<article> <p style="text-align: justify;">ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম কমে ৩৪ বছরে সর্বনিম্ন হয়েছে। ব্যাংক অব জাপানের (বিওজে) পক্ষ থেকে সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহ পরই স্থানীয় মুদ্রার এই দরপতন। মূলত ১৭ বছরের মধ্যে প্রথম সুদহার বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে জাপান ঋণাত্মক সুদ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বুধবার স্থানীয় মুদ্রার দর কমে প্রতি ডলারে হয় ১৫১.৯৭ ইয়েন, যা ১৯৯০ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন দর।</p> </article> <p style="text-align: justify;">যদিও দিনশেষে মূল্য সামান্য বেড়ে হয় ১৫১.৩৫ ইয়েন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সুদহারের ব্যাপারে আমরা সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। এমন বক্তব্যের পরই এই দরপতন ঘটে। </p> <p style="text-align: justify;">দরপতনের পরই দেশটির অর্থমন্ত্রী সুনিচি সুজুকি বলেছেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার পিছপা হবে না। সরকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’</p> <p style="text-align: justify;">এ ঘোষণার পরই জল্পনা তৈরি হয়, মুদ্রার মান ধরে রাখতে সরকার হস্তক্ষেপ করবে। গত দুই বছর যাবৎই ডলারের বিপরীতে ইয়েনের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। দুই বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার আগে প্রতি ডলার ছিল ১১৫ ইয়েন।</p> <article> <p style="text-align: justify;"> বিশ্বজুড়ে ফেডারেল রিজার্ভসহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়িয়ে চললেও ব্যাংক অব জাপান তাদের ঋণাত্মক সুদহারেই আটকে ছিল। এতে স্থানীয় মুদ্রার ব্যাপক দরপতন হলে গত সপ্তাহে সুদহার বাড়ানো হয়। বিওজে নীতি সুদহার -০.১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শূন্য এবং ০.১ শতাংশ করেছে।</p> <p style="text-align: justify;">এই সিদ্ধান্তের পর গভর্নর কাজু উয়েদা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি সুদহারকে টার্গেট করে আমরা অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো সাধারণ মুদ্রানীতিতে ফিরে এসেছি।’ স্থানীয় মুদ্রা দরপতনের বিষয়টি রপ্তানিকারকদের জন্য সুসংবাদ হলেও এটি আমদানিকারক বা ভোক্তাদের জন্য মোটেই ভালো খবর নয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সূত্র : <strong>এএফপি</strong></p> </article>