বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমেছে ৭ শতাংশের নিচে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমেছে ৭ শতাংশের নিচে

চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে কমতে ৬ শতাংশে নেমেছে। যা গত মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে ছিল ৭ শতাংশের ঘরে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। 

এতে দেখা গেছে, গত ২১ বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন।

২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ এ খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮২ শতাংশের নিচে নেমেছিল। 

এতে আরো দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি শেষে (ফেব্রুয়ারি’২৪-ফেব্রুয়ারি’২৫) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। যেখানে অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগের মাসেও (জানুয়ারি) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।

আরো পড়ুন
সাহু সিজদার আদায় পদ্ধতি কী?

সাহু সিজদার আদায় পদ্ধতি কী?

 

এদিকে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ দেখিয়েছেন ব্যাংক নির্বাহীরা। তারা বলছেন, নতুন বিনিয়োগ তেমন নেই। সুদহার বৃদ্ধি, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এ ছাড়া ব্যাংক খাত থেকে ভুয়া কম্পানি তৈরি করে অর্থ লোপাটের প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়েছে।

এসব কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি এত কম দেখাচ্ছে।

আরো পড়ুন
সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার

সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে দেশের বেসরকারি খাতে ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি ছিল ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ স্থিতি ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা ছিল। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

টিসিবির সম্মাননা পেল রূপালী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
টিসিবির সম্মাননা পেল রূপালী ব্যাংক
সংগৃহীত ছবি

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্যক্রমে অন্যতম সহায়তাকারী হিসেবে সেবা প্রদানের স্বীকৃতি হিসেবে রূপালী ব্যাংক পিএলসিকে সম্মাননা স্মারক দিয়েছে টিসিবি। সম্প্রতি আর্মি গলফ ক্লাবের গলফ গার্ডেনে টিসিবি কর্তৃক আয়োজিত ‘ট্রেড উইথ টিসিবি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন, রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. মঈনউদ্দিন মাসুদ ও টিসিবি ভবন কর্পোরেট শাখা প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেনের হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। 

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগের ৪০ বছর পরও ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই : টুকু

আওয়ামী লীগের ৪০ বছর পরও ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই : টুকু

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী ও টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ।

এসময় টিসিবির কার্যক্রমে সন্তোষজনক সেবা প্রদানের জন্য প্রধান অতিথি ও টিসিবির পক্ষ হতে রূপালী ব্যাংকের প্রতি ধন্যবাদ জানানো হয়। 

টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের ৬৪ জেলায় টিসিবির মোট ৮ হাজার ৫০০ ডিলার আছে। টিসিবি বছরে ৬ হাজার টন পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে সিন্ডিকেট রোধ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। সংস্থাটি প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা; প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সুবিধাবঞ্চিত কোটি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে টিসিবির কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সামগ্রিক প্রচেষ্টার কারণে গত রমজানে বাজার ব্যবস্থা ভালো ছিল। একটি দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থা যা অনেক দুর্বৃত্ত তৈরি করেছিল। সেখান থেকে বাজারের যে উত্তরণ, তার জন্য অনেক দপ্তর কাজ করেছে।

ফলে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা ও আস্থা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার কর্মকালে টিসিবিকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে চাই।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এসকিউ ব্রোকারেজের বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এসকিউ ব্রোকারেজের বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি
সংগৃহীত ছবি

পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি নিয়েছে এসকিউ ব্রোকারেজ হাউজ লিমিটেড। বিএসইসির কাছ থেকে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক/টিআরইসি) নিয়েছে এসকিউ ব্রোকারেজ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যপদও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি (ট্রেক নম্বর-৩০৮)। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেনি।

বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, সনদ নেয়ার পর নির্ধারিত সময়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে না পারায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি নিয়েছে এসকিউ ব্রোকারেজ হাউজ লিমিটেড। বিএসইসির কাছ থেকে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক/টিআরইসি) নিয়েছে এসকিউ ব্রোকারেজ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যপদও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি (ট্রেক নম্বর-৩০৮)। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে না পারায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি’র একটি সূত্র।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সিকিউরিটিজ হাউস হিসেবে ব্যবসা শুরু জন্য ট্রেক সার্টিফিকেট ইস্যুর ছয় মাসের মধ্যে স্টক-ডিলার ও স্টক-ব্রোকার হিসাবে কার্যক্রম শুরু করা বাধ্যতামূলক।

কিন্তু এসকিউ ব্রোকারেজ নির্ধারিত সময়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেনি। সে কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ২০২০ সালের এ-সংক্রান্ত বিধিমালা মেনে বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর অংশ হিসেবেই ১৯৫৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ মেনে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।

বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে সিকিউরিটিজ হাউসগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে বিএসইসি। কোথাও কোনো অসংগতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি।

নিয়ম-আইন ভাঙলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই এসকিউ ব্রোকারেজের বিষয়টি সামনে এসেছে।

আরো পড়ুন
দেশে কেন নতুন নতুন রাজনৈতিক দল হচ্ছে?

দেশে কেন নতুন নতুন রাজনৈতিক দল হচ্ছে?

 

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি। এর আগের কমিশন তালিকাভুক্ত কম্পানি ও সিকিউরিটিজ হাউসের অনিয়মের বিষয়ে দৃশ্যত নীরব ছিল। অনিয়মের প্রমাণ পেলেও রহস্যজনক কারণে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক পালাবদলের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে শুরুতেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এতে শাস্তির মুখে পড়ছে বিভিন্ন সময়ে পার পেয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশে ব্যবসার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে : আন্তর্জাতিক ব্যবসা উন্নয়ন পরিচালক (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশে ব্যবসার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে : আন্তর্জাতিক ব্যবসা উন্নয়ন পরিচালক (ভিডিওসহ)

বাংলাদেশে ব্যবসার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক ব্যবসা উন্নয়ন পরিচালক লুইস ডি ফার্নান্দো ডিয়াজ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসিফোরজে প্রকল্পের আয়োজনে রপ্তানি সম্ভাবনা নিয়ে ঢাকায় ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

এনসিটির মালিকানা কাউকে দিয়ে দিচ্ছিনা : বন্দর চেয়ারম্যান (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এনসিটির মালিকানা কাউকে দিয়ে দিচ্ছিনা : বন্দর চেয়ারম্যান (ভিডিওসহ)
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনেছেন বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এনসিটির মালিকানা আমরা কাউকে দিয়ে দিচ্ছি না, মালিকানা আমাদেরই থাকছে, শুধুমাত্র টার্মিনালের অপারেটর নিয়োগ করছি।’

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৩৮ তম চট্টগ্রাম বন্দর দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ