কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচারসমৃদ্ধ স্মার্ট প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শন করছে ওয়ালটন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচারসমৃদ্ধ স্মার্ট প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শন করছে ওয়ালটন
সংগৃহীত ছবি

আজ থেকে শুরু হয়েছে বিশ্বের অন্যতম মেগা ট্রেড শো ‘চায়না আমদানি ও রপ্তানি মেলা’ বা ক্যান্টন ফেয়ারের ১৩৭ তম আসর। নের ঐতিহ্যবাহী এবং মর্যাদাপূর্ণ এই মেগা ট্রেড শো’র বিগত কয়েকটি আসরে ব্যাপক সাফল্য অর্জনের ধারাবাহিকতায় এবারের আসরেও অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

ক্যান্টন ফেয়ারের এবারের আসরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), আইওটি বেজড বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট ফিচার সমৃদ্ধ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য প্রদর্শন করছে ওয়ালটন।

ওয়ালটন সূত্রমতে, ক্যান্টন ফেয়ারের আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ২.১ নাম্বার হলে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়ন।

যেখানে প্রদর্শন করা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ইন্টারনেট অব থিংগস (আইওটি) এর মতো সর্বাধুনিক ও উদ্ভাবনী ফিচার সমৃদ্ধ রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েব ওভেন, ব্লেন্ডারসহ বিভিন্ন হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী।

এছাড়াও বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির লো নয়েজ ফিচার সমৃদ্ধ ফ্রিজ কম্প্রেসারও প্রদর্শন করছে ওয়ালটন। মেলার উদ্বোধনী দিনে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুর রউফ জানান, ক্যান্টন ফেয়ার- বিশ্বের অন্যতম এক মেগা ট্রেড শো।

এখানে একই ছাদের নিচে বিশ্বের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডগুলোর লেটেস্ট প্রযুক্তির পণ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় বিধায় প্রতিবছরই চীনসহ বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে কয়েক লাখ ব্যবসায়ী ক্যান্টন ফেয়ারে আসেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও উৎপাদকদের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরির বড় প্লাটপর্ম হচ্ছে ক্যান্টন ফেয়ার। এরই প্রেক্ষিতে বিগত কয়েক বছর ধরে এই ট্রেড শো’তে নিয়মিত অংশ নিয়ে আসছে ওয়ালটন। প্রতিটি আসরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ব্যবসায়িক অংশীদার তৈরি হয়েছে।
যাদের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ক্যান্টন ফেয়ারের এবারের আসরেও বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিকমানের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে ওয়ালটন। পূর্বের ন্যায় এই আসরেও বিশ্বের নতুন নতুন দেশেগুলোতে বাজার সম্প্রসারণে ব্যবসায়িক অংশীদার তৈরিতে সক্ষম হবে ওয়ালটন।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার সূত্রমতে, ক্যান্টন ফেয়ারে এআইওটি ফিচারসমৃদ্ধ ৬৪৬ লিটার ধারণক্ষমতার মাল্টি-কালার ও বিগ ডিসপ্লে ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর প্রদর্শন করছে ওয়ালটন। এই ফ্রিজের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংস বেজড এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করে।

ফ্রিজের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এছাড়াও ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ গ্যাস। এআইওটি বেজড এই মডেলের ফ্রিজগুলো স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে পরিচালনা করা যাবে।

ক্যান্টন ফেয়ারে ইনভার্টার প্রযুক্তির সোলার হাইব্রিড স্প্লিট টাইপ এসি, ৫-ইঞ্চির ডিজিটাল ডিসপ্লে এসি ও অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি প্রদর্শিত হচ্ছে। স্মার্ট আইওটি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ওয়ালটন এসি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

ওয়ালটনের সোলার হাইব্রিড স্প্লিট টাইপ এসি দিনের বেলায় সোলার পাওয়ারের মাধ্যমে চলবে। যদি সোলার পাওয়ার কম থাকে, তখন সোলার পাওয়ার থেকে আগে বিদ্যুৎ নিয়ে তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী বৈদ্যুতিক লাইনের মাধ্যমে হাইব্রিড পদ্ধতিতে চলবে এই এসি। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এছাড়া রাতের বেলায় সোলার পাওয়ার ব্যাটারির মাধ্যমে বা বৈদ্যুতিক লাইনেও চলবে এটি। এতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে মরিচা প্রতিরোধক কোটেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশন প্রযুক্তি।

ক্যান্টন ফেয়ারে প্রদর্শন করা হচ্ছে থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টিবল টেকনোলজিসহ ইন্টিগ্রেটেড ৫-ইঞ্চি কালার টিএফটি ডিসপ্লে। এতে রুম ও আউটডোর টেম্পারেচার, বিদ্যুৎ কনজম্পশন রেট, গত মাস বা গত বছরের কনজাম্পশন রেট ইত্যাদি সুক্ষভাবে মনিটর করা যাবে। ওয়ালটনের অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমেই পরিচালনা করা যাবে। ওয়ালটন এসিতে ব্যবহার করা বিশ্বের সর্বোচ্চ পরিবেশবান্ধব আর২৯০ গ্যাস।

উল্লেখ্য, চীনের গুয়াংজুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ৬৮ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ক্যান্টন ফেয়ার। এপ্রিলের ১৫ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে ১৩৭তম ক্যান্টন ফেয়ারের প্রথম ধাপ । যেখানে বিশ্বের নামকরা প্রযুক্তি জায়ান্টগণ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস, লাইটিং ইক্যুইপমেন্ট, ভেহিকেলস অ্যান্ড স্পেয়ার পার্টস, মেশিনারি এবং হার্ডওয়্যার অ্যান্ড টুলস পণ্য প্রদর্শন করবে। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ক্যাটাগরিতে বিশ্বের অন্যতম এই বৃহৎ মেলায় ৫ম বার অংশ নিয়েছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ব্যাবসায়িক কার্যক্রমে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করার উদ্যোগ ওয়ালটনের

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
ব্যাবসায়িক কার্যক্রমে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করার উদ্যোগ ওয়ালটনের
সংগৃহীত ছবি

স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে শীর্ষস্থান বজায় রাখার পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কম্পানি ‘ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’। সেই লক্ষ্য পূরণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়ালটনের এই অগ্রযাত্রায় ভবিষ্যত নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন ওয়ালটন হাই-টেক পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে তরুণ প্রজন্মকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার হস্তান্তর করেছেন তারা।

 

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. জিয়াউল আলম, এফসিএ, এসিএ (আইসিএইডবিউ) বলেন, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়ালটনের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, দক্ষ জনবল এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তাই প্রতিভাবান, উদ্যোগী ও প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন উদ্যোক্তা পরিচালকরা। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটনের উদ্যোক্তা পরিচালকরা যথাযথ নিয়মকানুন অনুসরন করে নতুন প্রজন্মের কাছে উপহার হিসেবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার হস্তান্তর করেছেন। এতে করে একদিকে পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের ফ্রি-ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক নির্দেশিত ১০ শতাংশের বেশি হয়েছে,  অন্যদিকে ওয়ালটনকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্রান্ডে পরিণত করার অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব প্রদান করার জন্য তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে।

 

তিনি আরো জানান, মুনাফা অর্জনই ওয়ালটনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স খাতের দ্রুত বিকাশ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনবল তৈরি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে ওয়ালটন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫’ এ ইএসজি (এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স) ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ওয়ালটনকে ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পুরস্কার প্রদান করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এছাড়াও কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক হিসাবরক্ষণ নীতি এবং দেশীয় সকল আইন মেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ওয়ালটন।

তারই স্বীকৃতি হিসেবে বিগত বছরগুলোতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এক্সিলেন্স, বেস্ট প্রেজেন্টেড বার্ষিক প্রতিবেদন পুরস্কার পেয়ে আসছে ওয়ালটন।

বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের পুঁজিবাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করায় ওয়ালটনসহ প্রায় সব কম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম, এফসিএস, বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার ফলে সৃষ্ট পুঁজিবাজারে নিম্নমুখী ধারা এখনো বিদ্যমান, যার ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য বড় কম্পানিগুলোর পাশাপাশি ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ারও ব্যাপক মূল্য হারিয়েছে। তবে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত টাস্কফোর্সের নানা রকম সুপারিশ এবং তার পরবর্তী পদক্ষেপসমূহ ভবিষ্যতে দেশের পুঁজিবাজারকে আবারও চাঙ্গা করে তুলবে।

তিনি আরো জানান, শুরুতে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারসহ অল্প কয়েকটি প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করত ওয়ালটন।

কিন্তু আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গবেষনা ও উদ্ভাবনী খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রোডাক্ট লাইনে লিফট, ক্যাবলস, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সসহ নতুন নতুন পণ্য ও মডেল যুক্ত হয়ে ওয়ালটনের প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও বেশ সমৃদ্ধ হয়েছে। এর ফলে বেড়েছে কোম্পানীর ব্যবসায়িক পরিধি ও বার্ষিক টার্নওভার। 

আগামীর সাফল্য কামনায়, ঐতিহ্য ধরে রেখে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে ওয়ালটন আগের যেকোন সময়ের চেয়ে আরো বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হবার জন্য যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হতে হবে, ওয়ালটন তা মোকাবেলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশ, তরুণ ও নারীদের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং টেকসই, দায়িত্বশীল ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য ওয়ালনের প্রচেষ্টা সর্বদা অব্যহত থাকবে।
    
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে যাত্রা শুরু করে ওয়ালটন হাই- ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ধারাবাহিক ব্যবসায়িক সাফল্য বজায় রেখে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে কম্পানিটি দেশের শীর্ষ মূলধনী কম্পানিসমূহের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। পুঁজিবাজারে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিবছরই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উল্লেখযোগ্যহারে লভ্যাংশ প্রদান করে আসছে ওয়ালটন। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২০০ শতাংশ, ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৫০ শতাংশ এবং ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে  ৩০০ এবং ৩৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছে ওয়ালটন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বাংলাদেশে অটোমোটিভ আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে রক এনার্জিকে নিয়োগ দিয়েছে ক্যাস্ট্রল

শেয়ার
বাংলাদেশে অটোমোটিভ আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে রক এনার্জিকে নিয়োগ দিয়েছে ক্যাস্ট্রল

ক্যাস্ট্রল পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষস্থানীয় লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ডগুলোর একটি। এই ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশের বাজারে তাদের এক্সক্লুসিভ আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে রক এনার্জি লিমিটেডকে নিয়োগ দিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে ক্যাস্ট্রলের পণ্য আরও বেশি সহজলভ্য হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশের বাজারে ক্যাস্ট্রলের উপস্থিতি ২০০১ সাল থেকে।

এতগুলো বছরে ব্র্যান্ডটি গ্রাহকদের মনে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। রক এনার্জি-এর সঙ্গে এই মেলবন্ধনটিকে একটি জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা গণ্য করছেন। বাংলাদেশের একটি অগ্রগামী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশ রক এনার্জির বাংলাদেশের তেল এবং গ্যাসের ব্যবসাক্ষেত্রে প্রায় তিন দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ক্যাস্ট্রল সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট কেদার লেলে বলেন, ‘রক এনার্জির সঙ্গে আমরা ক্যাস্ট্রলের ডিরেক্ট ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্র আরও বড় করতে চাই।

এতে করে গ্রাহকদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অনেক বেশি বাড়বে। ক্যাস্ট্রল ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশে আরও বেশি বড় হয়ে উঠবে’।

তিনি আরো বলেন, ‘এই পার্টনারশিপটি ২০২৫ সালে আমাদের আরো ভালো কাস্টমার সার্ভিস দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াবে। এ ছাড়া লোকাল মার্কেটিং-এর সুযোগটাও আরও বড় করে তুলবে বলে আমরা আশাবাদী।

রক এনার্জি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব তানজিম চৌধুরী বলেন, ‘ক্যাস্ট্রলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। এই ব্র্যান্ডটি পৃথিবীর অন্যতম বিশ্বস্ত লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ড। এই সংযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের আরো প্রিমিয়াম কোয়ালিটির প্রোডাক্ট এনে দিতে পারব। এ ছাড়া এনার্জি ভ্যালু চেইনে আমাদের অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে।’

রক এনার্জি বাংলাদেশের রিটেইল আফটারমার্কেটে ক্যাস্ট্রলের ডিস্ট্রিবিউশন বাড়াবে।

এ ছাড়া দেশ জুড়ে ক্যাস্ট্রল ব্র্যান্ডেড ওয়ার্কশপ গড়ে তুলবে। 

ক্যাস্ট্রল এবং রক এনার্জির এই মেলবন্ধন নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে। এ ছাড়া ক্যাস্ট্রলের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পণ্যগুলো এবার গ্রাহকদের কাছে আরো বেশি সহজলভ্য হয়ে উঠবে।

মন্তব্য

এআইইউবি’র ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিএনই এক্সপ্লোরেটরি গ্রান্ট অর্জন

শেয়ার
এআইইউবি’র ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিএনই এক্সপ্লোরেটরি গ্রান্ট অর্জন

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) যুক্তরাজ্যের দুটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন (টিএনই) এক্সপ্লোরেটরি গ্রান্ট প্রোগ্রামের অধীনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য অনুদান অর্জন করেছে।

এআইইউবি ও বার্মিংহাম সিটি ইউনিভার্সিটি (বিসিইউ) যৌথভাবে ডিজিটাল ম্যানুফ্যাকচারিং বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক পেশাদার সনদপ্রদান কর্মসূচি চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পে বিসিইউ-এর পক্ষে কাজ করবেন প্রফেসর ড. জাভায়েদ বাট, ড. আশিকুল খান ও ড. মুহাম্মদ আদনান। এআইইউবি-এর পক্ষে অংশগ্রহণ করছেন প্রফেসর ড. মো. আবদুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. সানিয়াত রহমান জিশান, ড. চৌধুরী আকরাম হোসেন ও মো. মাহামুদুল হাসান।

এ ছাড়া, এআইইউবি, নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি (এনটিইউ), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একত্রে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকার প্রসারে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। এই উদ্যোগে এনটিইউ-এর প্রফেসর ডেভিড জে ব্রাউন ও ড. আরিফ রহমান, এআইইউবি-এর জনাব মাশিউর রহমান, জাবি-এর প্রফেসর ড. রিসালা তাসিন খান, বুয়েট-এর প্রফেসর ড. মো. রুবায়েত হোসেন মন্ডলসহ আরো অনেক বিশিষ্ট গবেষক অংশ নিচ্ছেন।

গবেষণা উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল এবং এআইইউবি-এর ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জনাব ইশতিয়াক আবেদীন বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশনের সম্ভাবনা ও সামাজিক মূল্য বিষয়ে একটি প্যানেল আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

এই অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পদ্বয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

রক এনার্জিকে ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে নিয়োগ দিল ক্যাস্ট্রল

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
রক এনার্জিকে ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে নিয়োগ দিল ক্যাস্ট্রল
সংগৃহীত ছবি

ক্যাস্ট্রল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ডগুলোর একটি। বাংলাদেশে এক্সক্লুসিভ আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি রক এনার্জি লিমিটেডকে নিয়োগ দিয়েছে। এর ফলে দেশে ক্যাস্ট্রলের পণ্য আরো সহজলভ্য হয়ে উঠবে।

দেশের বাজারে ক্যাস্ট্রলের উপস্থিতি ২০০১ সাল থেকে।

এত বছরে ব্র্যান্ডটি গ্রাহকদের মনে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। রক এনার্জির সঙ্গে এই অংশীদারিত্বকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের একটি অগ্রগামী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে রক এনার্জির তেল ও গ্যাস খাতে রয়েছে তিন দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা।

এ বিষয়ে ক্যাস্ট্রল সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট কেদার লেলে বলেন, ‘রক এনার্জির সঙ্গে আমরা ক্যাস্ট্রলের ডিরেক্ট ডিস্ট্রিবিউশনের পরিধি আরো প্রসারিত করতে চাই।

এতে গ্রাহকদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ আরো দৃঢ় হবে এবং ক্যাস্ট্রল ব্র্যান্ডটি আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই পার্টনারশিপ ২০২৫ সালে আমাদের আরো উন্নত কাস্টমার সার্ভিস দিতে সক্ষম করে তুলবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে মার্কেটিং কার্যক্রমের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।’

রক এনার্জি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তানজিম চৌধুরী বলেন, ‘ক্যাস্ট্রলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত।

এটি বিশ্বের অন্যতম বিশ্বস্ত লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ড। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের কাছে আরো প্রিমিয়াম কোয়ালিটির পণ্য সরবরাহ করতে পারব। একই সঙ্গে এনার্জি ভ্যালু চেইনে আমাদের অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে।’

রক এনার্জি দেশের রিটেইল আফটারমার্কেটে ক্যাস্ট্রলের ডিস্ট্রিবিউশন বাড়াবে এবং দেশজুড়ে ক্যাস্ট্রল ব্র্যান্ডেড ওয়ার্কশপ প্রতিষ্ঠা করবে।

ক্যাস্ট্রল ও রক এনার্জির এই মেলবন্ধন নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং ক্যাস্ট্রলের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পণ্যগুলো গ্রাহকদের জন্য আরো সহজলভ্য হয়ে উঠবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ