উচ্চ শুল্কের কারণেই ফলের দাম ঊর্ধ্বমুখী : সাক্ষাৎকার

  • দেশে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দামই আকাশছোঁয়া। এ জন্য আমদানি করা ফলের উচ্চ শুল্কহারকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, শুল্কহার কমিয়ে দিলেই ফলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. জাহিদুল ইসলাম
শেয়ার
উচ্চ শুল্কের কারণেই ফলের দাম ঊর্ধ্বমুখী : সাক্ষাৎকার
সংগৃহীত ছবি

ফলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ কী?

পূজার কারণে টানা চার দিন বন্দর বন্ধ ছিল। এ জন্য বাজার একটু গরম হয়েছে। আবার আমদানি বাড়লে দাম কমে যাবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর দাম বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ শুল্কহার।

ফল আমদানিতে শুল্কহার অনেক বেশি। ফলকে বিলাস পণ্য হিসেবে ধরা হয়েছে। এক টন খেজুর আমদানি করছি এক হাজার ডলারে। সঙ্গে শুল্ক আরো আড়াই হাজার ডলার।

উচ্চ শুল্কের কারণেই ফলের দাম ঊর্ধ্বমুখী
সিরাজুল ইসলাম

প্রতি কেজি খেজুরে শুল্ক দিতে হয় ২০০ টাকারও বেশি। আগে শুল্ক ছিল ১০ টাকা। যা অবস্থা মনে হয় রমজানে খেজুর আনতে পারব না।

মূল্যবৃদ্ধির ফলের চাহিদা কি কমেছে?

অবশ্যই।

দাম বাড়ার কারণে চাহিদা ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলের আমদানি কমে গেছে। বাদামতলীতে গিয়ে দেখবেন ফাঁকা। ক্রেতাও কম, গাড়িও কম। আগে বাদামতলী থেকে সদরঘাট পর্যন্ত গাড়ির লাইন থাকত।
তখন প্রচুর আমদানি হতো। এক কনটেইনার আঙুর আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় ২০ লাখ টাকারও বেশি।

শুল্কায়ন মূল্যের সঙ্গে খুচরা বাজারে ফলের দামে যথেষ্ট ব্যবধান, এর কারণ কী?

আপেল-কমলার দাম অনেক সময় বাড়ে, অনেক সময় কমে। আপনার দেখতে হবে পাইকারি বাজারে আমি কত বিক্রি করলাম। ফলকে বিলাস পণ্য বানিয়ে এর শুল্কহার অনেক বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ডলারের বাড়তি দাম ও এলসি জটিলতায় আমদানি নেমেছে ৪০ শতাংশে। শুল্কায়ন খরচের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ খরচ, গাড়িভাড়া, ওয়েটলস (ওজন হারানো), এলসি ও এলসির ইনস্যুরেন্স খরচ, ব্যাংকের সুদ যোগ করলে আমারই খরচ পড়ে ২০০ টাকা।

এরপর বন্দর থেকে বাদামতলীতে মাল এনে বিক্রি করে পাইকার। সেখানে গাড়িভাড়া যায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পাইকার কিছু লাভ করে খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে। খুচরা বাজার নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বললে আমি পারব না।

ফলের দাম কিভাবে সাধারণের নাগালের মধ্যে আনা যায়?

ফলের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে গেলে শুল্ক কমাতে হবে। ফলকে যদি বিলাস পণ্য হিসেবে না দেখে খাদ্যপণ্য হিসেবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা জরুরি পণ্য হিসেবে দেখা হয় তাহলে দাম কমে যাবে। তবে মূল বিষয় হচ্ছে, উচ্চ আমদানি শুল্ক। এই উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে আমরা ফল আমদানি করতে পারছি না। মানুষও কিনতে পারছে না।

চোরাচালানের মাধ্যমে ফল আসার কথা শোনা যায়, এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?

চোরাচালানের মাধ্যমে যে ফল আসে সে বিষয়ে আমরা এনবিআরের সঙ্গে কথা বলেছি। চোরাচালানের মাধ্যমে কী কারণে ফল আসবে? উচ্চ শুল্ক থাকার কারণে এখন অনেক ক্ষেত্রে চোরাচালানের মাধ্যমে ফল আসছে। শুল্ক না থাকলে সেই জিনিস কখনো চোরাচালান হবে না। এই ফল আগে কখনো চোরাচালানের মাধ্যমে আসত না। এখন উচ্চ শুল্কের কারণে অনেকে এমনটা করছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে (ভিডিওসহ)
সংগৃহীত ছবি

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৯ মাস (জুলাই-মার্চ) শেষে রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। যেখানে অর্থবছরের আট মাসে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার বেশি পিছিয়ে ছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থাৎ আলোচ্য ৯ মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা।

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য

টিসিবির সম্মাননা পেল রূপালী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
টিসিবির সম্মাননা পেল রূপালী ব্যাংক
সংগৃহীত ছবি

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্যক্রমে অন্যতম সহায়তাকারী হিসেবে সেবা প্রদানের স্বীকৃতি হিসেবে রূপালী ব্যাংক পিএলসিকে সম্মাননা স্মারক দিয়েছে টিসিবি। সম্প্রতি আর্মি গলফ ক্লাবের গলফ গার্ডেনে টিসিবি কর্তৃক আয়োজিত ‘ট্রেড উইথ টিসিবি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন, রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. মঈনউদ্দিন মাসুদ ও টিসিবি ভবন কর্পোরেট শাখা প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেনের হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। 

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগের ৪০ বছর পরও ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই : টুকু

আওয়ামী লীগের ৪০ বছর পরও ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই : টুকু

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী ও টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ।

এসময় টিসিবির কার্যক্রমে সন্তোষজনক সেবা প্রদানের জন্য প্রধান অতিথি ও টিসিবির পক্ষ হতে রূপালী ব্যাংকের প্রতি ধন্যবাদ জানানো হয়। 

টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের ৬৪ জেলায় টিসিবির মোট ৮ হাজার ৫০০ ডিলার আছে। টিসিবি বছরে ৬ হাজার টন পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে সিন্ডিকেট রোধ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। সংস্থাটি প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা; প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সুবিধাবঞ্চিত কোটি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে টিসিবির কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সামগ্রিক প্রচেষ্টার কারণে গত রমজানে বাজার ব্যবস্থা ভালো ছিল। একটি দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থা যা অনেক দুর্বৃত্ত তৈরি করেছিল। সেখান থেকে বাজারের যে উত্তরণ, তার জন্য অনেক দপ্তর কাজ করেছে।

ফলে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা ও আস্থা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার কর্মকালে টিসিবিকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে চাই।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এসকিউ ব্রোকারেজের বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এসকিউ ব্রোকারেজের বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি
সংগৃহীত ছবি

পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি নিয়েছে এসকিউ ব্রোকারেজ হাউজ লিমিটেড। বিএসইসির কাছ থেকে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক/টিআরইসি) নিয়েছে এসকিউ ব্রোকারেজ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যপদও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি (ট্রেক নম্বর-৩০৮)। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেনি।

বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, সনদ নেয়ার পর নির্ধারিত সময়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে না পারায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি নিয়েছে এসকিউ ব্রোকারেজ হাউজ লিমিটেড। বিএসইসির কাছ থেকে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক/টিআরইসি) নিয়েছে এসকিউ ব্রোকারেজ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যপদও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি (ট্রেক নম্বর-৩০৮)। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে না পারায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি’র একটি সূত্র।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সিকিউরিটিজ হাউস হিসেবে ব্যবসা শুরু জন্য ট্রেক সার্টিফিকেট ইস্যুর ছয় মাসের মধ্যে স্টক-ডিলার ও স্টক-ব্রোকার হিসাবে কার্যক্রম শুরু করা বাধ্যতামূলক।

কিন্তু এসকিউ ব্রোকারেজ নির্ধারিত সময়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেনি। সে কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ২০২০ সালের এ-সংক্রান্ত বিধিমালা মেনে বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর অংশ হিসেবেই ১৯৫৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ মেনে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।

বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে সিকিউরিটিজ হাউসগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে বিএসইসি। কোথাও কোনো অসংগতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি।

নিয়ম-আইন ভাঙলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই এসকিউ ব্রোকারেজের বিষয়টি সামনে এসেছে।

আরো পড়ুন
দেশে কেন নতুন নতুন রাজনৈতিক দল হচ্ছে?

দেশে কেন নতুন নতুন রাজনৈতিক দল হচ্ছে?

 

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি। এর আগের কমিশন তালিকাভুক্ত কম্পানি ও সিকিউরিটিজ হাউসের অনিয়মের বিষয়ে দৃশ্যত নীরব ছিল। অনিয়মের প্রমাণ পেলেও রহস্যজনক কারণে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক পালাবদলের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে শুরুতেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এতে শাস্তির মুখে পড়ছে বিভিন্ন সময়ে পার পেয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশে ব্যবসার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে : আন্তর্জাতিক ব্যবসা উন্নয়ন পরিচালক (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশে ব্যবসার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে : আন্তর্জাতিক ব্যবসা উন্নয়ন পরিচালক (ভিডিওসহ)

বাংলাদেশে ব্যবসার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক ব্যবসা উন্নয়ন পরিচালক লুইস ডি ফার্নান্দো ডিয়াজ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসিফোরজে প্রকল্পের আয়োজনে রপ্তানি সম্ভাবনা নিয়ে ঢাকায় ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ