অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘গত ১৬ বছর মানুষ ভোটের অধিকার পায়নি। নানাভাবে নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা স্বৈরাচারী ছিল তারা তো পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
আপনারা অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা করেন। তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র এ দেশে বাস্তবায়িত হবে না। জনগণই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।’
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
আরো পড়ুন
১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়, আরো তদন্ত হবে : ঢাবি
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা। আমরা জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে বুঝি।
আর টালবাহানা নয়, অতি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তাহলে আপনারা সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ১৬ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ যে আন্দোলন করছিল, তার চূড়ান্ত ফসল ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগের পতন। ঐ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্র-জনতা দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
এটা গত ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল।
তিনি খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে স্মরণ করে বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন একজন ত্যাগী, জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। তিনি চারবারের চিফ হুইপ ছিলেন। ২০০১ সালে আমরা অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলাম, দেলোয়ার হোসেন সাহেব একজন মন্ত্রী হবেন। কিন্তু তাকে মন্ত্রী করা হয়নি। এতে তিনি সামান্যতম মন খারাপ করেননি। আমরা অনেক ক্লোজলি কাজ করেছি। আমরা কিন্তু বিষয়টা নিয়ে ওনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তখন উনি উল্টো আমাদেরকে বুঝিয়েছেন, রাজনীতি করি দলের আদর্শের জন্য। রাজনীতি করি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য। রাজনীতি কোনো পদ পদবির জন্য করি না। এই শিক্ষা উনি আমাদের দিয়ে গেছেন।’
আরো পড়ুন
জরুরি সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি ডা. তাহেরের
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ও ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বাবলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অন্যান্য সন্তান ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।