আমরা যেসব রাজনৈতিক দল এখানে আছি- দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি- একটি পরিবর্তনের জন্য, ভালো একটি পরিবর্তনের জন্য, মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘সংস্কার আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন, এই মুহূর্তে যে সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, অবশ্যই সেটির দরকার আছে।

বাংলাদেশের যে পার্লামেন্ট ব্যবস্থা আছে, এটা দ্বিকক্ষ হলে কী কী ভালো হতে পারে। এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এর পক্ষে-বিপক্ষে মতামত হতে পারে। একজন দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না; তাহলে স্বৈরাচারের যে প্রবৃত্তি সেটা দূর করা সম্ভব হবে। এই প্রস্তাবগুলো বিএনপির দিক থেকে আগে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে আলোচনায় এসেছে।’ 

তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি কাকে ঘিরে? এই দেশের জনগণকে ঘিরে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে সেভাবেই সংস্কার প্রস্তাবনা দিতে হবে। আমরা সেভাবেই দিচ্ছি। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক দলগুলো আরো কিছু প্রস্তাব উপস্থাপনা করছি না। আমি তো মনে করি, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, এ ক্ষেত্রগুলো আরো গুরুত্বপূর্ণ।’

মন্তব্য

নির্বাচন পেছাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
নির্বাচন পেছাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে : আমীর খসরু
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘জনগণের মালিকানা এবং গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। এতে জনগণের কোনো সমর্থন নাই। যারা জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না তারাই বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি করছে।’

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বার্ষিক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
উপদেষ্টা মাহফুজের মন্তব্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : ঢাবি শিবির

উপদেষ্টা মাহফুজের মন্তব্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : ঢাবি শিবির

 

আমীর খসরু বলেন, ‘একটি মুক্ত বাংলাদেশে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করে আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে চলছি। এই সময় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিায় মিডিয়ার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তারা মিডিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্নভাবে মিডিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

সাংবাদিকদের সাবধান থাকতে হবে। আপনাদের জনগণের অধিকার, জনগণের সরকার ফিরে পাওয়ার যে সংগ্রাম সে সংগ্রামে মিডিয়ার শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।’  

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার মূল স্তম্ভ হচ্ছে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র পথ, দ্বিতীয় কোনো পথ নেই।

আর তার বাহক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। তার বাহক হচ্ছে নির্বাচন। তার অপেক্ষায় বাংলাদেশের মানুষ আছেন এই মুহূর্তে।’

আরো পড়ুন
সাংবাদিকরা কারো কাছে মাথা নত করবে না : কাদের গনি চৌধুরী

সাংবাদিকরা কারো কাছে মাথা নত করবে না : কাদের গনি চৌধুরী

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে, একটি অগণতান্ত্রিক পরিবেশে। যেখানে জনগণের প্রতিনিধি দেশ পরিচালনা করছে না।

যেখানে জনগণের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখের কথা শোনার সেই দায়িত্বপূর্ণ, জনগণের কাছে জবাবদিহি, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ এ রকম একটি সরকারের অপেক্ষায় সবাই আছে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘বিগত তিনটি নির্বাচনে যারা ভোট প্রয়োগ করতে পারে নাই, তারা ভোট প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অপেক্ষায়, নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়, জবাবদিহি এবং দায়বদ্ধ সরকারের প্রতিক্ষায় জনগণ আছে।’  

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও প্রেস ক্লাব অন্তর্বতী কমিটির আহ্বায়ক ফরিদা খানম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সহসভাপতি খায়রুল বাশার, দপ্তর সম্পাদক মো. আবু বকর, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই শিকদার, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান প্রমুখ।

মন্তব্য

উপদেষ্টা মাহফুজের মন্তব্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : ঢাবি শিবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
উপদেষ্টা মাহফুজের মন্তব্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : ঢাবি শিবির

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে ‘উগ্রবাদী মবস্টারদের' উত্থানের জন্য দায়ী করেন। তার এই মন্তব্যকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। 

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ ও সেক্রেটারি মহিউদ্দীন খান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘মাহফুজ আলমের মতো একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

আমরা এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে দায় চাপানো ও বিভাজনের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির পুনরুত্থান চায় না ছাত্রসমাজ। রাষ্ট্র সংস্কারের এই মোক্ষম সময়ে সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে একটা নির্দিষ্ট ছাত্রসংগঠনকে টার্গেট করে এমন উদ্ভট, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিভাজনকে বৃদ্ধি করবে।’

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘মাহফুজ আলমের এ ধরনের বক্তব্য ছাত্রসংগঠনগুলোর সাথে সরকারের পারস্পরিক সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ কমাবে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে, যা একই সাথে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।

একই সাথে এই মন্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার সময় তার নেওয়া শপথের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘মাহফুজ আলম যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তার অদূরদর্শী রাজনৈতিক বোঝাপড়া ও ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। আমরা আশা করব, মাহফুজ আলম তার এই ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। আমরা চাই, হাসিনা-পরবর্তী ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে রাগ, ক্ষোভ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি আর ফিরে না আসুক।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে মাহফুজ আলমের কাছ থেকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ