আমাদের কথা পরিষ্কার, এখানে কোনো জাতীয় ঐক্য হবে না : সালাহউদ্দিন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমাদের কথা পরিষ্কার, এখানে কোনো জাতীয় ঐক্য হবে না : সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। তিনি মনে করেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে সহায়তা করবে।

তার এই বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, এখানে (একসঙ্গে গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন) কোনো জাতীয় ঐক্য, এ বিষয়ে হয়তো হবে না, একটি মেজর পলিটিক্যাল পার্টির সদস্য হিসেবে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হবে সবচেয়ে জরুরি এবং আমাদের অগ্রাধিকার।’

শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল দেখলাম, আমাদের রাজনীতিতে আসা নতুন বন্ধুরা একটা নতুন প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু রাজনীতির একটা অভিধান আছে, যেটাকে আমরা পলিটিক্যাল গ্রামার বা ডিকশনারি বলি।

সেখানে ওই রকম কোনো শব্দাবলি নেই। যেমন- একই সঙ্গে গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে, যদি জাতীয় ঐকমত্য হয়। এ রকম একটা কথা রয়টার্সকে বলা হয়েছে।’

‘গণপরিষদ হচ্ছে শুধু রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি ফোরাম।

সেই ক্ষেত্রে যেকোনো জাতীয় সংসদের এখতিয়ারই হচ্ছে “এ টু জেড” সংবিধান সংশোধন করার এখতিয়ার। সেখানে আমরা শুনলাম, সংবিধানের ব্যাপক সংশোধনী। এখানে সেটাকে আমরা নতুন সংবিধান বলতে পারি। এটাকে যদি আপনাদের মন চায়, নতুন সংবিধান বলতে পারেন, আমাদের কোনো অসুবিধা নাই। আমরা মনে করি, বিভিন্ন রকমের শব্দাবলি এবং যেগুলো রাজনৈতিক অভিধানে নাই, সেগুলোর অসংলগ্ন অপ্রয়োজনীয় আচরণ যেন না করি।

ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল কাইয়ুম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জেএসডির মহাসচিব শহীদউদ্দিন মাহমুদ, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মর্তুজা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির আবু জাফর কাশেমী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি আবদুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খেলাফত মজলিমের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান। ইফতারের আগে মোনাজাত পরিচালনা করেন দলের আমির আবদুল বাছিত আজাদ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভিডিও

পারভেজ হত্যার বিচার চায় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পারভেজ হত্যার বিচার চায় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল
ফাইল ছবি

পারভেজ হত্যার বিচার চায় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল। 

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য
ভিডিও

আমরা গুপ্ত সংগঠনের নাম ব্যবহার করে লুকিয়ে থাকিনি : রুয়েল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমরা গুপ্ত সংগঠনের নাম ব্যবহার করে লুকিয়ে থাকিনি : রুয়েল

ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েল কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা কিন্তু গুপ্ত সংগঠনের নাম ব্যবহার করে লুকিয়ে থাকিনি। আমরা যারা ছাত্রদল করেছি, যারাই যুবদল করেছি, যারাই স্বেচ্ছাসেবক দল করেছি, আমরা একদম প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছি।’

বিস্তারিত ভিডিওতে...

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
ভিডিও

পুরুষ মানুষ প্রতারণা করে না, প্রতারিত হয় : হান্নান মাসউদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুরুষ মানুষ প্রতারণা করে না, প্রতারিত হয় : হান্নান মাসউদ
ছবি : কালের কণ্ঠ

কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন। 

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি রিলেশন করে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা নেই। পরিবার যেভাবে চাইবে, সেভাবে হবে। আগে পছন্দের মানুষ ছিল।

তবে এখন আর নেই।’

তিনি বলেন, ‘চার বছর আগে পছন্দের মানুষ ছিল। তবে সে থাকলে সবচেয়ে বেশি ভালো হতো। কারণ একজন মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বোঝাপড়া।

সেই বোঝাপড়ার পরে বিচ্ছেদ কষ্টের। তার ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। আসলে পুরুষ মানুষ কখনো প্রতারণা করে না, প্রায় সময় প্রতারিত হয়।’

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

ঘুম থেকে উঠে হাসিনার মুখ না দেখাতেই বড় শান্তি : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঘুম থেকে উঠে হাসিনার মুখ না দেখাতেই বড় শান্তি : ব্যারিস্টার ফুয়াদ
ছবি : কালের কণ্ঠ

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘ঘুম থেকে উঠে শেখ হাসিনাকে দেখতে না পারাটাই সবচেয়ে বড় শান্তি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০ মাস পার হলেও ফ্যাসিবাদের বিচার না হওয়া একটি প্রপাগান্ডার হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। বিষয়টি নিয়ে এখনই আলাপ শুরু করা প্রয়োজন।’

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জাস্টিস ফর জুলাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের অন্তরে ইনসাফের বীজ নিহিত। একজন সাধারণ মানুষের মাঝেও ন্যায়ের বোধ কাজ করে। যখন ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হয়, তখন চিন্তার সুনামি, লড়াইয়ের সুনামি সৃষ্টি হয়। এ কারণেই ২০২৪ সালের আন্দোলন হয়েছে।

আরো পড়ুন
সোনার দামে নতুন রেকর্ড

সোনার দামে নতুন রেকর্ড

 

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী থেকে শুরু করে ১৯৭১-পরবর্তী সময়েও দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং ইনসাফ হাইজ্যাক হয়েছে। শেখ মুজিব দেশকে জমিদারিতে পরিণত করে নাগরিকদের প্রজায় রূপান্তরিত করেছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করে বারবার লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি ভেঙে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু ২০২৪ সালের আন্দোলনের বিচার নয়, অতীতের দশকের পর দশকের চলমান মামলাগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক-শ্রমিক, দিনমজুরের জমির মামলারও বিচার চাইতে হবে। তবেই প্রকৃত ইনসাফ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। বিচার কাঠামো গড়ে তুলতে হবে এবং চাপিয়ে দেওয়া হেজেমনি ভাঙতে হবে।’

ফুয়াদ বলেন, ‘দাঁড়িপাল্লা ইনসাফের প্রতীক, ভারসাম্যের প্রতীক।

রাষ্ট্র যখন গুনাহ বা পাপ করে, তখন রক্ত দিয়ে লড়াই করে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। ইনসাফ যদি নিজের বিরুদ্ধেও যায়, তবু ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো।’

আরো পড়ুন
রাতেই ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

রাতেই ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

 

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইচ উদ্দিন বলেন, ‘গ্রাম থেকে শহর প্রতিটি স্তরে বিচারহীনতার সংস্কৃতি কায়েম করেছিল। দুজন বিচারক যখন আল্লাহর ভয়ে সত্য কথা বলেছেন। রাতের আঁধারে বের হয়ে যেতে হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সাথে শেষে যখন সম্পর্কের টানাপড়েন হয়। তাকেও চলে যেতে হয়েছে। গ্রামের একজন মানুষকেও শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাইতে হতো। এ থেকে বোঝা যায় একজনের কাছে বিচারব্যবস্থা কুক্ষিগত ছিল। অভ্যুত্থানের ১০ মাস। আজ পর্যন্তও একজনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারেনি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘একসময় আমাদের অর্থনীতি ছিল বিশ্বের সেরা। পৃথিবীর মোট জিডিপির ১২.৫% ছিল আমাদের। সঠিক বিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না। ব্রিটিশরা আমাদের অর্থনীতি ভেঙে যে উপনিবেশিক কাঠামো রেখে গেছে, তা থেকে আমরা আজও মুক্ত হতে পারিনি।’

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাস্টিস ফর জুলাইয়েন সদস্যসচিব মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক মো. সজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ