পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) গত বছরের মে মাসে গবেষণা উদ্ভাবন প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় ৬টি বিভাগের ১০টি প্রকল্প স্থান পায়। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা এখনো পাননি তারা। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহী করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গবেষণা আহ্বান ও মূল্যায়ন কমিটি’ এপ্রিল মাসে বিভাগগুলো থেকে ‘গবেষণা উদ্ভাবন প্রকল্প’ আহ্বান করেন। এরপর ‘গবেষণা আহ্বান ও মূল্যায়ন কমিটি’ ১২ মে নির্বাচিত ১০টি প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করেন। এই ১০টি প্রকল্পের সঙ্গে ১৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৮ জন শিক্ষক যুক্ত আছেন। প্রকল্পের জন্য ২০ হাজার করে মোট ২ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।
এ ১০টি প্রকল্প ৫ জুন ১৬তম বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসে প্রদর্শনীর কথা ছিল এবং ওই সময়েই শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই টাকা এখনো দেওয়া হয়নি।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে প্রকল্প প্রদর্শন হবে বলে নিজের টাকা দিয়ে প্রকল্পের কাজ করে রাখি। কিন্তু প্রকল্প প্রদর্শনী না হওয়াতে ওই টাকা আমরা আর পাইনি।
যার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেছি, তার টাকা এখনো দিতে পারিনি।’
ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমরা নিজের টাকা খরচ করে প্রকল্পের কাজ শেষ করে রেখেছি। কিন্তু ৯ মাস হলো আমাদের গবেষণার টাকা আটকে আছে। এভাবে শিক্ষার্থীদের গবেষণার উৎসাহ দিয়ে টাকা না দিলে কেউ গবেষণায় আগ্রহী হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গবেষণা আহ্বান ও মূল্যায়ন কমিটি’র সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সমস্যার কারণে প্রকল্প প্রদর্শনী সম্ভব হয়নি।
পরে সুবিধাজনক সময়ে প্রদর্শনী করে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এরপর জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সরকার পরিবর্তন এবং উপাচার্য চলে যাওয়ার কারণে এই প্রদর্শনী আর হয়নি। সেপ্টেম্বরে নতুন উপাচার্য আসার পর তিনি এটা নিয়ে সময় চেয়েছেন।
এ বিষয়ে ‘গবেষণা আহ্বান ও মূল্যায়ন কমিটি’র আহ্বায়ক এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজা উদ্দিন বলেন, ‘এই টাকাটা মূলত সরকার পরিবর্তনের কারণে আটকে যায়। নতুন উপাচার্য আসার পর সব কাজ শেষ করে উপাচার্যের কাছে ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই টাকা পেয়ে যাবেন।’