জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মওলানা ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আমিনুল রহমানের খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রভোস্টের কক্ষে তালা এবং নেমপ্লেট খুলে ফেলেছেন হলের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে প্রভোস্টের কক্ষে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদের কাছে বিষয়টি লিখিত অভিযোগ দেন।
শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, নতুন প্রভোস্ট নিয়োগের পর তার কাছে শিক্ষার্থীরা নানা দাবি তোলেন।
কিন্তু কোনো দাবিই বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রভোস্টের অশোভন আচরণ ও হল থেকে জোর বের করে দেওয়া। মসজিদ সংস্কারের অসহযোগিতা। হলের সব দায়িত্বে অবহেলা, নিয়মিত হলে না আসা। হলের সব কর্মচারীর কাজের তদারকিতে অবহেলা ও হলের নোংরা পরিবেশে নিয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়া, রিডিংরুম সংস্কারের দায়িত্বহীনতা, শিক্ষার্থীদের রুম সংস্কারে অনীহা ও দীর্ঘসূত্রতা, ডাইনিংয়ের খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়া। হলের দীর্ঘদিনের ইন্টারনেট সমস্যা নিয়ে দায়িত্বহীনতা ও দীর্ঘ ৫ মাস উনাকে বলার পরেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া। হলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসামগ্রী দিতে অস্বীকৃতি। একাধিকবার বলার পরেও বিশুদ্ধ পানির ফিল্টারের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া, ওয়াশরুম সংস্কার ও পরিষ্কারে তদারকি না করা।
এ বিষয়ে মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান তাজ বলেন, ‘আমরা গত ৬-৭ মাস ধরেই হল সংস্কারের জন্য নানা দাবি দিয়েছিলাম, কিন্তু স্যার কোনোটাই গ্রাহ্য করেননি। এভাবে তো একটা হল চলতে পারে না। তা ছাড়া তিনি ক্যাম্পাসেও থাকেন না। আবাসিক হলের প্রভোস্ট যদি ক্যাম্পাসে না থাকেন তাহলে রাতে যদি হলের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়, সেটা কে দেখবে। এসব কারণে আমরা তার পদত্যাগ চাই, নতুন হল প্রভোস্ট চাই।
’
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী রিফাত হাসান বলেন, ‘কোনো সমস্যার কথা বললে তিনি শোনেন, কিন্তু সমাধান করেন না। রুমগুলোতে পানি পড়ে, ছাদ সংস্কার করেন না, মসজিদে সাউন্ড সিস্টেমে সমস্যা সেটাও তিনি সমাধান করেন না, এ রকম অনেক সমস্যা রয়েছে সে সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগই তিনি গত ছয় মাসে নেননি। যার কারণে আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মওলানা ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আমিনুল রহমান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘যদি যৌক্তিক কারণ হয় তাহলে আমি পদত্যাগ করব। পদত্যাগ করতে আমার সমস্যা নেই। তবে ঈদের আগে এ দাবিগুলো ছিল না। ঈদের পর হুট করে কিভাবে এই দাবিগুলো সামনে এলো। এটার একটা কারণ হতে পারে আমি একটা নোটিশ দিয়েছিলাম, যারা অছাত্র তারা যেন ১০ তারিখের মধ্যে হল ত্যাগ করেন।’