ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নিয়ে যা বলল পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নিয়ে যা বলল পুলিশ
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঢাকা সিটি কলেজ এবং ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ঘটনার সূত্রপাত জানার জন্য এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়―এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সায়েন্সল্যাব মোড়ে সাংবাদিকদের এমনটি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

 

এ সময় তিনি বলেন, ঘটনা শুরুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানতে সময়ের প্রয়োজন হবে। কিন্তু কী কারণে সংঘর্ষ হয়েছে তা শিক্ষার্থী এবং আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বলতে পারবেন না। ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে পরে তদন্ত করে দেখব আমরা। তবে তারা (শিক্ষার্থীরা) মাঝে মধ্যেই এই কাজ (সংঘর্ষ) করে থাকে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে বলেন, ঘটনার পরবর্তীতে আমরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের তাদের ক্যাম্পাসে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছি। সেই সঙ্গে তারা যেন মুখোমুখি হতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসের ভেতরে আছে।

এর আগে, আজ বেলা ১২টার দিকে দুই কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

শিক্ষার্থীরা পাল্টা-ধাওয়াপাল্টা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় সাময়িক সময়ের জন্য মিরপুর সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভিডিও

কুয়েট ভিসির অপসারণ দাবিতে শেকৃবিতে প্রতীকী অনশন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কুয়েট ভিসির অপসারণ দাবিতে শেকৃবিতে প্রতীকী অনশন
ছবি : কালের কণ্ঠ

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ও উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) প্রতীকী অনশন করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ক্লাসসহ সব ধরনের পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো, এলাকায় পড়লেই পারতে’

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো, এলাকায় পড়লেই পারতে’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের কাছে চুরির ঘটনায় অভিযোগ দিতে গিয়ে দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সভাপতি ইভান তাহসীব এ অভিযোগ করেছেন। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে যান ইভান তাহসিভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। চুরির ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যাওয়া অভিযোগকারীদের সাথে উত্তেজিত হয়ে তাদের রুম থেকে বের করে দেন তিনি।

আরো পড়ুন
পিরোজপুরে জামায়াতের সদস্য ফরম পূরণ করলেন ৪ হিন্দু ধর্মাবলম্বী

পিরোজপুরে জামায়াতের সদস্য ফরম পূরণ করলেন ৪ হিন্দু ধর্মাবলম্বী

 

শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণে একটি অডিও ক্লিপ হাতে এসেছে প্রতিবেদকের কছে। অডিও ক্লিপে শোনা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রেজিস্ট্রার ড. গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারব না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কী খাবে, কোথায় থাকবে? এই দায়িত্ব প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না।

’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘বের হয়ে যাও, ওকে বের করে দাও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো এলাকায় পড়লেই তো পারতে।’ 

এ বিষয়ে ইভান তাহসীব বলেন, ‘আমার এক ছোট ভাইয়ের সাইকেল চুরি নিয়ে অভিযোগ জানাতে আমরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে যায়।

আমি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেরেজ থেকে সাইকেল চুরির ঘটনা বললে রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গ্যারেজ নেই। শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডের মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্ব’ উনি নিতে পারবে না বলে জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিং আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

মন্তব্য

কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে অনশন

৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিল ও ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে চট্টগ্রামে অনশন পালন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। এসময় তাঁরা কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন পালন করে। একই দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও অনশন পালন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান, নির্বাহী কমিটির সংগঠক ইমন মোহাম্মদ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও বহিরাগতরা দেশি অস্ত্রসস্ত্রসহ হামলা চালায়। হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলেও ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বক্তারা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এ আচরণ বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের মতো। হাজারো ছাত্র-জনতা এমন ফ্যাসিবাদী আচরণ অব্যাহত রাখার জন্য প্রাণ দেয়নি। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে হবে। পাশপাশি সব কিছুর ব্যর্থতার দায় নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাছুদকে পদত্যাগ করতে হবে।


 

মন্তব্য

দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদরাসা সুপারসহ আটক ৩

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদরাসা সুপারসহ আটক ৩

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চলমান দাখিল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এক মাদরাসা সুপারসহ তিনজন আটক হয়েছেন। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসার পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন, ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদ (৪৬), ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া এমএ কামিল মাদরাসার নৈশ প্রহরী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারেকুল ইসলাম (৩০)।

জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও তারেকুল ইসলাম(৩০) হাদিস বিষয়ের প্রশ্নের ছবি তুলে চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ডকুমেন্টস আকারে পাঠায়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আটককৃতদের পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এক মাতরাসা সুপারসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ