পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য নির্মিত ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, সন্দেহের তালিকায় থাকা ওই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।
আরবি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর (‘র’ আদ্যক্ষর) ছবি পেয়েছি। বিষয়টি ভেরিফাই করার চেষ্টা করছি। যদিও তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতে পারছি না। ছবিটি নিয়ে বিভাগে কাজ চলছে। চেষ্টা করছি বিষয়টি অতি দ্রুত নিশ্চিত করতে।’
আরো পড়ুন
ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দিল আরো ২ দল
সহকারী প্রক্টর আরো বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর জড়িত হওয়ার বিষয়টি সত্যি হলেও হতে পারে। কারণ গত জুলাইয়ে এমন অনেককে দেখেছি, যাদের কল্পনাও করতে পারিনি যে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করবে।’
সন্দেহভাজন ওই শিক্ষার্থীর এক সহপাঠী সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালি চোখে আমাদের ক্লাসের সবাই তাকেই শনাক্ত করতে পেরেছে।
ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পরপরই বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে যখন দেওয়া হয়, তখনই সবাই বলছে সে আমাদের ক্লাসের। চোখের চশমা, লম্বা চুল এবং কালো গেঞ্জি—সব মিলিয়ে তাকে শনাক্ত করা সহজ হয়েছে।’
আরেক সহপাঠী বলেন, ‘ক্লাসের যতজন এই আগুন লাগানো ফুটেজ দেখছে প্রায় সবাই নিশ্চিত যে ওই শিক্ষার্থীই (‘র’ আদ্যক্ষর) এই কাজ করেছে। সে কয়েক দিন আগেও ভোরবেলায় একাত্তর হলের সামনে এসে ছাত্রলীগের স্লোগান দিয়ে গেছে এবং প্রকাশ্যে তার টাইমলাইনে পোস্টও করেছে। কিন্তু এ ঘটনার পর সে ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করেছে।
’
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে সন্দেহভাজন ওই শিক্ষার্থীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।