<p>বহুল আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম ভোটে হেরে ভোটার ও প্রশাসনকে দুষলেন। নিজ বাসভবনে রাত ৯টায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দোষারোপ করেন। তিনি বলেন- হাজার টাকার একটি করে নোট আর জিলাপির পোটলার কাছে হিরো আলমের ভক্তরাও বিক্রি হয়ে যেতে পারে ভাবতেও পারিনি। ভোট কেন্দ্রের পাশে টাকা আর জিলাপির পোটলা নিয়ে বসে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল মার্কার কর্মীরা। আমার কাছে এর প্রমান আছে। </p> <p>বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নিজ বাড়িতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।</p> <p>ওই আসনের নির্বাচনে বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা প্রতীক) নিয়ে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির  সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট। আর হিরো আলম ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৫ ভোট।</p> <p>নির্বাচনের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে হিরো আলম বলেন, ‘এই ফলাফল আমি মানি না।’ ভোটের ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দিয়ে হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন।</p> <p>তিনি বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রের পাশে তার লোক জিলাপির পোটলা নিয়ে বসেছিল। তারা কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। ভোটারদের হাতে হাতে হাজার টাকার নোট আর জিলাপির পোটলা দিয়েছে, আমার কাছে ছবি এবং প্রমাণ আছে। ছবিসহ বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি। টাকার লোভে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও বিএনপি নেতার ঈগলের ভোট করেছে।’</p> <p>প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফলাফল নিয়ে হিরো আলম বলেন- ‘উপনির্বাচনে আমাকে তানসেনের সঙ্গে ৮২০ ভোটে হারানো হয়েছিল। এবারও ঈগল মার্কার প্রার্থীকে প্রায় ২ হাজার ভোটের ব্যবধান দেখানো হয়েছে। তানসেনের কোনো ভোট নাই। দুপুরের খাবারের বিরতির সময় তার পক্ষে সিল মারা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনে আমাকে হারানো হয়েছে।’</p>