<p>বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় গেলে কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনলাইনে জরুরি সাধারণ সভা করে পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সমিতির নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হয়।</p> <p>প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির পূর্বের সাধারণ সভার দাবি অটুট আছে। তবে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে পনের হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কল্যাণ বিবেচনা করে শিক্ষকতার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি আপাতত স্থগিত করে অত্র শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করবেন।</p> <p>এর আগে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে না যাওয়া এবং গুচ্ছে গেলে কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষক সমিতি। পরবর্তীতে গুচ্ছে অংশ নেওয়া নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন শিক্ষকরা। এ নিয়ে সমিতি দফায় দফায় মিটিংয়ে বসে। গত ২৩ মার্চ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ১৫ সদস্যের কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়া অন্যদের সাতজন গুচ্ছে না যাওয়ার পক্ষে এবং ছয়জন গুচ্ছের পক্ষে মত দেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গুচ্ছে না যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হলে আগ্রহী পক্ষের ছয়জন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রদান করেন।</p> <p>শেষ পর্যন্ত সরকারের ওপর মহলের অভিপ্রায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ফের গুচ্ছে অংশ নিলে বৃহস্পতিবার শেষ বারের মতো শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। সেখানে উপাচার্য শিক্ষকদের ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। এর প্রেক্ষিতে জরুরি সাধারণ সভা করে ভর্তি পরীক্ষার মাত্র একদিন আগে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল শিক্ষক সমিতি।</p> <p>শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, যেহেতু ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছে তাদের কথা চিন্তা করেই আমাদের গুচ্ছে অংশ নেওয়া। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় আমরা মেধাবী শিক্ষার্থী পাচ্ছি না, দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ঝুঁকছে। এছাড়াও কার্যক্রমের নানা জটিলতা নিয়ে মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। যে সমস্যাগুলো নিয়ে আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম এবার যারা দায়িত্বে আছেন তারা সেটি কমিয়ে আনবেন এটাই প্রত্যাশা।</p>